ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ পালিত ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখর মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ তে ৫ নেতা গ্রে ফ তা র তারেক রহমানকে বরণ করতে মৌলভীবাজারের নেতাকর্মীরা ঢাকায় সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহনকারী ফ্লাইট তারেক রহমানের নিরাপদ স্বদেশ আগমন কামনায় মৌলভীবাজারে দোয়া মাহফিল কমলগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিলো ৪৬ বিজিবি মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেইজ- ২ তে ৬ নেতা গ্রে ফ তা র কুলাউড়ায় পিকআপের ধাক্কায় সড়কেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাঠক নন্দিত লেখক আসাদ মিলন এর স্বরচিত কবিতা ” আমার বিজয় দিবস, আমার ভাবনা “

দেশে মজুত আছে ৩০ দিনের ডিজেল, ১৯ দিনের অকটেন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৫১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২
  • / ৫১৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে ৩০ দিনে ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া, ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রোল ও ৩২ দিনের জেট ফুয়েল রয়েছে।

বুধবার (১০ আগস্ট) জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির, এ ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে। তবে অকটেনে ২৫ টাকার মতো লাভ হচ্ছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ক্রুডের কারণে পেট্রোল ও অকটেনের দাম বাড়ে। সুতরাং পেট্রোল ও অকটেনের দাম কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুণতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকার মতো। এ খাতে ভর্তুকির বিনিময়ে সরকার বিভিন্ন সময়ে ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকার মতো বিপিসিকে প্রদান করে। ওই সময়ে আরও প্রায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল, যা পরে বিপিসির মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।

এ বি এম আজাদ বলেন, আপনারা জানেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত সেটি বহাল আছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের প্রতি ব্যারেল কেনার খরচ পড়ত প্রতি ডলারে ৯৬ দশমিক ৯৫ ডলার। প্রতি লিটারে আমরা যখন এটাকে কস্টিং করি, প্রতি লিটার পরে ৮৩ টাকা ৬ পয়সা। ওই সময়ে বিপিসি বিক্রয় করতো ৮০ টাকা করে। সেখানে লিটারে ৩ টাকার মতো লোকসান ছিল।

তিনি বলেন, আবার ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন প্রতি মার্কিন ডলার ব্যারেল ১০৮ ডলার ৫৫ সেন্ট, সেটাকে টাকায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে হয় ৮৯ টাকা ৮৫ পয়সা। তখনও বিপিসি বিক্রি করেছে ৮০ টাকা লিটার। যে কারণে ওই মাসে ৯ টাকার মতো লোকসান গুনতে হয়েছে। এ ফর্মুলায় গত জুলাই মাসে প্রতি ব্যারেল মূল্য ছিল ১৩৯ দশমিক ৪৩ ডলার, টাকায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে খরচ পড়ত ১২২ টাকা ১৩ পয়সা। তখনও ওই তেল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এভাবে তেলের দাম বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে প্রতি লিটারে লোকসান এসে দাঁড়িয়েছিল ৪২ টাকা ১৩ পয়সা।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, এ পরিস্থিতিতে বিপিসির গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির প্রকৃত লোকসান ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিপিসি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। নতুন করে ১১টি প্রকল্প হাতে রয়েছে, যার খরচ প্রায় ৩৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার অধিক। ইআরএল ইউনিট-টু, যার প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ, যা বিপিসির নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে বিপিসির মুনাফার একটি অংশ এফডিআর করা হয়। আপনারা জানেন, বিপিসি তার অর্থ কোনো না কোনো ব্যাংকের হিসাবের বিপরীতে রাখতে হয়। প্রকল্পের যে অর্থগুলো, সেগুলো প্রকল্পের নামে এফডিআর খুলে রাখা হয়।

এ সময় তিনি সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি না নিয়ে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা টাকা থেকে গত ৬ মাসের জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে বলেও জানান।

দৈনিক আমার সংবাদ

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশে মজুত আছে ৩০ দিনের ডিজেল, ১৯ দিনের অকটেন

আপডেট সময় ০৩:৫১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে ৩০ দিনে ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া, ১৮ থেকে ১৯ দিনের অকটেন, ১৮ দিনের পেট্রোল ও ৩২ দিনের জেট ফুয়েল রয়েছে।

বুধবার (১০ আগস্ট) জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির, এ ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে। তবে অকটেনে ২৫ টাকার মতো লাভ হচ্ছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ক্রুডের কারণে পেট্রোল ও অকটেনের দাম বাড়ে। সুতরাং পেট্রোল ও অকটেনের দাম কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুণতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকার মতো। এ খাতে ভর্তুকির বিনিময়ে সরকার বিভিন্ন সময়ে ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকার মতো বিপিসিকে প্রদান করে। ওই সময়ে আরও প্রায় ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল, যা পরে বিপিসির মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।

এ বি এম আজাদ বলেন, আপনারা জানেন, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত সেটি বহাল আছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের প্রতি ব্যারেল কেনার খরচ পড়ত প্রতি ডলারে ৯৬ দশমিক ৯৫ ডলার। প্রতি লিটারে আমরা যখন এটাকে কস্টিং করি, প্রতি লিটার পরে ৮৩ টাকা ৬ পয়সা। ওই সময়ে বিপিসি বিক্রয় করতো ৮০ টাকা করে। সেখানে লিটারে ৩ টাকার মতো লোকসান ছিল।

তিনি বলেন, আবার ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন প্রতি মার্কিন ডলার ব্যারেল ১০৮ ডলার ৫৫ সেন্ট, সেটাকে টাকায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে হয় ৮৯ টাকা ৮৫ পয়সা। তখনও বিপিসি বিক্রি করেছে ৮০ টাকা লিটার। যে কারণে ওই মাসে ৯ টাকার মতো লোকসান গুনতে হয়েছে। এ ফর্মুলায় গত জুলাই মাসে প্রতি ব্যারেল মূল্য ছিল ১৩৯ দশমিক ৪৩ ডলার, টাকায় প্রতি লিটারে কনভার্ট করলে খরচ পড়ত ১২২ টাকা ১৩ পয়সা। তখনও ওই তেল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। এভাবে তেলের দাম বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে প্রতি লিটারে লোকসান এসে দাঁড়িয়েছিল ৪২ টাকা ১৩ পয়সা।

বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, এ পরিস্থিতিতে বিপিসির গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির প্রকৃত লোকসান ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকা। দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিপিসি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। নতুন করে ১১টি প্রকল্প হাতে রয়েছে, যার খরচ প্রায় ৩৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকার অধিক। ইআরএল ইউনিট-টু, যার প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ, যা বিপিসির নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে বিপিসির মুনাফার একটি অংশ এফডিআর করা হয়। আপনারা জানেন, বিপিসি তার অর্থ কোনো না কোনো ব্যাংকের হিসাবের বিপরীতে রাখতে হয়। প্রকল্পের যে অর্থগুলো, সেগুলো প্রকল্পের নামে এফডিআর খুলে রাখা হয়।

এ সময় তিনি সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি না নিয়ে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা টাকা থেকে গত ৬ মাসের জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে বলেও জানান।

দৈনিক আমার সংবাদ