ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মৌলভীবাজারে জাতীয়তাবাদী রিক্স ভ্যান অটোচালক দল কমিটি গঠন দীর্ঘদিনের বিভেদ মুছে নেতাকর্মীরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে কাজ করার অঙ্গীকার মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ তে ৮ নেতা গ্রে ফ তা র আমে‌রিকা প্রবাসী বি‌শিষ্ট ব‌্যবসায়ী লায়ন শাহ নেওয়াজ সিআইপি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ সম্মাননায় ভূ‌ষিত শ্রীমঙ্গল হেলদি চয়েস ফুড বেভারেজ কোম্পানি ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে যুক্তরাজ্যের  বিখ্যাত  শেফ টমি মিয়া ও চেম্বার নেতৃবৃন্দ  মৌলভীবাজার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রে প্তা র সেনানিবাসে সুদানে নি হ ত ৬ শান্তিরক্ষীর জানাজা সম্পন্ন তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে সিইসির বৈঠক মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

দীর্ঘদিনের বিভেদ মুছে নেতাকর্মীরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে

দলীয় ঐক্যের ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা বিএনপির দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ বিরোধের অবসান হয়। মৌলভীবাজার–৩ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এম নাসের রহমান-এর উপস্থিতিতে এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ুন ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনের নেতৃত্বে এ ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সক্রিয় সহযোগিতায় রাজনগর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা সকল বিভেদ ভুলে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এক কাতারে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন।

এর আগে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির মধ্যেও দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা মনোমালিন্য ও পুঞ্জীভূত ক্ষোভের অবসান ঘটে। এ সময় জেলা বিএনপির সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২১ ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম সুন্দর বক্স-এর বাসভবনে রাজনগর উপজেলা বিএনপির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অংশ নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত, আলহাজ জামি আহমেদ, আশরাফুজ্জামান খান নাহাজ,স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান জুবের চৌধুরী, মো. জিতু মিয়া, সৈয়দ ইকরাম চৌধুরী,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম শেলুন, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন মাস্টারসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এম নাসের রহমান বলেন,
“দলের স্বার্থে আজ আমাদের সবাইকে ব্যক্তিগত ক্ষোভ, রাগ ও মান–অভিমান ভুলে যেতে হবে। ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। ঐক্যবদ্ধভাবে, মিলেমিশে কাজ করলে বিপুল ভোটে ধানের শীষকে বিজয়ী করা সম্ভব। সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে এই লড়াইয়ে অংশ নেবেন—এটাই আমার প্রত্যাশা ।”

বৈঠক শেষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি হওয়ার পর থেকে আমরা ঐক্য বদ্ধ ভাবে কার্যক্রম চালিয়েছি।

মাঝপথে একটু অসুবিধার জন্য কিছু রাগগোস্বা বেড়ে যায়। আবার এটাকে আমরা ঠিক করেছি।

যদিও এটার অ্যাফেক্ট লেগেছিল কিছু দলীয় কার্যক্রমে যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল,ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট একদিকে সেক্রেটারী একদিকে এইভাবে গ্রুপিংয়ের আলমতে ছিলাম।
তিনি বলেন- এই ত্রয়োদশ নির্বাচন অনেক কঠিন ব্যাপার। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে এই নির্বাচন খুব কঠিন নির্বাচন হবে।

অদৃশ্য শক্তি এটা বানচাল করা জন্য চেষ্টা করবে। তিনি অদৃশ্য শক্তি যেটি বলেছিলেন এটা আমাদের ও দেশবাসীর কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে।

অদৃশ্য শক্তি বলতে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছিলেন সকলেই বুজেছেন একটা শ্রেণী চাচ্ছে না একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গনতান্ত্রিক সরকার আসুক।

তিনি বলেন- যদিও আমরা দলের কাছে নমিনেশন চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের নেতার নির্দেশে প্রতীকের পক্ষে আমরা একমত। এখন প্রতীকের পক্ষে তো একমত হতে গেলে আমরা সকলে বসতে হয় সে লক্ষ্যে সবার সাথে ফোন করে আলাপ আলোচনা করে কথাবার্তা ঠিক করে আমার বাসায় বসে নাস্তা খেয়েছি। সেখানে এম নাসের রহমান, মিজানুর রহমান আরো নেতৃস্থানীয় সবাই আসলেন। সকলে মিলেমিশে ঐক্য মতে পৌঁছি। এটা বলা যেতে পারে প্রথম ধাপ। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে
পুনরায় ঐক্য বদ্ধ হওয়ার প্রয়াস ঐদিনই প্রথম।

