ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
তরুণ প্রজন্ম দলের সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হলেন শেখ সুমন কোনো দলের প্রতি সেনাবাহিনীর আলাদা নজর নেই মৌলভীবাজারে এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পালিত জুড়ীতে সেফটিক ট্যাংকে পড়ে যুবকের মৃ/ত্যু প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির ণিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারক-লিপি মৌলভীবাজারে বিএনপির পুনর্গঠনের গতি বাড়ছে: দুই উপজেলা ও এক পৌর ইউনিটের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা জুড়ীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর আয়োজনে অবহিত করন, ও চেক বিতরণ সিলেট রেঞ্জে জুন মাসের সেরা সার্কেল ও থানার স্বীকৃতি পেল মৌলভীবাজার মৌলভীবাজার যৌথ বাহিনীর অভিযানে এয়ারগান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ : দুই দিনেও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • / ৬০৩ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের মন্ত্রীসমর্থিত গ্রুপ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল-এর উপদলীয় কোন্দলে বুধবার (৭ জুন) দুপুরে শহরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। ছাত্রলীগকর্মীরা লম্বা দা ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। তখন ইকবাল গ্রুপের পক্ষে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান হোসেন লাঠি হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের অপর পক্ষকে তাড়া করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এরকম কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে জুড়ীতে তোলপাড় শুরু হয় এবং লোক মুখে নানা কথা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের কোন ভূমিকা পরিলক্ষিত হয় নি।

২০২০ সালে গঠিত জুড়ী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান হোসেন ছাত্রলীগের সংঘর্ষে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ওয়ার্কশপের সামনে তারা মারামারি করছে দেখে আমি তাদের থামাতে যাই। এক জনের হাতে থাকা লাঠি আমি অন্যত্র সরানোর জন্য আমার হাতে নেই।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নিপার রেজা বলেন, সুলেমান হোসেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক। তিনি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে এক পক্ষের সাথে থাকার ছবি ও ভিডিও আমি দেখেছি। আমরা জেলা নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন- সংঘর্ষের ঘটনায় কেহ কোন অভিযোগ দেয় নি। তাছাড়া কোন অস্ত্রও উদ্ধার হয় নি। বিষয়টি তদন্ত করছি।

জুড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষেরে সংঘর্ষে যুবদল নেতার জড়িত হওয়া, প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় কোন মামলা না হওয়া, কাউকে আটক না করা ও অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ : দুই দিনেও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

আপডেট সময় ১২:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ছাত্রলীগের মন্ত্রীসমর্থিত গ্রুপ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সাহাব উদ্দিন সাবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বল-এর উপদলীয় কোন্দলে বুধবার (৭ জুন) দুপুরে শহরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। ছাত্রলীগকর্মীরা লম্বা দা ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। তখন ইকবাল গ্রুপের পক্ষে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান হোসেন লাঠি হাতে নিয়ে ছাত্রলীগের অপর পক্ষকে তাড়া করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

এরকম কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে জুড়ীতে তোলপাড় শুরু হয় এবং লোক মুখে নানা কথা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের কোন ভূমিকা পরিলক্ষিত হয় নি।

২০২০ সালে গঠিত জুড়ী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সুলেমান হোসেন ছাত্রলীগের সংঘর্ষে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার ওয়ার্কশপের সামনে তারা মারামারি করছে দেখে আমি তাদের থামাতে যাই। এক জনের হাতে থাকা লাঠি আমি অন্যত্র সরানোর জন্য আমার হাতে নেই।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নিপার রেজা বলেন, সুলেমান হোসেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক। তিনি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে এক পক্ষের সাথে থাকার ছবি ও ভিডিও আমি দেখেছি। আমরা জেলা নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবগত করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন- সংঘর্ষের ঘটনায় কেহ কোন অভিযোগ দেয় নি। তাছাড়া কোন অস্ত্রও উদ্ধার হয় নি। বিষয়টি তদন্ত করছি।

জুড়ীতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষেরে সংঘর্ষে যুবদল নেতার জড়িত হওয়া, প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়ায় কোন মামলা না হওয়া, কাউকে আটক না করা ও অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।