গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে বড়লেখায় স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু,স্বামী দ্বগ্ধ
- আপডেট সময় ০৯:৫০:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
- / ১৩৭২ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন লেগে রুবিয়া বেগম ( ৪২) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ লঘাটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার স্বামী শিক্ষক আব্দুল করিমও (৪৮) দগ্ধ হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রুবিয়া উপজেলার সুড়িকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুলের করিমের স্ত্রী ও উপজেলার কান্দিগ্রাম মিহারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরিবারে তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবিয়া বেগম বেগম পরিবার নিয়ে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ লঘাটি গ্রামে একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকেন। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে রুবিয়া বেগম সেহরী খাবার তৈরীর জন্য রান্না ঘরে যান।
এসময় তিনি গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই ধপ করে তার শরীরের আগুন লেগে যায়। রুবিয়া বেগমের চিৎকার শুনে স্বামী আব্দুল করিম তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও দ্বগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবিয়া বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।আহত আব্দুল করিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শামীম মোল্লা বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় বলেন, রান্না ঘরটি বদ্ধ ছিল। একারণে সিলিন্ডার লিকেজ থেকে রান্নাঘরে গ্যাস জমে যায়। রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতেই শরীরে আগুন ছড়িয়ে ওই শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন লেগে স্কুল শিক্ষিকা রুবিয়া বেগম মারা গেছেন। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্বামীও দগ্ধ হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।