এদিনই সকলে একমত হয়ে বড়পরিসরে বসার সিদ্ধান্ত নেই। অনেকেই বলেন তাদের দু:খ সুখ আছে। তারা প্রার্থীকে বলবেন। প্রার্থীও সকলের কথা রিসিভ করেন। পরবর্তীতে শহরের অভিজাত রেষ্টুরেন্টে বড় পরিসরে বসে সকলেই সকলের আলাপ আলোচন দুখ সুখ ক্ষোভ মন খুলে বলেন এম নাসের রহমান ও মনখুলে সকলের কথা শুনে আবার আমরা ঐক্য বদ্ধ হয়েছি। হওয়ারক পর আমাদের সকল নেতৃবৃন্দকে নাসের রহমান ডিনার খাওয়ান। সকলে মিলেমিশে ধানের শীষের প্রতীককে বিজয়ী করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কে উপহার দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে মাঠে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকারাবদ্ধ হন।

ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন- এর ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিএনপির মধ্যে চাপা থাকা বিরোধের অবসান ঘটে।
এম নাসের রহমান এর উপস্থিতিতে রাজনগর উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম সুন্দর বক্স এর বাড়িতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঐ বৈঠকে রাজনগর উপজেলা বিএনপির বিরোধ সমাধান করা হয়।
এতে বিএনপি নেতা জুবের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়ার জন্য আমি এবং সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন এবং এম নাসের রহমান আমরা তিনজনে মিলে তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠিয়েছি। ক
ময়ূন বলেছেন- আজকে রাজনগরে যে নেতৃবৃন্দর মাঝে বিরোধ ছিল তার সমাধান হয়েছে। এবং এটা পর্যায়ক্রমে আমাদের জেলার যে চারটি আসন আছে সেসব আসনেও সকল বিরোধের সমাধান করা হবে।
রাজনগরে বৈঠকে বিএনপি নেতা সৈয়দ ইকরাম সেও বৈঠকে ছিল। দীর্ঘ দিন সে দল থেকে আউটে ছিল। ওই বৈঠকে সকল নেতৃবৃন্দের এম নাসের রহমান ও ধানের শীষের প্রতীকে বিজয়ী করতে সকলে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

এসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন বলেন,বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলন–সংগ্রামে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ ও তিতিক্ষা দেখিয়েছেন, তার প্রকৃত সার্থকতা তখনই আসবে, যখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারব। এই লক্ষ্য অর্জনে বিভেদ ভুলে মাঠে নেমে কাজ করাই এখন সময়ের দাবি।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দীর্ঘদিনের বিভেদ মুছে নেতাকর্মীরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

আপডেট সময় ০১:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

দলীয় ঐক্যের ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা বিএনপির দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ বিরোধের অবসান হয়। মৌলভীবাজার–৩ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এম নাসের রহমান-এর উপস্থিতিতে এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ুন ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপনের নেতৃত্বে এ ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সক্রিয় সহযোগিতায় রাজনগর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা সকল বিভেদ ভুলে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এক কাতারে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেন।

এর আগে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির মধ্যেও দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা মনোমালিন্য ও পুঞ্জীভূত ক্ষোভের অবসান ঘটে। এ সময় জেলা বিএনপির সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গত ২১ ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম সুন্দর বক্স-এর বাসভবনে রাজনগর উপজেলা বিএনপির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অংশ নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত, আলহাজ জামি আহমেদ, আশরাফুজ্জামান খান নাহাজ,স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান জুবের চৌধুরী, মো. জিতু মিয়া, সৈয়দ ইকরাম চৌধুরী,জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম শেলুন, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন মাস্টারসহ উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এম নাসের রহমান বলেন,
“দলের স্বার্থে আজ আমাদের সবাইকে ব্যক্তিগত ক্ষোভ, রাগ ও মান–অভিমান ভুলে যেতে হবে। ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। ঐক্যবদ্ধভাবে, মিলেমিশে কাজ করলে বিপুল ভোটে ধানের শীষকে বিজয়ী করা সম্ভব। সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে এই লড়াইয়ে অংশ নেবেন—এটাই আমার প্রত্যাশা ।”

বৈঠক শেষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি হওয়ার পর থেকে আমরা ঐক্য বদ্ধ ভাবে কার্যক্রম চালিয়েছি।

