ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম (ইউকে) থেকে শেখ মো. আতিকুর রহমানকে অব্যাহতি প্রদান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য” ঝিনাইদহে -শিমুল মৌলভীবাজার ক্লিনিকের সেবাদান কার্যক্রম জোরদারকরণ ও করণীয় বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত জুড়ীতে প্রবাসীদের অর্থায়নে গেইট স্থাপন চাঁদা নিতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ আটক ৫ শেখ মোঃ আতিকুর রহমানকে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাজ্যের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি আমাদের লড়াই ছিলো ফ‍্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ‍্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী মৌলভীবাজারে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দুই নম্বরি,বাটপারি করার চিন্তা থাকলে আগেই দল থেকে বের হয়ে যান,ধরা পড়লে কিন্তু খবর আছে- এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে এসএসসি/দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছা*ত্রশিবিরের সংবর্ধনা

জুড়ীতে অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৩১৯ বার পড়া হয়েছে

সিরাজুল ইসলাম- মৌলভীবাজারের জুড়ীতে কমর উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি গাছ নিলাম ছাড়াই বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক ফুলবান বেগম। উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে অবস্থিত কমর উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি গাছ কোনো রকম আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তার এ কান্ডে হতবাক এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে বিদ্যালয়ের জায়গা থেকে সদ্য কাটা দুইটি গাছের গুড়ি দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের গাছ দুটি রাস্তার উপরে কাত হয়ে ছিল। যে কোনো সময় গাছগুলো পড়ে গেলে পাশে থাকা মসজিদের দেয়াল ও গেট ভেঙ্গে যাওয়ার এমনকি পথচারীদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। এ কারনে প্রধান শিক্ষক গাছগুলো বিক্রি করেছেন।
গাছের ক্রেতা সাতির মিয়া তার বাড়ীতে রাখা গাছের ৬টি খন্ড দেখিয়ে বলেন- ৫শ টাকায় প্রধান শিক্ষক থেকে গত মঙ্গলবার গাছ দুটি কিনেছি, তবে এখনও টাকা দেয়া হয় নি। তিনি বলেন-বিদ্যালয়ের জায়গায় রাস্তার পাশে উদাল ও মাল্লি নামক দুইটি গাছ ছিল। সে গুলো ঝূঁকিপূর্ন থাকায় এলাকার মানুষ প্রধান শিক্ষককে বললে তিনি গাছগুলো বিক্রির উদ্যোগ নেন এবং আমি ক্রয় করি। তার অনুমতিতে গাছগুলো আমি শ্রমিক দিয়ে কাটিয়ে বাড়িতে এনেছি। অফিসিয়াল ঝামেলা তিনি (প্রধান শিক্ষক) সমাধান করবেন বলেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষক ফুলবান বেগমের বাড়ী এলাকায় হওয়ার কারণে সব কিছু তার ইচ্ছে মত হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। অনেক অভিভাকদের সাথে তিনি অনেকবার দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফুলবান বেগম গাছ কাটা বা বিক্রির বিষয়টি সম্পূর্নরূপে অস্বীকার করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমিজ উদ্দিন বলেন- ঝূঁকিপূর্ন গাছ গুলো কাটিয়ে রাখার কথা। কিন্তু পরে শোনেছি প্রধান শিক্ষক গাছ গুলো বিক্রি করেছেন। গাছ গুলো বিদ্যালয়ে ফেরৎ আনা হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন ভূইয়া জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জুড়ীতে অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি

আপডেট সময় ১২:২১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সিরাজুল ইসলাম- মৌলভীবাজারের জুড়ীতে কমর উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি গাছ নিলাম ছাড়াই বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক ফুলবান বেগম। উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে অবস্থিত কমর উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইটি গাছ কোনো রকম আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। তার এ কান্ডে হতবাক এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে বিদ্যালয়ের জায়গা থেকে সদ্য কাটা দুইটি গাছের গুড়ি দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের গাছ দুটি রাস্তার উপরে কাত হয়ে ছিল। যে কোনো সময় গাছগুলো পড়ে গেলে পাশে থাকা মসজিদের দেয়াল ও গেট ভেঙ্গে যাওয়ার এমনকি পথচারীদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। এ কারনে প্রধান শিক্ষক গাছগুলো বিক্রি করেছেন।
গাছের ক্রেতা সাতির মিয়া তার বাড়ীতে রাখা গাছের ৬টি খন্ড দেখিয়ে বলেন- ৫শ টাকায় প্রধান শিক্ষক থেকে গত মঙ্গলবার গাছ দুটি কিনেছি, তবে এখনও টাকা দেয়া হয় নি। তিনি বলেন-বিদ্যালয়ের জায়গায় রাস্তার পাশে উদাল ও মাল্লি নামক দুইটি গাছ ছিল। সে গুলো ঝূঁকিপূর্ন থাকায় এলাকার মানুষ প্রধান শিক্ষককে বললে তিনি গাছগুলো বিক্রির উদ্যোগ নেন এবং আমি ক্রয় করি। তার অনুমতিতে গাছগুলো আমি শ্রমিক দিয়ে কাটিয়ে বাড়িতে এনেছি। অফিসিয়াল ঝামেলা তিনি (প্রধান শিক্ষক) সমাধান করবেন বলেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষক ফুলবান বেগমের বাড়ী এলাকায় হওয়ার কারণে সব কিছু তার ইচ্ছে মত হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। অনেক অভিভাকদের সাথে তিনি অনেকবার দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফুলবান বেগম গাছ কাটা বা বিক্রির বিষয়টি সম্পূর্নরূপে অস্বীকার করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমিজ উদ্দিন বলেন- ঝূঁকিপূর্ন গাছ গুলো কাটিয়ে রাখার কথা। কিন্তু পরে শোনেছি প্রধান শিক্ষক গাছ গুলো বিক্রি করেছেন। গাছ গুলো বিদ্যালয়ে ফেরৎ আনা হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন ভূইয়া জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।