ধান চুরি মামলায় আ. লীগ নেতা কারাগারে
- আপডেট সময় ১০:৫৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
- / ৩২৯ বার পড়া হয়েছে
ধান চুরির মামলায় চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসীমসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আমলী অঞ্চল আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন
মামলার বাদী জামানারা আক্তার লিনা কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী। মামলার বাদী ও আসামিরা একে অপরের আত্মীয় বলে জানা গেছে।
বাদীপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান চুরির মামলায় কারাগারে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- আদনান আমিন (৩০), ফরহাদ হোসেন (৪৫), ইফতেখার হোসেন শাওন (২৮), নুরুল আমিন (৫৫), অজি উল্যাহ (৪৫), খোরশেদ আলম (৪০), নোমান পাটওয়ারী (৩২) ও সফিউল্যা (৪৫)।
তাদের সবার বাড়ি রামগতির চরসীতা ও কমলনগরের তোরাবগঞ্জ এলাকায়।
এজাহার সূত্র জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদীর ৪ একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। ধানগুলোর বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল। ধান লুটে বাধা দেওয়ায় বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর লীনা বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তখন আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমলনগর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। চলতি বছর ১৫ মার্চ কমলনগর থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন।
জামানারা আক্তার লিনা জানান, আসামিরা তার মালিকানাধীন জমি থেকে রাতের অন্ধকারে ধান কেটে চুরি করে নিয়ে যায়। তারা (আসামিরা) বিভিন্ন অপরাধ কর্মের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ধান চুরি মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান জসিমসহ আসামিরা আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারা তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামিরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বাদীর জমির ২৫০ মণ ধান চুরি করে নিয়ে যায়।