ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
চলে গেলেন জুড়ীর প্রিয় মূখ বিশ্বজিত সেনগুপ্ত যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক সাংবাদিক রহমত আলীর সাথে মতবিনিময় সভা শনিবার সেতু রক্ষাসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ১১নং মোস্তফাপুর বিএনপি আহবায়ক মান্নু রাজনৈতিক দল গঠন ও পদত্যাগের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি- নাহিদ ইসলাম স্বৈরাচার হাসিনা দেশের অর্থনীতি লুটপাট করে পালিয়ে গেছে- শ্রীমঙ্গলে এম নাসের রহমান পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজনগর উপজেলার বিএনপির ৮টি ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটি বাতিল ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি সদস্য সচিব রিপন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা

চলে গেলেন জুড়ীর প্রিয় মূখ বিশ্বজিত সেনগুপ্ত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জুড়ীবাসীকে কাঁদিয়ে অকালেই চলে গেলেন জুড়ীর প্রিয় মূখ, শিলুয়া চা বাগানের ষ্টাফ (টিলাবাবু) বিশ্বজিত সেনগুপ্ত (৬৫)। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

 

জুড়ী ভ্যালী, জুড়ী উপজেলা ও শিলুয়া এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় এই ক্ষণজন্মার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,জুড়ী উপজেলার পূর্ব শিলুয়া এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিত সেনগুপ্ত খাদ্যনালীর সমস্যা নিয়ে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।  সেখানে তাঁর খাদ্যনালীতে টিউমার ধরা পড়ে।‌ পরীক্ষা নিরীক্ষায় টিউমারে ক্যান্সারের উপস্থিতি পাওয়ায় পারিবারিক সিদ্ধান্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার গ্রীন রোডস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি হন।‌ সেখানে ডাক্তারের পরামর্শে টিউমারটি অপসারণের জন্য খাদ্যনালীতে অপারেশন করা হয়। ‌

 

অপারেশনের পর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে লাইভ সাপোর্টে নেয়া হলে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ঐ দিনই গভীর রাতে ঢাকা থেকে তাঁর লাশ দীর্ঘ ৪১ বছরের প্রিয় কর্মস্থল শিলুয়া চা বাগানে নিয়ে আসা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে তাঁর লাশ ফ্রিজিং ভ্যান থেকে বের করে বাসার ভেতরে নেয়া হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্ত্রী সন্তানদের আহাজারিতে আকাশ‌ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিনের সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন, চা শ্রমিক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁকে একনজর দেখতে বাসায় ভীড় করেন।‌ উপস্থিত সবার মুখে প্রায় একই কথা ” বড় ভাল লোক ছিলেন তিনি, তাঁর এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না।

 

চাকুরির পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সরব ছিলেন বিশ্বজিত সেনগুপ্ত। এলাকার মানুষের যে কোন প্রয়োজনে তিনি ছিলেন সর্বাগ্রে। ‌ তাঁর এমন প্রস্থান যেন কেউ মেনে নিতে পারছেন না।‌ পরে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাসায়‌ ধর্মীয় রীতিনীতি শেষ করে বেলা ১১টার দিকে পূর্ব শিলুয়া এলাকায় পারিবারিক শ্মশানঘাটে তাঁর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে যান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

চলে গেলেন জুড়ীর প্রিয় মূখ বিশ্বজিত সেনগুপ্ত

আপডেট সময় ০৬:০৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : জুড়ীবাসীকে কাঁদিয়ে অকালেই চলে গেলেন জুড়ীর প্রিয় মূখ, শিলুয়া চা বাগানের ষ্টাফ (টিলাবাবু) বিশ্বজিত সেনগুপ্ত (৬৫)। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

 

জুড়ী ভ্যালী, জুড়ী উপজেলা ও শিলুয়া এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় এই ক্ষণজন্মার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,জুড়ী উপজেলার পূর্ব শিলুয়া এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিত সেনগুপ্ত খাদ্যনালীর সমস্যা নিয়ে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।  সেখানে তাঁর খাদ্যনালীতে টিউমার ধরা পড়ে।‌ পরীক্ষা নিরীক্ষায় টিউমারে ক্যান্সারের উপস্থিতি পাওয়ায় পারিবারিক সিদ্ধান্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার গ্রীন রোডস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ভর্তি হন।‌ সেখানে ডাক্তারের পরামর্শে টিউমারটি অপসারণের জন্য খাদ্যনালীতে অপারেশন করা হয়। ‌

 

অপারেশনের পর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে লাইভ সাপোর্টে নেয়া হলে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ঐ দিনই গভীর রাতে ঢাকা থেকে তাঁর লাশ দীর্ঘ ৪১ বছরের প্রিয় কর্মস্থল শিলুয়া চা বাগানে নিয়ে আসা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে তাঁর লাশ ফ্রিজিং ভ্যান থেকে বের করে বাসার ভেতরে নেয়া হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্ত্রী সন্তানদের আহাজারিতে আকাশ‌ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিনের সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন, চা শ্রমিক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁকে একনজর দেখতে বাসায় ভীড় করেন।‌ উপস্থিত সবার মুখে প্রায় একই কথা ” বড় ভাল লোক ছিলেন তিনি, তাঁর এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না।

 

চাকুরির পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সরব ছিলেন বিশ্বজিত সেনগুপ্ত। এলাকার মানুষের যে কোন প্রয়োজনে তিনি ছিলেন সর্বাগ্রে। ‌ তাঁর এমন প্রস্থান যেন কেউ মেনে নিতে পারছেন না।‌ পরে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাসায়‌ ধর্মীয় রীতিনীতি শেষ করে বেলা ১১টার দিকে পূর্ব শিলুয়া এলাকায় পারিবারিক শ্মশানঘাটে তাঁর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে যান।