ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
খেলাধুলা সামাজিক অবক্ষয় থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখবে’ মহসিন মিয়া মধু মোস্তফাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে ৬৬ লক্ষ টাকা লুট,ঘটনা রহস্যজনক স্বৈরাচার হাসিনা সরকার মানুষের অধিকার এতোটাই হরণ করেছিল যে ভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে পর্যন্ত দেয়নি – এম নাসের রহমান খেলার মাঠ থেকে মসজিদ পর্যন্ত এমন কোন জায়গা ছিল না, যেখানে দলীয় করণ ছিল না – জিকে গউস বিএনপি এখন বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক শক্তি,তাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ নেই – এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে পঞ্চকবি’র সাংস্কৃ‌তিক আয়োজন শনিবার মৌলভীবাজারে প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা কুলাউড়ায় সরকারি জমি উদ্ধার গ্রে ফ তা র হতে নিজেই আদালত প্রাঙ্গণে যাবেন জামায়াত আমির

তীব্র দাবদাহে সংকটের মুখে পড়েছে চা শিল্প

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
  • / ৫৮১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে সংকটের মুখে পড়েছে চা শিল্প। অনাবৃষ্টি অতিবৃষ্টির পর এবার অতিরিক্ত খরতাপের প্রভাবে দেশের দ্বিতীয় রপ্তানিপণ্য চা-এর  বাগানগুলোতে কমে গেছে উৎপাদন। আক্রমণ করেছে রেড স্পাইডার। ফলে প্রতিবছর উৎপাদন বাড়লেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেখা দিয়েছে সংশয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চায়ের উৎপাদন মৌসুম শুরু হয় প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে। আর শেষ হয় অক্টোবর-নভেম্বরে। চায়ের ভালো উৎপাদনের জন্য বৃষ্টি সহনীয় টিলামাটি, ছায়াবৃক্ষ আর প্রচুর বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া প্রয়োজন। তাপমাত্রা থাকতে হয় সর্বনিম্ন ২৫ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সিলেট বিভাগে ছিলো তীব্র দাবদাহ। এর কারণে কমেছে সিলেটের চা বাগানগুলোতে কমেছে উৎপাদন।

মৌলভীবাজার জেলার মাথিউরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ দৌলা জানান, আবার অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি অতিরিক্ত খরতাপ এই শিল্পের জন্য ক্ষতিকর। অথচ চলতি বছর মৌসুমের শুরুতেই এই শিল্পে বিপর্যয় নেমে আসে। মার্চ এপ্রিলের শুরুতে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় চায়ের চারাগাছগুলো প্রথম বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মে ও জুন মাসের শুরুতে অন্তত ১৫ দিন চায়ের গাছগুলো রোদের মুখ দেখেনি। এসময় সুর্যের আলো থেকে চায়ের কুড়ি যে খাবার পেয়ে থাকে তা পায়নি। আর এখন প্রচণ্ড খরতাপের কারণে চায়ের গাছগুলোতে রেড স্পাইডার (লাল মাখড়সা) আক্রমণ করেছে।

বাংলাদেশ টি রিচার্চ ইনস্টিটিটিউট (বিটিআরআই) সূত্র জানায়, ২০২০-২১ চা মৌসুমে দেশে ৯৫ দশমিক ৬০ মিলিয়ন কেজি এবং ২০২১-২২ মৌসুমে ৯৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন কে জি চা উৎপাদিত হয়। যাহা এ পর্যন্ত দেশে চায়ের সর্বোচ্চো উৎপাদন রেকর্ড।চলতি বছর ১০০ মিলিয়ন কেজি পর্যন্ত উৎপাদন হওয়ার কথা।

বাংলাদেশ চা অ্যাসোসিয়েশন সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান এবং ফিনলে টি-কোম্পানির ভাড়াউড়া চা বাগানের জেলারেল ম্যানেজার (জিএম) গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, আমাদের টার্গেট ছিল গত বছরের চেয়ে বেশি উৎপাদন রেকর্ড সৃষ্টি করার। কিন্তু লাগাতার অনাবৃষ্টি অতিবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে চা উৎপাদনে দশ শতাংশ পিছিয়ে আছি।