মাঝপথে একটু অসুবিধার জন্য কিছু রাগগোস্বা বেড়ে যায়। আবার এটাকে আমরা ঠিক করেছি।

যদিও এটার অ্যাফেক্ট লেগেছিল কিছু দলীয় কার্যক্রমে যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল,ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট একদিকে সেক্রেটারী একদিকে এইভাবে গ্রুপিংয়ের আলমতে ছিলাম।
তিনি বলেন- এই ত্রয়োদশ নির্বাচন অনেক কঠিন ব্যাপার। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে এই নির্বাচন খুব কঠিন নির্বাচন হবে।

অদৃশ্য শক্তি এটা বানচাল করা জন্য চেষ্টা করবে। তিনি অদৃশ্য শক্তি যেটি বলেছিলেন এটা আমাদের ও দেশবাসীর কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে।

অদৃশ্য শক্তি বলতে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছিলেন সকলেই বুজেছেন একটা শ্রেণী চাচ্ছে না একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গনতান্ত্রিক সরকার আসুক।

তিনি বলেন- যদিও আমরা দলের কাছে নমিনেশন চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের নেতার নির্দেশে প্রতীকের পক্ষে আমরা একমত। এখন প্রতীকের পক্ষে তো একমত হতে গেলে আমরা সকলে বসতে হয় সে লক্ষ্যে সবার সাথে ফোন করে আলাপ আলোচনা করে কথাবার্তা ঠিক করে আমার বাসায় বসে নাস্তা খেয়েছি। সেখানে এম নাসের রহমান, মিজানুর রহমান আরো নেতৃস্থানীয় সবাই আসলেন। সকলে মিলেমিশে ঐক্য মতে পৌঁছি। এটা বলা যেতে পারে প্রথম ধাপ। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে
পুনরায় ঐক্য বদ্ধ হওয়ার প্রয়াস ঐদিনই প্রথম।

এদিনই সকলে একমত হয়ে বড়পরিসরে বসার সিদ্ধান্ত নেই। অনেকেই বলেন তাদের দু:খ সুখ আছে। তারা প্রার্থীকে বলবেন। প্রার্থীও সকলের কথা রিসিভ করেন। পরবর্তীতে শহরের অভিজাত রেষ্টুরেন্টে বড় পরিসরে বসে সকলেই সকলের আলাপ আলোচন দুখ সুখ ক্ষোভ মন খুলে বলেন এম নাসের রহমান ও মনখুলে সকলের কথা শুনে আবার আমরা ঐক্য বদ্ধ হয়েছি। হওয়ারক পর আমাদের সকল নেতৃবৃন্দকে নাসের রহমান ডিনার খাওয়ান। সকলে মিলেমিশে ধানের শীষের প্রতীককে বিজয়ী করে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কে উপহার দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে মাঠে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকারাবদ্ধ হন।

ফয়জুল করিম ময়ুন বলেন- এর ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বিএনপির মধ্যে চাপা থাকা বিরোধের অবসান ঘটে।
এম নাসের রহমান এর উপস্থিতিতে রাজনগর উপজেলার বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম সুন্দর বক্স এর বাড়িতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঐ বৈঠকে রাজনগর উপজেলা বিএনপির বিরোধ সমাধান করা হয়।
এতে বিএনপি নেতা জুবের চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়ার জন্য আমি এবং সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন এবং এম নাসের রহমান আমরা তিনজনে মিলে তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠিয়েছি। ক
ময়ূন বলেছেন- আজকে রাজনগরে যে নেতৃবৃন্দর মাঝে বিরোধ ছিল তার সমাধান হয়েছে। এবং এটা পর্যায়ক্রমে আমাদের জেলার যে চারটি আসন আছে সেসব আসনেও সকল বিরোধের সমাধান করা হবে।
রাজনগরে বৈঠকে বিএনপি নেতা সৈয়দ ইকরাম সেও বৈঠকে ছিল। দীর্ঘ দিন সে দল থেকে আউটে ছিল। ওই বৈঠকে সকল নেতৃবৃন্দের এম নাসের রহমান ও ধানের শীষের প্রতীকে বিজয়ী করতে সকলে একাত্মতা ঘোষণা করেন।

এসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন বলেন,বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলন–সংগ্রামে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যে ত্যাগ ও তিতিক্ষা দেখিয়েছেন, তার প্রকৃত সার্থকতা তখনই আসবে, যখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারব। এই লক্ষ্য অর্জনে বিভেদ ভুলে মাঠে নেমে কাজ করাই এখন সময়ের দাবি।”