ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
উপজেলা পর্যায়ে ওয়ান-স্টপ সলিউশন সেন্টার স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে সম্মেলন আল্ট্রা-পুওর গ্রাজুয়েশন প্রোগ্রামের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে সুকিরাম নি হ ত কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধন ও পুনর্বাসন হয় – ডি আই জি প্রিজন্স আলতাব হোসেন মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত মৌলভীবাজারে আন্ত: কলেজ ফুটবল টূর্ণামেন্ট শুরু আল্লাহকে নিয়ে কটুক্তি ও কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি কমলগঞ্জে এক যাতায়াতের রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধিকতা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ তারুণ্যের উৎসব-২০২৫” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

জুড়ীতে হাতি দিয়ে অমানবিক কাজ চলছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল থেকে হাতি দিয়ে বড় বড় আকৃতির গাছ টেনে সমতলে নিয়ে আসা হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের কচুরগুল কুচাইথল পাহাড়ে সরেজমিনে এমন অমানবিক দৃশ্য দেখা যায়। পাশাপাশি স্হানীয়রা এই হাতিটি গর্ভবতি উল্লেখ করে বন্য প্রাণির প্রতি এমন নির্দয় আচরণের চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানা যায়,পৈতৃক সম্পত্তি সুত্রে হাতিটির মালিক স্হানীয় ধনকুবের পরিবারের মাতাব মিয়া ও আসুক মিয়া।

এদিকে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ি কোন প্রাণি দিয়ে ভারি, অমানবিক ও নিষ্টুর কাজ করানো দন্ডনীয় অপরাধ।

হাতির মাহুত দুদু মিয়া জানান, কুচাইথল পান পুঞ্জির উচে খাসিয়া জুড়ীর জনৈক এক কাঠ ব্যবসায়ির নিকট তার দখলিয় পাহাড়ের ২৫টি বনজ গাছ বিক্রি করেন। ওই কাঠ ব্যবসায়ি গাছগুলো কেটে সমতলে নিয়ে আসার জন্য দৈনিক পাঁচ হাজার টাকা (মাহুতসহ) মজুরিতে হাতিটি ভাড়া করেছেন। মাহুতের দাবি গাছ কাটার সরকারি অনুমতি থাকায় তারা শুধু গাছগুলো টেনে সমতলে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তিতে গত বুধবার থেকে হাতিটি দিয়ে কাজ করছেন। সবগুলো সমতলে পৌঁছাতে আরো কয়েক দিন সময় লেগে যাবে। তবে হাতিটি গর্ভবতি উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি অনিশ্চিত সুত্রে জানিয়ে অর্থ উপার্জনে নিরীহ প্রাণিটির উপর এমন নির্দয় আচরণের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জুড়ী বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আলাউদ্দিন জানান,আমরা খোজ নিয়েছি,হাতিটি গর্ভবতী নহে।
প্রয়োজনে মালিক পক্ষ হাতিটি ডাক্তারি পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের এসিএফ (শ্রীমঙ্গল) শ্যামল কুমার মিত্র জানান, এক সময় পোষা হাতি দিয়ে গাছ টানানোয় কোন বিধি নিষেধ ছিল না। কিন্তু বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ি কোন প্রাণি দিয়ে নিষ্টুর কোন কাজ করানো অমানবিক, আইন বর্হিভুত ও দন্ডনীয় অপরাধ। খোঁজ নিয়ে এব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

জুড়ীতে হাতি দিয়ে অমানবিক কাজ চলছে

আপডেট সময় ০৫:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল থেকে হাতি দিয়ে বড় বড় আকৃতির গাছ টেনে সমতলে নিয়ে আসা হচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকে উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের কচুরগুল কুচাইথল পাহাড়ে সরেজমিনে এমন অমানবিক দৃশ্য দেখা যায়। পাশাপাশি স্হানীয়রা এই হাতিটি গর্ভবতি উল্লেখ করে বন্য প্রাণির প্রতি এমন নির্দয় আচরণের চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানা যায়,পৈতৃক সম্পত্তি সুত্রে হাতিটির মালিক স্হানীয় ধনকুবের পরিবারের মাতাব মিয়া ও আসুক মিয়া।

এদিকে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ি কোন প্রাণি দিয়ে ভারি, অমানবিক ও নিষ্টুর কাজ করানো দন্ডনীয় অপরাধ।

হাতির মাহুত দুদু মিয়া জানান, কুচাইথল পান পুঞ্জির উচে খাসিয়া জুড়ীর জনৈক এক কাঠ ব্যবসায়ির নিকট তার দখলিয় পাহাড়ের ২৫টি বনজ গাছ বিক্রি করেন। ওই কাঠ ব্যবসায়ি গাছগুলো কেটে সমতলে নিয়ে আসার জন্য দৈনিক পাঁচ হাজার টাকা (মাহুতসহ) মজুরিতে হাতিটি ভাড়া করেছেন। মাহুতের দাবি গাছ কাটার সরকারি অনুমতি থাকায় তারা শুধু গাছগুলো টেনে সমতলে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তিতে গত বুধবার থেকে হাতিটি দিয়ে কাজ করছেন। সবগুলো সমতলে পৌঁছাতে আরো কয়েক দিন সময় লেগে যাবে। তবে হাতিটি গর্ভবতি উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি অনিশ্চিত সুত্রে জানিয়ে অর্থ উপার্জনে নিরীহ প্রাণিটির উপর এমন নির্দয় আচরণের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জুড়ী বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আলাউদ্দিন জানান,আমরা খোজ নিয়েছি,হাতিটি গর্ভবতী নহে।
প্রয়োজনে মালিক পক্ষ হাতিটি ডাক্তারি পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের এসিএফ (শ্রীমঙ্গল) শ্যামল কুমার মিত্র জানান, এক সময় পোষা হাতি দিয়ে গাছ টানানোয় কোন বিধি নিষেধ ছিল না। কিন্তু বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ি কোন প্রাণি দিয়ে নিষ্টুর কোন কাজ করানো অমানবিক, আইন বর্হিভুত ও দন্ডনীয় অপরাধ। খোঁজ নিয়ে এব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।