উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওজোনস্তর রক্ষার উদ্দেশ্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কানাডার মন্ট্রিল শহরে মন্ট্রিল প্রটোকল নামে একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করে। দিবসটি স্মরণীয় করে রাখা এবং ওজোনস্তর রক্ষার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৫ সন থেকে বিশ্ব ওজোন দিবস বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি কর্তৃক এ বছরের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য – “Montreal Protocol@35: global cooperation protecting life on earth” যার ভাবার্থ করা হয়েছে “পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল- জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল” সময়োপযোগী হয়েছে। নিজদের অস্তিত্বের স্বার্থেই ওজোনস্তর রক্ষা করতে হবে।
বিশ্ব ওজোন দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে উপমন্ত্রী বলেন, বায়ুমন্ডলের গুরুত্বপূর্ণ ওজোন স্তর সুরক্ষার জন্য এই স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য বা গ্যাস যা এসি, ফ্রিজ, এরোসল, ফোম, ইনহেলারে ব্যবহার করা হয় সেগুলো মন্ট্রিয়ল প্রোটকল নির্ধারিত পরিমাণে আমদানি ও ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশ সফল হযেছে। সেই সাথে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পবিবেশ বান্ধব গ্যাস ও প্রযুক্তির প্রচলন ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের প্রাইভেট সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রযেছে এবং পিপিপি মডেলে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। বর্তমানে আরো কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া ওজোনস্তর ক্ষয়কারী গ্যাসসমূহ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় এই গ্যাসসমূহের ব্যবহার হ্রাসের মাধ্যমে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রীর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য ভূমিকা রাখছে।