বাংলাদেশ টি রিচার্স ইনস্টিটিটিউট (বিটিআরআই) শ্রীমঙ্গলের গবেষকেরা অবশ্য আশাবাদী। তাদের অভিমত- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখন নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তীব্র দাবদাহে সংকটের মুখে পড়েছে চা শিল্প

আপডেট সময় ০৫:১৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে সংকটের মুখে পড়েছে চা শিল্প। অনাবৃষ্টি অতিবৃষ্টির পর এবার অতিরিক্ত খরতাপের প্রভাবে দেশের দ্বিতীয় রপ্তানিপণ্য চা-এর  বাগানগুলোতে কমে গেছে উৎপাদন। আক্রমণ করেছে রেড স্পাইডার। ফলে প্রতিবছর উৎপাদন বাড়লেও এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেখা দিয়েছে সংশয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চায়ের উৎপাদন মৌসুম শুরু হয় প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে। আর শেষ হয় অক্টোবর-নভেম্বরে। চায়ের ভালো উৎপাদনের জন্য বৃষ্টি সহনীয় টিলামাটি, ছায়াবৃক্ষ আর প্রচুর বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া প্রয়োজন। তাপমাত্রা থাকতে হয় সর্বনিম্ন ২৫ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সিলেট বিভাগে ছিলো তীব্র দাবদাহ। এর কারণে কমেছে সিলেটের চা বাগানগুলোতে কমেছে উৎপাদন।

মৌলভীবাজার জেলার মাথিউরা চা বাগানের ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ দৌলা জানান, আবার অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি অতিরিক্ত খরতাপ এই শিল্পের জন্য ক্ষতিকর। অথচ চলতি বছর মৌসুমের শুরুতেই এই শিল্পে বিপর্যয় নেমে আসে। মার্চ এপ্রিলের শুরুতে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় চায়ের চারাগাছগুলো প্রথম বাধার সম্মুখীন হয়। পরে মে ও জুন মাসের শুরুতে অন্তত ১৫ দিন চায়ের গাছগুলো রোদের মুখ দেখেনি। এসময় সুর্যের আলো থেকে চায়ের কুড়ি যে খাবার পেয়ে থাকে তা পায়নি। আর এখন প্রচণ্ড খরতাপের কারণে চায়ের গাছগুলোতে রেড স্পাইডার (লাল মাখড়সা) আক্রমণ করেছে।

বাংলাদেশ টি রিচার্চ ইনস্টিটিটিউট (বিটিআরআই) সূত্র জানায়, ২০২০-২১ চা মৌসুমে দেশে ৯৫ দশমিক ৬০ মিলিয়ন কেজি এবং ২০২১-২২ মৌসুমে ৯৬ দশমিক ৭০ মিলিয়ন কে জি চা উৎপাদিত হয়। যাহা এ পর্যন্ত দেশে চায়ের সর্বোচ্চো উৎপাদন রেকর্ড।চলতি বছর ১০০ মিলিয়ন কেজি পর্যন্ত উৎপাদন হওয়ার কথা।

বাংলাদেশ চা অ্যাসোসিয়েশন সিলেট ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান এবং ফিনলে টি-কোম্পানির ভাড়াউড়া চা বাগানের জেলারেল ম্যানেজার (জিএম) গোলাম মোহাম্মদ শিবলী জানান, আমাদের টার্গেট ছিল গত বছরের চেয়ে বেশি উৎপাদন রেকর্ড সৃষ্টি করার। কিন্তু লাগাতার অনাবৃষ্টি অতিবৃষ্টি ও প্রচন্ড তাপদাহে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে চা উৎপাদনে দশ শতাংশ পিছিয়ে আছি।

বাংলাদেশ টি রিচার্স ইনস্টিটিটিউট (বিটিআরআই) শ্রীমঙ্গলের গবেষকেরা অবশ্য আশাবাদী। তাদের অভিমত- জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখন নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে।