ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আমাদের লড়াই ছিলো ফ‍্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ‍্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী মৌলভীবাজারে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দুই নম্বরি,বাটপারি করার চিন্তা থাকলে আগেই দল থেকে বের হয়ে যান,ধরা পড়লে কিন্তু খবর আছে- এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে এসএসসি/দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছা*ত্রশিবিরের সংবর্ধনা এনসিপির নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশের ক্ষমতা জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিবো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনে যে সকল ছাত্র জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা মিথ্যা জবানবন্দির বিরুদ্ধে রাতগাঁও গ্রামে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পাহাড়ী টিলা কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা লন্ডনে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এইচ এস সি ১৪ ব্যাচের মিলনমেলা জুড়ীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ

ড. আখতার হামিদ খানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), default quality?

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী ড. আখতার হামিদ খানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। তার মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বার্ড জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে তার ম্যুরালে বার্ডের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বার্ডের মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ।

ড. আখতার হামিদ খান পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সফল নেতৃত্ব দানের জন্য সমগ্র বিশ্বে অত্যন্ত সমাদৃত। বিশেষ করে পল্লী উন্নয়নের কার্যকর মডেল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তার অবদান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ষাটের দশকে ড. খানের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল-এর জন্য বার্ড বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে। ড. আখতার হামিদ খান ভারতের আগ্রায় ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৪ সালে ইংরেজী সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অধীনে অত্যন্ত সম্মানজনক ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস (আই.সি.এস) কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।

তিনি আইসিএস শিক্ষানবীস কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৩৬-৩৮ সালে ইংল্যান্ডের ম্যাগডিলিন কলেজ, কেমব্রীজ-এ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ঔপনিবেশিক প্রশাসনের অমানবিক মনোভাবের কারণে ১৯৪৪ সালে তিনি ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতের আলীগড়ে একটি গ্রামে শ্রমিক ও তালা মেরামতকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং দু’বছর পর তিনি সে কাজটি ছেড়ে দেন। এরপর ১৯৪৭ সাল থেকে দিল্লীর ‘জামিয়া মিল্লিয়া’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি শিক্ষক হিসেবে তিন বছর কাজ করেন।

১৯৫০ সালে তিনি কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৪-৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ‘ভি-এইড’ কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে ডেপুটেশনে তাঁকে নিয়োজন করা হয়। ১৯৫৮ সালে তিনি মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য গমন করেন। সেখান থেকে ফিরে তৎকালীন পাকিস্তান পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বর্তমানে বার্ড) এর প্রথম প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পল্লী উন্নয়নের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইহলোক ত্যাগ করেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. আখতার হামিদ খানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

আপডেট সময় ০৯:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী ড. আখতার হামিদ খানের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। তার মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বার্ড জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে তার ম্যুরালে বার্ডের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বার্ডের মহাপরিচালক সাইফ উদ্দিন আহমেদ।

ড. আখতার হামিদ খান পল্লী উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সফল নেতৃত্ব দানের জন্য সমগ্র বিশ্বে অত্যন্ত সমাদৃত। বিশেষ করে পল্লী উন্নয়নের কার্যকর মডেল উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তার অবদান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ষাটের দশকে ড. খানের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল-এর জন্য বার্ড বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে। ড. আখতার হামিদ খান ভারতের আগ্রায় ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৪ সালে ইংরেজী সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অধীনে অত্যন্ত সম্মানজনক ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস (আই.সি.এস) কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।

তিনি আইসিএস শিক্ষানবীস কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৩৬-৩৮ সালে ইংল্যান্ডের ম্যাগডিলিন কলেজ, কেমব্রীজ-এ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় ঔপনিবেশিক প্রশাসনের অমানবিক মনোভাবের কারণে ১৯৪৪ সালে তিনি ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতের আলীগড়ে একটি গ্রামে শ্রমিক ও তালা মেরামতকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং দু’বছর পর তিনি সে কাজটি ছেড়ে দেন। এরপর ১৯৪৭ সাল থেকে দিল্লীর ‘জামিয়া মিল্লিয়া’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি শিক্ষক হিসেবে তিন বছর কাজ করেন।

১৯৫০ সালে তিনি কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৫৪-৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের ‘ভি-এইড’ কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে ডেপুটেশনে তাঁকে নিয়োজন করা হয়। ১৯৫৮ সালে তিনি মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য গমন করেন। সেখান থেকে ফিরে তৎকালীন পাকিস্তান পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বর্তমানে বার্ড) এর প্রথম প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পল্লী উন্নয়নের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইহলোক ত্যাগ করেন।