ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
টমটম পার্কিং নিয়ে সংঘর্ষ আটক -১৪ শাহ মোস্তফা পৌর ঈদগাহে হাজার মানুষের ঢল,তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত গ্রেটার সিলেট ডেভেলপয়েন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল (জিএসসি) ইন ইউকে এর অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ  বিতরণ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঊষার আলো সমাজকল্যাণ সংগঠনের ঈদের আনন্দ ৬০ ঘন্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর মৌলভীবাজার জেলা বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব জুড়ীতে দারুল কিরাত ফুলতলী ট্রাষ্টের সমাপনি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডসহ সর্বস্তরের জনসাধারণকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা মৌলভীবাজার জেলা বাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এম নাসের রহমান

জব্দ করা ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • / ৩২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; আলোচিত ১৪ ট্রাক ভারতীয় চোরাই চিনি এক কোটি ৪২ লাখ টাকায় সরকারি নিলাম ডাকে বিক্রি করা হয়েছে। নগরীর কালীঘাটের রুহেল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. গিয়াস মিয়া সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ওই চিনি কিনেছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে অতিরিক্ত মহানগর হাকিম (তৃতীয় আদালত) উম্মে হাবিবার আদালতে প্রকাশ্যে নিলামে ওই চিনি বিক্রি করা হয়।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘জব্দ চিনি থানায় রয়েছে। নিলাম ডাক পাওয়া ব্যবসায়ী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ থানায় নিয়ে এলে চিনি হস্তান্তর করা হবে।

জানা গেছে, সরকারি নিলাম কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আব্দুল মুমিনসহ কমিটির অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের অষ্টম তলায় বিকেলে প্রকাশ্যে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। জব্দ করা এক লাখ ৫ হাজার ৭০০ কেজি চিনির মধ্যে মামলার আলামত হিসেবে ৫ কেজি চিনি আদালতে সংরক্ষণ করে বাকি এক লাখ ৫ হাজার ৬৯৫ কেজি চিনি নিলাম হয়।

নিলামের বিট লিস্টে সর্বমোট ৭০ জন তাদের নাম তালিকাভুক্ত করেন। সবার উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ওই নিলামে ব্যবসায়ী মো. গিয়াস মিয়া প্রতি কেজি চিনির দাম ১২৫ টাকা করে কিনে নেন। তার সঙ্গে তাকে মোট টাকার সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাটও দিতে হবে।

চিনির মোট দাম এক কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা। ভ্যাটসহ দাম পড়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ২ হাজার ৭৬৬ টাকা। ক্রেতাকে ভ্যাটসহ চিনির দাম পরিশোধ করতে হবে তিন দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা গিয়াস মিয়া দক্ষিণ সুরমা থানার লতিফপুরের বাসিন্দা।

গত ৬ জুন মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার উমাইরগাঁওয়ে ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশের এসআই মো. সালাহ উদ্দিন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকে সীমান্তপথে অবৈধভাবে আনা চিনি চোরাচালানের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে বড় চোরাচালান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত দুই ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে চোরাই চিনির দুজন বাহকের নাম বলেছে। জবানবন্দির এ তথ্য পুলিশ যাচাই-বাছাই করে জড়িত চোরাচালানিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জব্দ করা ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি

আপডেট সময় ০৬:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক; আলোচিত ১৪ ট্রাক ভারতীয় চোরাই চিনি এক কোটি ৪২ লাখ টাকায় সরকারি নিলাম ডাকে বিক্রি করা হয়েছে। নগরীর কালীঘাটের রুহেল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. গিয়াস মিয়া সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ওই চিনি কিনেছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে অতিরিক্ত মহানগর হাকিম (তৃতীয় আদালত) উম্মে হাবিবার আদালতে প্রকাশ্যে নিলামে ওই চিনি বিক্রি করা হয়।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘জব্দ চিনি থানায় রয়েছে। নিলাম ডাক পাওয়া ব্যবসায়ী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ থানায় নিয়ে এলে চিনি হস্তান্তর করা হবে।

জানা গেছে, সরকারি নিলাম কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আব্দুল মুমিনসহ কমিটির অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের অষ্টম তলায় বিকেলে প্রকাশ্যে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। জব্দ করা এক লাখ ৫ হাজার ৭০০ কেজি চিনির মধ্যে মামলার আলামত হিসেবে ৫ কেজি চিনি আদালতে সংরক্ষণ করে বাকি এক লাখ ৫ হাজার ৬৯৫ কেজি চিনি নিলাম হয়।

নিলামের বিট লিস্টে সর্বমোট ৭০ জন তাদের নাম তালিকাভুক্ত করেন। সবার উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ওই নিলামে ব্যবসায়ী মো. গিয়াস মিয়া প্রতি কেজি চিনির দাম ১২৫ টাকা করে কিনে নেন। তার সঙ্গে তাকে মোট টাকার সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাটও দিতে হবে।

চিনির মোট দাম এক কোটি ৩২ লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা। ভ্যাটসহ দাম পড়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ২ হাজার ৭৬৬ টাকা। ক্রেতাকে ভ্যাটসহ চিনির দাম পরিশোধ করতে হবে তিন দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা গিয়াস মিয়া দক্ষিণ সুরমা থানার লতিফপুরের বাসিন্দা।

গত ৬ জুন মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার উমাইরগাঁওয়ে ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশের এসআই মো. সালাহ উদ্দিন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকে সীমান্তপথে অবৈধভাবে আনা চিনি চোরাচালানের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে বড় চোরাচালান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এ পর্যন্ত দুই ট্রাকচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে চোরাই চিনির দুজন বাহকের নাম বলেছে। জবানবন্দির এ তথ্য পুলিশ যাচাই-বাছাই করে জড়িত চোরাচালানিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে।