ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ

দীর্ঘদিন পর মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান শেষে ঐক্যবদ্ধ,পালিত হল জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬৬৪ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ দীর্ঘদিন পর আবার মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান শেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিএনপি নেতা কর্মীরা প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম স্থায়ী সদস্য, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ এম সাইফুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভা হল রুমে জাতীয় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে।

৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলো জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত।


স্বাধীনতাত্তোর রাষ্ট্রীয় অনাচার, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহল নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে দেশকে ঠেলে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যই গণতন্ত্রবিনাশী কর্মকান্ড শুরু করে। সেইজন্য মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। শুরু হয় নির্মম একদলীয় দু:শাসন। দেশে নেমে আসে অশান্তি ও হতাশার কালো ছায়া। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলোকে হরণ করে।

দেশমাতৃকার এই চরম সংকটকালে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে। এই অরাজক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির সম্মিলন ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী স্বত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়, এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। আধিপত্যবাদী শক্তির এদেশীয় অনুচররা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্মমভাবে হত্যা করে। জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নব-গঠিত আহ্বায়ক জনাব ফয়জুল করিম ময়ুন এর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য মুহিতুর রহমান হেলালের সঞ্চালনায়।

বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জনাব এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির সদস্য মোশাররফ হোসেন বাদশা, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মুকিত, জেলা বিএনপির সদস্য আশিক মোশারফ, জেলা বিএনপির সদস্য মতিন বখস্, জেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবি ফোরামের সভাপতি এডভোকেট মামুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, সদর থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম.এ মুহিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান সহ প্রমুখ।

 

উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সদস্য মৌলভী আব্দুল ওয়ালি সিদ্দিকি, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম রিপন, জেলা বিএনপির সদস্য হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য বকস্ িমিছবাউর রহমান, পৌর বিএনপি আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপির সদস্য মাহমুদুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য মহসীন মিয়া মধু, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট বকস্ িজোবায়ের আহমদ, জেলা বিএনপির সদস্য মাহবুব ইজদানী ইমরান, জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কালাম বেলাল, জেলা বিএনপির সদস্য গাজী মারুফ, জেলা বিএনপির সদস্য আনিসুজ্জামান বায়েছ সহ প্রমুখ।

 

 

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন পর মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান শেষে ঐক্যবদ্ধ,পালিত হল জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

আপডেট সময় ১০:০৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ দীর্ঘদিন পর আবার মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি বিভক্তির অবসান শেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিএনপি নেতা কর্মীরা প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম স্থায়ী সদস্য, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ এম সাইফুর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পৌরসভা হল রুমে জাতীয় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে।

৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলো জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত।


স্বাধীনতাত্তোর রাষ্ট্রীয় অনাচার, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহল নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে দেশকে ঠেলে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যই গণতন্ত্রবিনাশী কর্মকান্ড শুরু করে। সেইজন্য মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। শুরু হয় নির্মম একদলীয় দু:শাসন। দেশে নেমে আসে অশান্তি ও হতাশার কালো ছায়া। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলোকে হরণ করে।

দেশমাতৃকার এই চরম সংকটকালে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে। এই অরাজক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির সম্মিলন ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী স্বত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়, এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। আধিপত্যবাদী শক্তির এদেশীয় অনুচররা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্মমভাবে হত্যা করে। জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নব-গঠিত আহ্বায়ক জনাব ফয়জুল করিম ময়ুন এর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য মুহিতুর রহমান হেলালের সঞ্চালনায়।

বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জনাব এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির সদস্য মোশাররফ হোসেন বাদশা, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মুকিত, জেলা বিএনপির সদস্য আশিক মোশারফ, জেলা বিএনপির সদস্য মতিন বখস্, জেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলাম, জেলা আইনজীবি ফোরামের সভাপতি এডভোকেট মামুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, সদর থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম.এ মুহিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান সহ প্রমুখ।

 

উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সদস্য মৌলভী আব্দুল ওয়ালি সিদ্দিকি, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম রিপন, জেলা বিএনপির সদস্য হেলু মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য বকস্ িমিছবাউর রহমান, পৌর বিএনপি আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপির সদস্য মাহমুদুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য মহসীন মিয়া মধু, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট বকস্ িজোবায়ের আহমদ, জেলা বিএনপির সদস্য মাহবুব ইজদানী ইমরান, জেলা বিএনপির সদস্য আবুল কালাম বেলাল, জেলা বিএনপির সদস্য গাজী মারুফ, জেলা বিএনপির সদস্য আনিসুজ্জামান বায়েছ সহ প্রমুখ।