ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মৌলভীবাজার থেকে গ্রে/ফ/তা/র শীর্ষ স/ন্ত্রা/সী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না গ্রে/ফ/তা/র মৃত‍্যু নিয়ে মজা নিয়েন না, কাউকে নেওয়ার সুযোগও দিয়েন না সাবেক এমপি শামীমা ও শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু গ্রেপ্তার যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করল ভারত-পাকিস্তান সিলেটকে জালালাবাদ প্রদেশ করার দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন হেলাল এর উপর স-ন্ত্রা-সী হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা বিএনপি মৌলভীবাজার সীমান্ত এলাকায় পুশইন ঠেকাতে প্রস্তুত বিজিবি দু-র্বৃ-ত্ত-দে-র হামলায় আহত বিএনপির নেতা হেলাল আ.লীগ নিষিদ্ধের একদফা দাবিতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ

ছাতা-জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু নেয়া যাবে না

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২
  • / ৭৫৫ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জাতীয় ঈদগাহে জায়নামাজ, ছাতা ছাড়া আর কিছু সঙ্গে আনা যাবে না। প্রত্যেককে তল্লাশির মধ্য দিয়ে আর্চওয়ে গেট দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। কারও সঙ্গে ব্যাগ থাকলে ব্যাগও তল্লাশি করা হবে।

রোববার (১ মে) জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে যান ডিএমপি কমিশনার। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিককের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া সঙ্গে অন্যকিছু আনা যাবে না।

তিনি বলেন, ঈদগাহে আসার সময় ছাতা, জায়নামাজের বাইরে কিছু নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ করছি। প্রবেশপথে অনেক লম্বা লাইন হবে, সার্চ করে প্রবেশ করতে কিছুটা সময় লগে। তাই সবাইকে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঈদ জামাত ঘিরে কোনো ধরনের হুমকির তথ্য নেই। জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররমে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, সোয়াট, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ওয়াচ টাওয়ার, আর্চওয়ে ও সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা থাকছে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীজুড়ে ঈদগাহ ও মসজিদ মিলিয়ে ১ হাজার ৪৬৮ স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কোন কোন মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে সারা শহরের ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সব ঈদ জামাতকে ঘিরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ডিএমপি।

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় ডগ স্কোয়াড দিয়ে আগে থেকে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। যারা আসবেন প্রয়োজনবোধে শারীরিক তল্লাশি করা হবে, এছাড়া সবাইকে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিরুপ আবহাওয়ার কারণে এখানে ঈদ জামাত সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে সেখানেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সব বড় জামাতে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের ঈদ ব্যতিক্রম। গত ২ বছর করোনার কারণে উৎসবের উদ্দীপনা এতোটা ছিল না। এবার সর্বস্তরে অধিক উদ্দীপনায় ঈদ পালিত হবে। ঈদ কেন্দ্রীক নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল বা পরশু অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল ফিতর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহে নামাজ না হলেও ভাইরাসটির প্রকোপ কমায় এবার জামাতের আয়োজন করা হয়েছে দেশের প্রধান ঈদগাহে। ইতোমধ্যে নামাজ আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাতা-জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু নেয়া যাবে না

আপডেট সময় ০৯:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জাতীয় ঈদগাহে জায়নামাজ, ছাতা ছাড়া আর কিছু সঙ্গে আনা যাবে না। প্রত্যেককে তল্লাশির মধ্য দিয়ে আর্চওয়ে গেট দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। কারও সঙ্গে ব্যাগ থাকলে ব্যাগও তল্লাশি করা হবে।

রোববার (১ মে) জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে যান ডিএমপি কমিশনার। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিককের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের ছাতা ও জায়নামাজ ছাড়া সঙ্গে অন্যকিছু আনা যাবে না।

তিনি বলেন, ঈদগাহে আসার সময় ছাতা, জায়নামাজের বাইরে কিছু নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ করছি। প্রবেশপথে অনেক লম্বা লাইন হবে, সার্চ করে প্রবেশ করতে কিছুটা সময় লগে। তাই সবাইকে কিছুটা সময় হাতে নিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঈদ জামাত ঘিরে কোনো ধরনের হুমকির তথ্য নেই। জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররমে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশ, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, সোয়াট, সিটিটিসি, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ওয়াচ টাওয়ার, আর্চওয়ে ও সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা থাকছে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানীজুড়ে ঈদগাহ ও মসজিদ মিলিয়ে ১ হাজার ৪৬৮ স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কোন কোন মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে সারা শহরের ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সব ঈদ জামাতকে ঘিরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ডিএমপি।

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় ডগ স্কোয়াড দিয়ে আগে থেকে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। যারা আসবেন প্রয়োজনবোধে শারীরিক তল্লাশি করা হবে, এছাড়া সবাইকে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, বিরুপ আবহাওয়ার কারণে এখানে ঈদ জামাত সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে সেখানেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সব বড় জামাতে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের ঈদ ব্যতিক্রম। গত ২ বছর করোনার কারণে উৎসবের উদ্দীপনা এতোটা ছিল না। এবার সর্বস্তরে অধিক উদ্দীপনায় ঈদ পালিত হবে। ঈদ কেন্দ্রীক নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল বা পরশু অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল ফিতর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহে নামাজ না হলেও ভাইরাসটির প্রকোপ কমায় এবার জামাতের আয়োজন করা হয়েছে দেশের প্রধান ঈদগাহে। ইতোমধ্যে নামাজ আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।