ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফাতেই বাঙালি জাতির মুক্তির বার্তা- কমলগঞ্জের আদমপুরে মহসিন মিয়া মধু মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা মৌলভীবাজার দেশীয় অ স্ত্র সহ ৫ জন আ ট ক মৌলভীবাজারের চার আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা রোডপারমিট বিহীন ও পুরাতন গাড়ী বন্ধের দাবীতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক মশাহিদ মেয়েকে হ/ত্যা করে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন বাবা মায়ের অভিযোগ শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নির্বাচিত হলেন নুশরাত জাহান সংগ্রাম পরিষদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা ও বিক্ষোভ মিছিল সাংবাদিক ইদ্রিস আলীর উপর পরিকল্পিত হা/ম/লা/র প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ, হা/ম/লাকারীদের গ্রে/প্তা/রের দাবী

জগদীশপুর বাওড় পাড়ে সরকারি জমিতে  অবৈধ  স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে ভৃমি অফিস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  জগদীশপুর বাওড় পাড়ে সরকারি জমিতে  অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে এ স্থাপনা ভেঙ্গে দেন কোটচাঁদপুরের ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানা যায়,কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর বাওড়। সম্প্রতি বাওড়টি নতুন করে ইজারা দিয়েছেন সরকার। ওই বাওড় পাড়ে মাছের খাবার রাখার ঘর করেছিলেন ইজারাপ্রাপ্তরা। তবে ওই জায়গাটি ছিল সরকারি খাস জায়গা। খাস জায়গায় কেউ অবৈধ স্থাপনা তৈরি করতে পারে না।
ইজারাপ্রাপ্তরা ওই জায়গায় এ স্থাপনা তৈরি করছিল। খবর পেয়ে সোমবার সকালে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ভেঙ্গে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাওড় ইজারাপ্রাপ্তদের পক্ষের জেলা পরিষদ সদস্য রাজিবুল কবির বলেন,আমরা বাওড় পাড়ে মাছের খাবারের ঘর করছিলাম। ওইটা নাকি সরকারের খাস জমি।
সেটি এলাঙ্গী ইউনিয়নের নায়েব শরিফুল ইসলাম এসে ভেঙ্গে দিয়েছেন। আমরা ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলার আগেই ভেঙ্গে দিয়েছেন। বিষয়টি ডিসি সাহেবকে জানিয়েছি।
তিনি বলেন, ওনারা আমাদের স্থাপনা না ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে বলতেন বা আমাদের নৌটিশ করতেন। তারা না করে ভেঙ্গে ফেললেন।
কোটচাঁদপুরের গুড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, জানতে পারলাম বাওড় পাড়ে কে বা কাহারা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছেন। খবর পেয়ে ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হামিদকে পাঠিয়ে ছিলাম। পরে আমি ও গিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে।
ওখানে মানুষকে আমরা ওই সময় দেখতে পায়নি। তবে জানতে পারলাম বাওড় যারা ইজারা নিয়েছেন, তারাই বাওড় পাহারা ও মালামাল রাখার জন্য স্থাপনা তৈরি করছিল। এলাঙ্গী নায়েব শরিফুল ইসলাম এটা ভেঙ্গে দেন।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন,উদ্ধোতন কর্মকর্তা আমাদের যা বলেন আমাদের তাই করা লাগে। নির্বাহী স্যার আমাকে অবৈধ ভাবে বাওড় পাড়ের স্থাপনা ভেঙ্গে দিতে বলেন।আমি সে মোতাবেক ভেঙ্গে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ওই সময় ঘটনাস্থলে কোন মানুষকে আমরা পায়নি। তবে জানতে পারলাম বাওড়ের ইজারাদাররা এই অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছিল।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জগদীশপুর বাওড় পাড়ে সরকারি জমিতে  অবৈধ  স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে ভৃমি অফিস

আপডেট সময় ০৮:২৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ  জগদীশপুর বাওড় পাড়ে সরকারি জমিতে  অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে এ স্থাপনা ভেঙ্গে দেন কোটচাঁদপুরের ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানা যায়,কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর বাওড়। সম্প্রতি বাওড়টি নতুন করে ইজারা দিয়েছেন সরকার। ওই বাওড় পাড়ে মাছের খাবার রাখার ঘর করেছিলেন ইজারাপ্রাপ্তরা। তবে ওই জায়গাটি ছিল সরকারি খাস জায়গা। খাস জায়গায় কেউ অবৈধ স্থাপনা তৈরি করতে পারে না।
ইজারাপ্রাপ্তরা ওই জায়গায় এ স্থাপনা তৈরি করছিল। খবর পেয়ে সোমবার সকালে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা ভেঙ্গে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাওড় ইজারাপ্রাপ্তদের পক্ষের জেলা পরিষদ সদস্য রাজিবুল কবির বলেন,আমরা বাওড় পাড়ে মাছের খাবারের ঘর করছিলাম। ওইটা নাকি সরকারের খাস জমি।
সেটি এলাঙ্গী ইউনিয়নের নায়েব শরিফুল ইসলাম এসে ভেঙ্গে দিয়েছেন। আমরা ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলার আগেই ভেঙ্গে দিয়েছেন। বিষয়টি ডিসি সাহেবকে জানিয়েছি।
তিনি বলেন, ওনারা আমাদের স্থাপনা না ভেঙ্গে সরিয়ে নিতে বলতেন বা আমাদের নৌটিশ করতেন। তারা না করে ভেঙ্গে ফেললেন।
কোটচাঁদপুরের গুড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, জানতে পারলাম বাওড় পাড়ে কে বা কাহারা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছেন। খবর পেয়ে ফাঁড়ির সহউপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হামিদকে পাঠিয়ে ছিলাম। পরে আমি ও গিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে।
ওখানে মানুষকে আমরা ওই সময় দেখতে পায়নি। তবে জানতে পারলাম বাওড় যারা ইজারা নিয়েছেন, তারাই বাওড় পাহারা ও মালামাল রাখার জন্য স্থাপনা তৈরি করছিল। এলাঙ্গী নায়েব শরিফুল ইসলাম এটা ভেঙ্গে দেন।
এলাঙ্গী ইউনিয়ন (ভূমি) সহকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন,উদ্ধোতন কর্মকর্তা আমাদের যা বলেন আমাদের তাই করা লাগে। নির্বাহী স্যার আমাকে অবৈধ ভাবে বাওড় পাড়ের স্থাপনা ভেঙ্গে দিতে বলেন।আমি সে মোতাবেক ভেঙ্গে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ওই সময় ঘটনাস্থলে কোন মানুষকে আমরা পায়নি। তবে জানতে পারলাম বাওড়ের ইজারাদাররা এই অবৈধ স্থাপনা তৈরি করছিল।