ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

টিপু হত্যা: পাঁচদিন আগে ‌‘কাট-আউট’ পদ্ধতিতে হত্যার কন্ট্রাক্ট

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:০১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২
  • / ৩২৬ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর শাহজানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতিকে গুলি করে হত্যা করে ভাড়াটে বন্দুকধারী মো. মাসুম ওরফে আকাশ।  ঘটনার পাঁচদিন আগে কাট-আউট পদ্ধতিতে একজনকে হত্যার কন্ট্রাক্ট পান মাসুম। গ্রেফতারের পর সে পুলিশকে জানিয়েছে, কিলিং মিশনের একদিন আগে তার কাছে অস্ত্র ও মোটরসাইকেল সরবরাহ করা হয়।

রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবির) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, হত্যার আগের তিনদিন টিপু রেস্টুরেন্ট থেকে বাসার উদ্দেশ্যে বের হলে রাস্তা অনুসরণ করে গুলি করার প্রস্তুতি নেন মাসুম। তবে বেশি লোকজন থাকায় সেদিন ব্যর্থ হন। ঘটনার দিন (২৪ মার্চ) এক ব্যক্তি টিপুর রেস্টুরেন্টে অবস্থান করে মাসুমকে আপডেট দিতে থাকেন।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, তার সহযোগী যারা ছিল, এ ঘটনার পেছনে কারা ছিল- তাদের গ্রেফতার করবো। এছাড়া মোটরসাইকেল ও অস্ত্র উদ্ধার করবো।

টিপুকে হত্যা করতে কত টাকা কন্ট্রাক্ট হয় জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, কত টাকার বিনিময়ে তা জানা যায়নি। তবে গ্রেফতার মাসুমের নামে এলাকায় বেশকিছু মামলা রয়েছে। সেই মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য টিপুকে হত্যার কন্ট্রাক্ট পান তিনি।

গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

টিপু হত্যা: পাঁচদিন আগে ‌‘কাট-আউট’ পদ্ধতিতে হত্যার কন্ট্রাক্ট

আপডেট সময় ০২:০১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২

রাজধানীর শাহজানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতিকে গুলি করে হত্যা করে ভাড়াটে বন্দুকধারী মো. মাসুম ওরফে আকাশ।  ঘটনার পাঁচদিন আগে কাট-আউট পদ্ধতিতে একজনকে হত্যার কন্ট্রাক্ট পান মাসুম। গ্রেফতারের পর সে পুলিশকে জানিয়েছে, কিলিং মিশনের একদিন আগে তার কাছে অস্ত্র ও মোটরসাইকেল সরবরাহ করা হয়।

রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবির) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, হত্যার আগের তিনদিন টিপু রেস্টুরেন্ট থেকে বাসার উদ্দেশ্যে বের হলে রাস্তা অনুসরণ করে গুলি করার প্রস্তুতি নেন মাসুম। তবে বেশি লোকজন থাকায় সেদিন ব্যর্থ হন। ঘটনার দিন (২৪ মার্চ) এক ব্যক্তি টিপুর রেস্টুরেন্টে অবস্থান করে মাসুমকে আপডেট দিতে থাকেন।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, তার সহযোগী যারা ছিল, এ ঘটনার পেছনে কারা ছিল- তাদের গ্রেফতার করবো। এছাড়া মোটরসাইকেল ও অস্ত্র উদ্ধার করবো।

টিপুকে হত্যা করতে কত টাকা কন্ট্রাক্ট হয় জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, কত টাকার বিনিময়ে তা জানা যায়নি। তবে গ্রেফতার মাসুমের নামে এলাকায় বেশকিছু মামলা রয়েছে। সেই মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য টিপুকে হত্যার কন্ট্রাক্ট পান তিনি।

গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।