ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসলামী আইনে ধর্ষণের শাস্তি দাঁড়িপাল্লার পক্ষে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত এম সাইফুর রহমানের সহধর্মিণীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আপনার এসপি সেবা’  চালু বিএনপি সময়ের হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ” – নাসের রহমান মৌলভীবাজারে বাজারে বাজারে জনসংযোগে নাসের রহমান বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি, জনতার ঢল মৌলভীবাজারে হেক্সাস এবং বিট্রিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্দোগে চালু হয়েছে কম্পিউটার বেইজ আইএলটিএস এক্সাম সেন্টার

দাখিল মাদরাসার আয়াকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম – শিমুলতলা দাখিল মাদরাসার আয়া তকলিমাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে রোববার (১১ জুন) সকাল ৯ টায় মাদরাসা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এক অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।

অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে বক্তব্য রাখে মাদরাসার ছাত্র জুমন আহমদ,আমন উল্লাহ,শাওন আহমেদ, সুলেমান আহমদ,মাহফুজ হোসেন, ছাত্রী   ফাহমিদা আক্তার,বিউটি আক্তারসহ আরো অনেকেই।

ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়,আমাদের মাদরাসার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি ‍‍`আয়া‍‍` মোসাম্মদ তকলিমা বেগমের আচার – আচরন খুবই খারাপ। তার ব্যবহারে খুবই অতিষ্ট। মাদরাসার সভাপতি,  সুপার ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অশোদাচরণ করে। মাদরাসাকে ঘটনাস্থল উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ও বিভিন্ন দপ্তরে মাদরাসা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল করে। তাছাড়া তকলিমা বেগম ও তার স্বামী মহিউদ্দিন একাধিকবার গণমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদরাসার সুনাম ক্ষুন্ন সম্পর্কিত ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় ঐতিহ্যবাহী নয়াগ্রাম – শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুনাম – সুখ্যাতি দারুন ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

তকলিমা বেগমকে মাদরাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর গত ২১ মে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করার পরও মাদরাসার কমিটি  দৃশ্যমান  কোন  ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাই আজ আমরা  ‍‍`আয়া‍‍` তকলিমাকে স্থায়ী ভাবে  দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছি। তকলিমাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমাদের  আন্দোলন  কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

এক ঘন্টা  অবস্থান কর্মসূচী চলার পর মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম ও মাদরাসার সহকারি সুপার মোঃ ওয়াসিক উদ্দিন এসে  সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ‍‍`আয়া‍‍` তকলিমার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে ফিরে যায়।

উল্লেখ্য নয়াগ্রাম – শিমুলতলা মাদ্রাসার ‍‍`আয়া‍‍` তকলিমা বেগম বাদী  হয়ে শিমুলতলা গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে  জুমন মিয়ার বিরুদ্ধে শ্রীলতাহানির অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি পিটিশন মামলা ( নং- ১৯/ ২০২৩ ইং) দায়ের করেন। শ্লীলতাহানির স্থান মাদরাসায় উল্লেখ করায় বিভিন্ন দপ্তর থেকে তদন্ত টিম আসতে থাকে। এতে মানুষিক চাপসহ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পরতে হয় বীড়ম্বনায়। অনেক শিক্ষার্থী মাদরাসায় আসতে লজ্জাবোধ করে।

পরে মাননীয় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ২৭ ধারার বিধান মতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ডিশ মিশ করে দেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দাখিল মাদরাসার আয়াকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

আপডেট সময় ০৪:০১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম – শিমুলতলা দাখিল মাদরাসার আয়া তকলিমাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে রোববার (১১ জুন) সকাল ৯ টায় মাদরাসা প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা এক অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।

অবস্থান কর্মসূচী পালন কালে বক্তব্য রাখে মাদরাসার ছাত্র জুমন আহমদ,আমন উল্লাহ,শাওন আহমেদ, সুলেমান আহমদ,মাহফুজ হোসেন, ছাত্রী   ফাহমিদা আক্তার,বিউটি আক্তারসহ আরো অনেকেই।

ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়,আমাদের মাদরাসার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি ‍‍`আয়া‍‍` মোসাম্মদ তকলিমা বেগমের আচার – আচরন খুবই খারাপ। তার ব্যবহারে খুবই অতিষ্ট। মাদরাসার সভাপতি,  সুপার ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অশোদাচরণ করে। মাদরাসাকে ঘটনাস্থল উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ও বিভিন্ন দপ্তরে মাদরাসা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দাখিল করে। তাছাড়া তকলিমা বেগম ও তার স্বামী মহিউদ্দিন একাধিকবার গণমাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদরাসার সুনাম ক্ষুন্ন সম্পর্কিত ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় ঐতিহ্যবাহী নয়াগ্রাম – শিমুলতলা দাখিল মাদ্রাসার সুনাম – সুখ্যাতি দারুন ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

তকলিমা বেগমকে মাদরাসা থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর গত ২১ মে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করার পরও মাদরাসার কমিটি  দৃশ্যমান  কোন  ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাই আজ আমরা  ‍‍`আয়া‍‍` তকলিমাকে স্থায়ী ভাবে  দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছি। তকলিমাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত আমাদের  আন্দোলন  কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।

এক ঘন্টা  অবস্থান কর্মসূচী চলার পর মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম ও মাদরাসার সহকারি সুপার মোঃ ওয়াসিক উদ্দিন এসে  সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ‍‍`আয়া‍‍` তকলিমার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে ফিরে যায়।

উল্লেখ্য নয়াগ্রাম – শিমুলতলা মাদ্রাসার ‍‍`আয়া‍‍` তকলিমা বেগম বাদী  হয়ে শিমুলতলা গ্রামের মইনুল ইসলামের ছেলে  জুমন মিয়ার বিরুদ্ধে শ্রীলতাহানির অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি পিটিশন মামলা ( নং- ১৯/ ২০২৩ ইং) দায়ের করেন। শ্লীলতাহানির স্থান মাদরাসায় উল্লেখ করায় বিভিন্ন দপ্তর থেকে তদন্ত টিম আসতে থাকে। এতে মানুষিক চাপসহ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পরতে হয় বীড়ম্বনায়। অনেক শিক্ষার্থী মাদরাসায় আসতে লজ্জাবোধ করে।

পরে মাননীয় আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ২৭ ধারার বিধান মতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ডিশ মিশ করে দেন।