ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস,লিখিত অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে

টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ

এম এ ওয়াহেদ লাখাইঃ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কোন ধরনের কাজ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রকাশ্যে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে । এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মুহিন শিপন নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ আদালতের রায় ও ডিক্রীমুলে রেকর্ড সংশোধনী ও নামজারীর অনুমতি প্রার্থনা করে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়। সেই আবেদনটি তদন্তের জন্য শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। আবেদনের অগ্রগতি জানতে ওই ভুক্তভোগী উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে সেখানকার কর্মরত ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন এবং চয়ন কুমার দাস তার কাছে একাধিকবার ঘুষ দাবি করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর কাছে সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন আহমেদ মতামত লিখা, নথি সৃজন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ বাবদ ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা ঘুষ দিতে হবে বলে জানান। ঘুষ না দেওয়ায় দিনের পর দিন তার ফাইল ফেলে রাখেন। এছাড়াও ওই ভুক্তভোগীসহ অনেকের কাছ থেকেই মিস মামলার শুনানির জন্য হাজিরা ফি বাবদ প্রকাশ্যে ৫০০ টাকা করে ঘুষ আদায় করেন সামছুদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মুহিন শিপন বলেন, শামসুদ্দিন এবং চয়ন দাস কে তাদের চাহিদা মত ঘুষ না দেওয়ায় আমার ফাইলটি দিনের পর দিন আটকে রেখেছে তারা। এতে করে তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌছতে সময় লেগেছে ৪ মাসেরও বেশি। এছাড়াও সামছু উদ্দিন আমার কাছ থেকে হাজিরা ফি বাবদ অনৈতিকভাবে ৫০০ টাকা নিয়েছে।শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে জন হয়রানী বন্ধে দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের অপসারণের দাবী জানাই।
আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল জানান, তিনি ১ টি কাজের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে তার কাছে ৩ হাজার টাকা দাবী করেন শামসুদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি ৩০০ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী মুহিনের সাথে আমার বিভিন্ন কারনে মনোমালিন্য থাকায় অভিযোগ করেছে। তিনি আরো বলেন অভিযোগকারী মুহিনের সাথে আমার দপ্তরের কিছু বিষয় রয়েছে তা নিয়ে হয়তো আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ।
একই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাহিদ ভূঞা এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি শুনেছি আমার অফিস সহকারী সামছু উদ্দীনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে।অভিযোগের আলোকে যদি আপনার অফিস সহকারী সামছুউদ্দীন গংদের বিরুদ্ধে সত্য প্রমানিত হয় তা হলে কি ব্যবস্তা নিবেন জানতে চাইলে তিনি জানান তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেয়ার আমার কোন ইখতিয়ার নাই তবে নিয়োগ কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস,লিখিত অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:২৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ

এম এ ওয়াহেদ লাখাইঃ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কোন ধরনের কাজ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রকাশ্যে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে । এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মুহিন শিপন নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ আদালতের রায় ও ডিক্রীমুলে রেকর্ড সংশোধনী ও নামজারীর অনুমতি প্রার্থনা করে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়। সেই আবেদনটি তদন্তের জন্য শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। আবেদনের অগ্রগতি জানতে ওই ভুক্তভোগী উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে সেখানকার কর্মরত ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন এবং চয়ন কুমার দাস তার কাছে একাধিকবার ঘুষ দাবি করে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর কাছে সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন আহমেদ মতামত লিখা, নথি সৃজন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ বাবদ ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা ঘুষ দিতে হবে বলে জানান। ঘুষ না দেওয়ায় দিনের পর দিন তার ফাইল ফেলে রাখেন। এছাড়াও ওই ভুক্তভোগীসহ অনেকের কাছ থেকেই মিস মামলার শুনানির জন্য হাজিরা ফি বাবদ প্রকাশ্যে ৫০০ টাকা করে ঘুষ আদায় করেন সামছুদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মুহিন শিপন বলেন, শামসুদ্দিন এবং চয়ন দাস কে তাদের চাহিদা মত ঘুষ না দেওয়ায় আমার ফাইলটি দিনের পর দিন আটকে রেখেছে তারা। এতে করে তদন্ত রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌছতে সময় লেগেছে ৪ মাসেরও বেশি। এছাড়াও সামছু উদ্দিন আমার কাছ থেকে হাজিরা ফি বাবদ অনৈতিকভাবে ৫০০ টাকা নিয়েছে।শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে জন হয়রানী বন্ধে দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের অপসারণের দাবী জানাই।
আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল জানান, তিনি ১ টি কাজের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে গেলে তার কাছে ৩ হাজার টাকা দাবী করেন শামসুদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি ৩০০ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী সামছুদ্দিন আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী মুহিনের সাথে আমার বিভিন্ন কারনে মনোমালিন্য থাকায় অভিযোগ করেছে। তিনি আরো বলেন অভিযোগকারী মুহিনের সাথে আমার দপ্তরের কিছু বিষয় রয়েছে তা নিয়ে হয়তো আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ।
একই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাহিদ ভূঞা এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি শুনেছি আমার অফিস সহকারী সামছু উদ্দীনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে।অভিযোগের আলোকে যদি আপনার অফিস সহকারী সামছুউদ্দীন গংদের বিরুদ্ধে সত্য প্রমানিত হয় তা হলে কি ব্যবস্তা নিবেন জানতে চাইলে তিনি জানান তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেয়ার আমার কোন ইখতিয়ার নাই তবে নিয়োগ কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে।