ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মাহফুজ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ কাব স্কাউট নির্বাচিত খোলামেলা পোশাক ও ‘হারপিক’ মন্তব্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তসিবা বেগম কুলাউড়ায় মাদকসেবী তরুণের কারাদন্ড খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মৌলভীবাজারের নেতাকর্মীদের ঢল রাজনগরের মুন্সিবাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি: ৩ দোকানে জরিমানা সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবন ও হলরুমের উদ্বোধন এক ভবনে থাকছেন না শাশুড়ি ও ছেলের বউ বড়লেখায় চোরাই সিএনজি উদ্ধার ও চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রে-ফ-তা-র আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রাজু গ্রে-ফ-তার মৌলভীবাজাররে বিএনপি নেতার হুঁ শি য়া রী তে সরে গেল ফুচকার দোকান

নাসিব ধ্বংসে নানামুখী ষড়যন্ত্র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ২১৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ অতি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে গড়ে তোলা সংগঠন নাসিব এখন ধ্বংসের পথে। বহিরাগত কিছু লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে গুটিকয়েক বহিষ্কৃত সদস্যের নানান কারসাজি ও বিগত সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের কয়েকজন সদস্যের সরাসরি হস্তক্ষেপে এই সংগঠনটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারিতে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে শুরু হয়েছে সংগঠনটিকে মাটির তলায় মিশিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা। এই অভিযোগ সংগঠনের প্রায় সব সদস্যেরই।

নাসিবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা নুরুল গণী শোভন ও ঢাকা জেলা সভাপতি মুহম্মদ মুনির-উজ-জামান স্বপন অভিযোগ করে জানান, তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত ময়মনসিংহ জেলার সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংগঠনটিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। বৈধ পন্থায় সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত একটি সফল কমিটির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মহল বানোয়াট অভিযোগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। আর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের তদন্ত ও যথাযথ শুনানি ছাড়াই প্রশাসক নিয়োগ দেয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনিয়মতান্তিকভাবে এই প্রশাসক নিয়োগ করান। প্রশাসক নিয়োগের পর থেকে এই সংগঠনটি কার্যক্রম গতিশীলতা হারিয়ে দিন দিন স্থবির হয়ে পড়ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুব্রত কুমার দে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে নাসিবে কোনো কার্যক্রম নেই। এখন পর্যন্ত এসএমই খাত উন্নয়নে একটি কর্মসূচিও নেয়া হয়নি। প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর জেলা সভাপতিদের নিয়ে তিনি আজ পর্যন্ত একটি বৈঠকও করেননি। উপরন্তু নাসিবের ৬২টি জেলা কমিটি ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নাসিব ধ্বংসে নানামুখী ষড়যন্ত্র

আপডেট সময় ০৮:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ অতি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে গড়ে তোলা সংগঠন নাসিব এখন ধ্বংসের পথে। বহিরাগত কিছু লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে গুটিকয়েক বহিষ্কৃত সদস্যের নানান কারসাজি ও বিগত সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের কয়েকজন সদস্যের সরাসরি হস্তক্ষেপে এই সংগঠনটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারিতে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে শুরু হয়েছে সংগঠনটিকে মাটির তলায় মিশিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা। এই অভিযোগ সংগঠনের প্রায় সব সদস্যেরই।

নাসিবের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মির্জা নুরুল গণী শোভন ও ঢাকা জেলা সভাপতি মুহম্মদ মুনির-উজ-জামান স্বপন অভিযোগ করে জানান, তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত ময়মনসিংহ জেলার সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংগঠনটিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। বৈধ পন্থায় সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত একটি সফল কমিটির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মহল বানোয়াট অভিযোগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। আর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের তদন্ত ও যথাযথ শুনানি ছাড়াই প্রশাসক নিয়োগ দেয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনিয়মতান্তিকভাবে এই প্রশাসক নিয়োগ করান। প্রশাসক নিয়োগের পর থেকে এই সংগঠনটি কার্যক্রম গতিশীলতা হারিয়ে দিন দিন স্থবির হয়ে পড়ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুব্রত কুমার দে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে নাসিবে কোনো কার্যক্রম নেই। এখন পর্যন্ত এসএমই খাত উন্নয়নে একটি কর্মসূচিও নেয়া হয়নি। প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর জেলা সভাপতিদের নিয়ে তিনি আজ পর্যন্ত একটি বৈঠকও করেননি। উপরন্তু নাসিবের ৬২টি জেলা কমিটি ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।