ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থানা থেকে ওয়ারেন্ট কপি ‘গায়েব’

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৮:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • / ৪৯৯ বার পড়া হয়েছে

সিলেটে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের মামলার এক পলাতক আসামির বিরুদ্ধে আদালত থেকে জারি করা গ্রেফতারি পরওয়ানা থানা থেকে গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের ওসমানীনগর থানায়।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিলেট জেলা পুলিশ কার্যালয়ে একটি মৌলিক অভিযোগ জানিয়েছে। তবে থানার ওসি বলছেন- ওয়ারেন্ট কপিটি খোয়া যায়নি। খুঁজলে পাওয়া যাবে। যদিও সংশ্লিষ্ট এস.আই বলছেন- এ কপি থানায় পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা যায়, সিলেটের ওসমানীনগরের দয়ামীর বাসিন্দা আবু তসলিম সৈয়দ মোতাহার আহমদ ওরফর রেজা আহমদ বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নগরীরর কোতোয়ালী মডেল থানায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক সিলেট শাখা। পরে দুদক বাদী হয়ে ২০২০ সালে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত থেকে (ওয়ারেন্ট) গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়।

এদিকে বুধবার (১৪ জুন) ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওসমানীনগর থানায় যোগাযোগ করলে মামলার ওয়ারেন্ট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খবির জানান আদালতের জারিকৃত ওয়ারেন্ট বর্তমানে থানায় নেই।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার ওয়ারেন্ট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খবির জানান, এই ওয়ারেন্টের বিষয়ে তাঁর কিছু নেই। পরে ব্যাংক কতৃপক্ষ এমন অভিযোগ করেছে জানালে তিনি বলেন, সব ওয়ারেন্টের খবরা খবর রাখা তো মুসকিল।

তবে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদুল আমিন জানান, ব্যাংক থেকে থানায় যার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিলো তিনি হয়তো ভুল বলেছে। এটা গায়েব হয়নি। আমরা আসামীকে ধরতে ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছি। টিম মাঠে কাজ করছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক সিলেট শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. মুহিতুর রহমান বলেন, আদালত থেকে জারিকৃত ওয়ারেন্ট থানা থেকে হারিয়ে যায় কিভাবে। আমাকে মামলার ওয়ারেন্ট অফিসার এসআই খবির যখন এ তথ্যটি জানিয়েছেন তখন আশ্চর্য হয়েছি। আমরা সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে বলা হয়েছে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো. সেলিম বলেন, ব্যাংক থেকে লোকজন আমাদের অফিসে এসেছিলেন। আমি সংশ্লিষ্ট থানায় বলেছি ভলো করে খোঁজ নিতে। এটা কার কাজ, কিভাবে হলো। যেহেতু কোর্টে রিই্যসু করার সুযোগ আছে তাই এটা সমস্যা হবে না।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

থানা থেকে ওয়ারেন্ট কপি ‘গায়েব’

আপডেট সময় ০৩:৪৮:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

সিলেটে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের মামলার এক পলাতক আসামির বিরুদ্ধে আদালত থেকে জারি করা গ্রেফতারি পরওয়ানা থানা থেকে গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের ওসমানীনগর থানায়।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিলেট জেলা পুলিশ কার্যালয়ে একটি মৌলিক অভিযোগ জানিয়েছে। তবে থানার ওসি বলছেন- ওয়ারেন্ট কপিটি খোয়া যায়নি। খুঁজলে পাওয়া যাবে। যদিও সংশ্লিষ্ট এস.আই বলছেন- এ কপি থানায় পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা যায়, সিলেটের ওসমানীনগরের দয়ামীর বাসিন্দা আবু তসলিম সৈয়দ মোতাহার আহমদ ওরফর রেজা আহমদ বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নগরীরর কোতোয়ালী মডেল থানায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক সিলেট শাখা। পরে দুদক বাদী হয়ে ২০২০ সালে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করে। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত থেকে (ওয়ারেন্ট) গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়।

এদিকে বুধবার (১৪ জুন) ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওসমানীনগর থানায় যোগাযোগ করলে মামলার ওয়ারেন্ট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খবির জানান আদালতের জারিকৃত ওয়ারেন্ট বর্তমানে থানায় নেই।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মামলার ওয়ারেন্ট অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খবির জানান, এই ওয়ারেন্টের বিষয়ে তাঁর কিছু নেই। পরে ব্যাংক কতৃপক্ষ এমন অভিযোগ করেছে জানালে তিনি বলেন, সব ওয়ারেন্টের খবরা খবর রাখা তো মুসকিল।

তবে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদুল আমিন জানান, ব্যাংক থেকে থানায় যার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিলো তিনি হয়তো ভুল বলেছে। এটা গায়েব হয়নি। আমরা আসামীকে ধরতে ইতিমধ্যে অভিযান শুরু করেছি। টিম মাঠে কাজ করছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক সিলেট শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. মুহিতুর রহমান বলেন, আদালত থেকে জারিকৃত ওয়ারেন্ট থানা থেকে হারিয়ে যায় কিভাবে। আমাকে মামলার ওয়ারেন্ট অফিসার এসআই খবির যখন এ তথ্যটি জানিয়েছেন তখন আশ্চর্য হয়েছি। আমরা সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে বলা হয়েছে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো. সেলিম বলেন, ব্যাংক থেকে লোকজন আমাদের অফিসে এসেছিলেন। আমি সংশ্লিষ্ট থানায় বলেছি ভলো করে খোঁজ নিতে। এটা কার কাজ, কিভাবে হলো। যেহেতু কোর্টে রিই্যসু করার সুযোগ আছে তাই এটা সমস্যা হবে না।