শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত ‘ টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বর্তমান সরকার দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর বাসযোগ্য টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং মানবসৃষ্ট পরিবেশ দূষণ মোকাবেলায় দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে, তরল বর্জ্য নির্গত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে তরল বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা স্থাপন করতে এবং শূন্য নিষ্কাশন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধ্য করছে।
বনমন্ত্রী বলেন, বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির আয়তন ২২ দশমিক ৩৭ থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির আয়তন ১৪ দশমিক ০১ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকার গাছ লাগানোর গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং গাছের চারা বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশকে সবুজ রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে সবুজ প্রবৃদ্ধিকে জনপ্রিয় করার পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শরিয়ার আলম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী, অনুশীলনকারী, শিক্ষার্থী এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্কলার, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।