ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
হৃদয়ে শ্রীমঙ্গলের পক্ষ থেকে ১২৫০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কমলগঞ্জে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে করণীয় বিষয়ে সচেতনতমূলক ক্যাম্পেইন সাংবাদিক শাহজাহান এর উপর দুবৃর্ত্তদের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গনতন্ত্রের পথে যেতে হবে – মৌলভীবাজারে সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঘুষ গ্রহণের মামলায় তারেক-বাবরসহ ৮ জন খালাস কনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এর বিরুদ্ধে অনাস্থা শেখ হাসিনা শিশুপার্ক’-এর নতুন নাম ‘এম সাইফুর রহমান শিশুপার্ক পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে স্পন্দন মৌলভীবাজার এর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন উপলক্ষে কর্মীসভা ও ইফতার মাহফিল মৌলভীবাজারে কিশোর কন্ঠ পাঠক ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঘুষ গ্রহণের মামলায় তারেক-বাবরসহ ৮ জন খালাস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলার আসামি সাফিয়াত সোবাহান সানভীরকে দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- তারেক রহমানের তৎকালীন এপিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, কাজী সালিমুল হক কামাল, আহমেদ আকবর সোবহান, সাফিয়াত সোবহান, সাদাত সোবহান ও আবু সুফিয়ান।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ-৩ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন ও আমিনুল গনি টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলার আসামি সাফিয়াত সোবাহান সানভীরকে দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করা হয়। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চাজশিট দাখিল করে দুদক। পরে ওই বছর ১৪ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর। ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা নেন।এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হাওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের ব্যক্তিগত সহকারী অপুকে বুঝিয়ে দেন। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘুষ গ্রহণের মামলায় তারেক-বাবরসহ ৮ জন খালাস

আপডেট সময় ০৪:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলার আসামি সাফিয়াত সোবাহান সানভীরকে দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- তারেক রহমানের তৎকালীন এপিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, কাজী সালিমুল হক কামাল, আহমেদ আকবর সোবহান, সাফিয়াত সোবহান, সাদাত সোবহান ও আবু সুফিয়ান।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ-৩ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন ও আমিনুল গনি টিটু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাব্বির হত্যা মামলার আসামি সাফিয়াত সোবাহান সানভীরকে দায়মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করা হয়। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চাজশিট দাখিল করে দুদক। পরে ওই বছর ১৪ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর। ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা নেন।এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হাওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের ব্যক্তিগত সহকারী অপুকে বুঝিয়ে দেন। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন। বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন।