ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুড়ীতে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় নির্মাণ যন্ত্র মাথায় পড়ে শিশু শিক্ষার্থী আহত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারে জুড়ীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণ কাজে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় ২য় তলা থেকে নির্মাণ যন্ত্র (লিফটার) মাথায় পড়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আল আমিন আহত হয়েছে। তার মাথায় ১২টি সেলাই দেয়া হয়েছে।

 

আহত ছাত্র স্থানীয় বাবুসিংহ গাঁও গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র আল আমিন আহমদ (৯)। ঘটনাটি বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের মোকামবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে।

বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, মোকামবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইজিপি ৪ প্রকল্পের আওতায় ১.১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ভিত্তির ২তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এলজিইডি, জুড়ী কার্যালয়ের তত্বাবধানে কুলাউড়ার মেসার্স সুমি কন্সট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে।

 

অনেক আগে কাজ সমাপ্তির মেয়াদ চলে গেলে ঠিকাদার সবে মাত্র নিচতলার ঢালাই শেষ করে দ্বিতীয় তলার সাটারিংয়ের কাজ শুরু করেছেন।
ভবনের পাকার কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রী মো: শুকুর মিয়া বলেন- বুধবার সকালে সেখানে রড তোলার কাজ চলছিল। এসময় ছাত্রটি নিচে টেপে পানি পান করতে যায়। সেসময় অসাবধানতাবশত একটি নির্মাণ যন্ত্র (লিফটার) পড়ে ছাত্রটির মাথা ফেটে যায়।

 

আহত ছাত্র আল আমিন আহমদ জানায় তার সাথে জাকারিয়া নামে আরো এক ছাত্র ছিল। খুন্তিটি (লিফটার) পড়তে দেখতে সে হাত দিয়ে ধরতে চাইলে হাতে আঘাত পায়। তখন খুন্তিটি আমার মাথায় পড়ে মাথা ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। আমি আর কিছু বলতে পারব না।

আহত ছাত্রের মা সেলিনা বেগম বলেন- সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতার ফলে বড় আকারের খুন্তি পড়ে আমার ছেলের মাথায় বড় আঘাত পেয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথায় ১২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফখর স্যার চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। আমি আমার ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফখর উদ্দিন বলেন- ঘটনার সাথে সাথে রক্তাত আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুমি কন্সট্রাকশন-এর স্বত্বাধিকারী কামরুল ইসলাম বলেন- শত শত প্রতিষ্ঠানের কাজ করি কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়া লাগে না। এখানে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আমি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জুড়ী কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন- কাজের মেয়াদ শেষ হলেও সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। ঠিকাদারকে নিয়ে ছেলেটিকে দেখতে গিয়েছি। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জুড়ীতে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় নির্মাণ যন্ত্র মাথায় পড়ে শিশু শিক্ষার্থী আহত

আপডেট সময় ০৫:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারে জুড়ীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণ কাজে নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় ২য় তলা থেকে নির্মাণ যন্ত্র (লিফটার) মাথায় পড়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আল আমিন আহত হয়েছে। তার মাথায় ১২টি সেলাই দেয়া হয়েছে।

 

আহত ছাত্র স্থানীয় বাবুসিংহ গাঁও গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র আল আমিন আহমদ (৯)। ঘটনাটি বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের মোকামবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে।

বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, মোকামবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইজিপি ৪ প্রকল্পের আওতায় ১.১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ভিত্তির ২তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এলজিইডি, জুড়ী কার্যালয়ের তত্বাবধানে কুলাউড়ার মেসার্স সুমি কন্সট্রাকশন নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করছে।

 

অনেক আগে কাজ সমাপ্তির মেয়াদ চলে গেলে ঠিকাদার সবে মাত্র নিচতলার ঢালাই শেষ করে দ্বিতীয় তলার সাটারিংয়ের কাজ শুরু করেছেন।
ভবনের পাকার কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রী মো: শুকুর মিয়া বলেন- বুধবার সকালে সেখানে রড তোলার কাজ চলছিল। এসময় ছাত্রটি নিচে টেপে পানি পান করতে যায়। সেসময় অসাবধানতাবশত একটি নির্মাণ যন্ত্র (লিফটার) পড়ে ছাত্রটির মাথা ফেটে যায়।

 

আহত ছাত্র আল আমিন আহমদ জানায় তার সাথে জাকারিয়া নামে আরো এক ছাত্র ছিল। খুন্তিটি (লিফটার) পড়তে দেখতে সে হাত দিয়ে ধরতে চাইলে হাতে আঘাত পায়। তখন খুন্তিটি আমার মাথায় পড়ে মাথা ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। আমি আর কিছু বলতে পারব না।

আহত ছাত্রের মা সেলিনা বেগম বলেন- সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতার ফলে বড় আকারের খুন্তি পড়ে আমার ছেলের মাথায় বড় আঘাত পেয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথায় ১২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফখর স্যার চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। আমি আমার ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফখর উদ্দিন বলেন- ঘটনার সাথে সাথে রক্তাত আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুমি কন্সট্রাকশন-এর স্বত্বাধিকারী কামরুল ইসলাম বলেন- শত শত প্রতিষ্ঠানের কাজ করি কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়া লাগে না। এখানে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আমি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জুড়ী কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন- কাজের মেয়াদ শেষ হলেও সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। ঠিকাদারকে নিয়ে ছেলেটিকে দেখতে গিয়েছি। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।