ঢাকা ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের আস্থা প্রকল্পের সহযোগিতায় সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে পরামর্শ সভা কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মমদুদ গ্রে/ফ/তা/ র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন খেলাফত মজলিস মনোনীত ও সম্ভাব্য ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী মাওলানা আহমদ বিলাল মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ৭ নেতা গ্রে ফ তা র এমবিই হাউস অব লর্ডসে বিশেষ সম্মাননায় ভূষি হলেন বাংলাদেশি ড. ওয়ালী তসর উদ্দিন মৌলভীবাজারে আইডিয়া’র আলো-আলো প্রকল্পের জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসি সভা শ্রীমঙ্গলে আ.লীগ নেতা ডা. হরিপদ রায় গ্রে/ফ/তা/র মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রোভার স্কাউটসহ পায়ে হেঁটে ১৫০ কি. মি. পথ পরিভ্রমণে – ৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় মৌলভীবাজারে মহান বিজয় দিবস উদযাপন শহিদদের প্রতি মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের শ্রদ্ধা

জুড়ীতে চা বাগান সর্দার হ/ত্যা: প্রদান আসামি গ্রে/ফ/তা/র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৪২ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ক্লিবডন চা বাগানের শ্রমিক সর্দার রামবচন গোয়ালা (৪০) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যার মূল আসামি গোলাপ সতনামী (৩৩) কে আলামতসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

আসামির কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত লাঠি, ভিকটিমের মোবাইল ফোন, জুতা, লাঠি বাঁধার গামছার টুকরা এবং আসামির মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মোঃ আজমল হোসেন।

এসময় জুড়ী থানার ওসি মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রামবচন গোয়ালা বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। স্বজনরা খোঁজাখুঁজি ব্যর্থ হলে ২৭ সেপ্টেম্বর কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন সকালে জুড়ীর কাপনাপাহাড় চা-বাগান এলাকায় রক্তের দাগ ও স্যান্ডেল দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে বাবুনালা ছড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম-সেবার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা ও কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেনের তত্ত্বাবধানে ওসি মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিশেষ টিম তদন্ত শুরু করে।

গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ৩ অক্টোবর ভোরে কামিনীগঞ্জ বাজার থেকে গোলাপ সতনামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সেদিন সন্ধ্যায় আসামি গোলাপ সতনামী রামবচনকে মদ খাওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং মোটরসাইকেলে রত্না চা বাগানে যায়। সেখানে চন্দন নামের এক ব্যক্তিসহ তারা মদ পান করে। এসময় চাকরি ফেরত চাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। রামবচন গোলাপকে গালিগালাজ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সে হত্যার পরিকল্পনা করে।

২০১৭ সালে গোলাপও রামবচনের কারণে চাকরি হারিয়েছিল, তাই তার দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে সাগরনাল চা বাগান থেকে ফেরার পথে বাবুনালা ছড়ার কাছে মোটরসাইকেল থামিয়ে গোলাপ কোদালের হাতল দিয়ে রামবচনের মাথায় একাধিক আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

হত্যার পর গোলাপ সোনারূপা চা বাগানে গিয়ে এক ব্যক্তিকে বিষয়টি জানায়। পরে দু’জনে মিলে লাশ টেনে বাবুনালা ছড়ায় ফেলে দেয় এবং গাছপালা ও মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জুড়ীতে চা বাগান সর্দার হ/ত্যা: প্রদান আসামি গ্রে/ফ/তা/র

আপডেট সময় ০৪:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

ষ্টাফ রিপোর্টার মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ক্লিবডন চা বাগানের শ্রমিক সর্দার রামবচন গোয়ালা (৪০) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যার মূল আসামি গোলাপ সতনামী (৩৩) কে আলামতসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

আসামির কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত লাঠি, ভিকটিমের মোবাইল ফোন, জুতা, লাঠি বাঁধার গামছার টুকরা এবং আসামির মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মোঃ আজমল হোসেন।

এসময় জুড়ী থানার ওসি মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রামবচন গোয়ালা বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। স্বজনরা খোঁজাখুঁজি ব্যর্থ হলে ২৭ সেপ্টেম্বর কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন সকালে জুড়ীর কাপনাপাহাড় চা-বাগান এলাকায় রক্তের দাগ ও স্যান্ডেল দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে বাবুনালা ছড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর পুলিশ সুপার এম.কে.এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন, পিপিএম-সেবার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা ও কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেনের তত্ত্বাবধানে ওসি মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিশেষ টিম তদন্ত শুরু করে।

গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ৩ অক্টোবর ভোরে কামিনীগঞ্জ বাজার থেকে গোলাপ সতনামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সেদিন সন্ধ্যায় আসামি গোলাপ সতনামী রামবচনকে মদ খাওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং মোটরসাইকেলে রত্না চা বাগানে যায়। সেখানে চন্দন নামের এক ব্যক্তিসহ তারা মদ পান করে। এসময় চাকরি ফেরত চাওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। রামবচন গোলাপকে গালিগালাজ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সে হত্যার পরিকল্পনা করে।

২০১৭ সালে গোলাপও রামবচনের কারণে চাকরি হারিয়েছিল, তাই তার দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে সাগরনাল চা বাগান থেকে ফেরার পথে বাবুনালা ছড়ার কাছে মোটরসাইকেল থামিয়ে গোলাপ কোদালের হাতল দিয়ে রামবচনের মাথায় একাধিক আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

হত্যার পর গোলাপ সোনারূপা চা বাগানে গিয়ে এক ব্যক্তিকে বিষয়টি জানায়। পরে দু’জনে মিলে লাশ টেনে বাবুনালা ছড়ায় ফেলে দেয় এবং গাছপালা ও মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।