নির্বাচন স্থগিতের আবেদন খারিজ শ্রীমঙ্গলে ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা

- আপডেট সময় ০৩:০৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৪১ বার পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সম্প্রতি সমিতির একাংশ নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
গত ১০ আগস্ট সমিতির সদস্য মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর সমিতির নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেন। তবে গত ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদনটি খারিজ করে দেন। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে এক জন ব্যবসায়ী বলেন, ২০১৭ সালে তিন বছরের জন্য নির্বাচিত কমিটি বর্তমানে আট বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদের প্রত্যক্ষ মদদে নির্বাচন ছাড়াই তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছে। এতে অসংখ্য ব্যবসায়ী ভোটার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তিনি ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান।
অন্যদিকে বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় থাকলেও তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন পক্ষ নির্বাচন স্থগিতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে সমিতির দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থে আমি নির্বাচন স্থগিতের দাবি তুলেছিলাম। যেহেতু আমার আবেদন খারিজ হয়েছে, তাই এখন আমি আইনগত পদক্ষেপ নেব।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসলাম উদ্দিন বলেন, মোহাম্মদ তাজ উদ্দিনের দাখিল করা আবেদনে অভিযোগ আনা হয়েছিল যে, নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন সদস্য একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সমর্থক। কিন্তু তার এ অভিযোগের পক্ষে কোনো দলিলপত্র বা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্য কোনো ব্যবসায়ী কিংবা প্রতিষ্ঠান থেকেও এ ধরনের অভিযোগ ওঠেনি। তাই অভিযোগটিকে ভিত্তিহীন ও সারবত্তাহীন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাত সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করবে। ফলে আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং নথিজাত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন জানান, ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি নির্বাচন স্থগিত করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ,নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরে ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনের দাবী জানিয়েছিলেন। যেহেতু আমার আবেদন না মঞ্জুর হয়েছে, এখন তিনি আইনগতভাবে এর মোকাবেলা করবেন বলে জানান।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা দিন দিন আরও বেড়ে চলেছে।
