ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুড়ীতে ধর্ষক মাসুক মিয়ার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২
  • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ধর্ষক মাসুক মিয়ার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের রাণীমুড়া বীরগুগালী তার বাড়ির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুড়ীর ইয়াবা সিন্ডিকেটের হোতা, নারীলোভী, লম্পট ও ধর্ষক মাসুক মিয়ার অপকর্মে অতিষ্ট এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। মানুষকে বাড়িতে আটকে রেখে অত্যাচার ও হুমকি প্রদর্শন করে সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ‌ তার ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ যাতে মুখ খুলতে না পারে সেজন্য সে সবাইকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে রাখে।

‌ বক্তারা আরো বলেন, ধর্ষক মাসুকের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত ধর্ষক মাসুক মিয়ার ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। ‌ নজরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলাম জয়দুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ তারা মিয়া, আবদু মিয়া আবদন, আব্দুস শহীদ, দেলোয়ার হোসেন দিলু, জলিল মিয়া, মোঃ শাহীন মিয়া, হাফেজ হাফিজ আহমদ, মোজাহিদুল ইসলাম বেলাল, আমিরুল ইসলাম কাওসার, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল হাসিব নয়ন প্রমুখ।

এলাকার শত শত মানুষ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ধর্ষক মাসুক মিয়ার অপকর্মের বিচার দাবি করেন। উল্লেখ্য, মাসুক মিয়া তার ১৬ বছর বয়সী চাচাত বোনকে গত ৮ অক্টোবর বিকেলে নিজের মেয়ের বিয়ের কথা বলে পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া শহরের ভাড়া বাসা থেকে বাড়ীতে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে নারীলোভী, লম্পট মাসুক মিয়া তার ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোররাত অবধি ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষনের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত লম্পট মাসুক মিয়া। সকালে মাসুক মিয়ার ছেলের মোবাইল থেকে ভিকটিম তার ভাইকে বিষয়টি জানালে তার ভাই তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিক প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে জুড়ী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ধর্ষক মাসুককে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জুড়ীতে ধর্ষক মাসুক মিয়ার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০১:১৪:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ধর্ষক মাসুক মিয়ার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের রাণীমুড়া বীরগুগালী তার বাড়ির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুড়ীর ইয়াবা সিন্ডিকেটের হোতা, নারীলোভী, লম্পট ও ধর্ষক মাসুক মিয়ার অপকর্মে অতিষ্ট এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। মানুষকে বাড়িতে আটকে রেখে অত্যাচার ও হুমকি প্রদর্শন করে সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ‌ তার ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ যাতে মুখ খুলতে না পারে সেজন্য সে সবাইকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে রাখে।

‌ বক্তারা আরো বলেন, ধর্ষক মাসুকের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত ধর্ষক মাসুক মিয়ার ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। ‌ নজরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলাম জয়দুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ তারা মিয়া, আবদু মিয়া আবদন, আব্দুস শহীদ, দেলোয়ার হোসেন দিলু, জলিল মিয়া, মোঃ শাহীন মিয়া, হাফেজ হাফিজ আহমদ, মোজাহিদুল ইসলাম বেলাল, আমিরুল ইসলাম কাওসার, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল হাসিব নয়ন প্রমুখ।

এলাকার শত শত মানুষ মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ধর্ষক মাসুক মিয়ার অপকর্মের বিচার দাবি করেন। উল্লেখ্য, মাসুক মিয়া তার ১৬ বছর বয়সী চাচাত বোনকে গত ৮ অক্টোবর বিকেলে নিজের মেয়ের বিয়ের কথা বলে পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া শহরের ভাড়া বাসা থেকে বাড়ীতে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে নারীলোভী, লম্পট মাসুক মিয়া তার ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোররাত অবধি ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষনের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত লম্পট মাসুক মিয়া। সকালে মাসুক মিয়ার ছেলের মোবাইল থেকে ভিকটিম তার ভাইকে বিষয়টি জানালে তার ভাই তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিক প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে জুড়ী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ধর্ষক মাসুককে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।