দূর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক এম নাসের রহমানের বিরুদ্ধে “অবৈধ সম্পদ অর্জনের” বিষয়ে যা বললেন নাসের রহমান

- আপডেট সময় ০৭:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
- / ৪৮৪ বার পড়া হয়েছে

গতকাল আকস্মিকভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে তাদের ভাষায় “অবৈধ সম্পদ অর্জনের” এক অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে এক প্রেস ব্রিফিং প্রদান করে যা প্রায় সকল টিভি চ্যানেলগুলিতে প্রচার করা হয়। এই প্রেস ব্রিফিং আমাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে এবং এই তথাকথিত অভিযোগের যে কোন বিষয়বস্তু নাই তা আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই। “অবৈধ সম্পদ অর্জন” কেবল মাত্র ক্ষমতায় থাকলেই কারো পক্ষে অর্জন করতে পারা সম্ভব। বিএনপি গত প্রায় ১৯ বৎসর ক্ষমতায় বাইরে। তাই কিভাবে আমি তথাকথিত “অবৈধ সম্পদ অর্জন” করলাম তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। ১৯ বৎসর ক্ষমতার বাইরে বিরোধী দলে থেকে কোন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এই ধরণের আজগুবি ও বাস্তবতা বিবর্জিত অভিযোগ কিভাবে হতে পারে তা বোধগম্য নয়।
দ্বিতীয়ত, এই প্রেস ব্রিফিং যে উদ্দেশ্য প্রনোদিত তা স্পষ্টত প্রতীয়মান। কারণ কারো বিরুদ্বে অনুসন্ধান করে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার আগে মিডিয়ার পাবলিক ট্রায়াল করা দুদকের কাজ হতে পারে না। আমি একজন সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য। আমাকে কোন নোটিশ না পাঠিয়ে ও না জানিয়ে মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে কথিত অনুসন্ধানের প্রচার করা সম্পূর্ণ অবৈধ ও স্পষ্টত মানহানীকর।
আমি দুদকের এই তথাকথিত অনুসন্ধান সংবাদ প্রচার এর প্রেক্ষিতে বলতে চাই, আমার কোন অবৈধ সম্পদ নাই এবং কোন প্রাইভেট ব্যক্তির “অবৈধ সম্পদ অর্জন” সম্ভবও না। দুদক কোন প্রাইভেট ব্যক্তির সম্পদ অর্জনের তদন্তের জন্য গঠন করা হয় নাই। সেটার জন্য আয়কর বিভাগ আছে। আমি দুদকের এই প্রেস ব্রিফিংটি আমার সম্মানহানি করানোর জন্য বিশেষ কোন কর্মকর্তার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্ম বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবং অত্যন্ত কঠোরভাবে তাদের এই প্রেস ব্রিফিংএর প্রতিবাদ করছি। আমি অবিলম্বে তাদের এই বাস্তবতা বিবর্জিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এই বিষয়ে আমি আমার আইনগত প্রতিকারের উদ্দেশ্যে আমার আইনজীবিদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিব।
এম. নাসের রহমান
সাবেক সংসদ সদস্য
