ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি সংবাদ সম্মেলনে কমলগঞ্জে মণিপুরি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে বিদায়ী শিক্ষককে সংরবর্ধনা ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান মৌলভীবাজারে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন কমলগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মুজিবের শুভেচ্ছা বিনিময় কমলগঞ্জ চা শ্রমিক নিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় মহসিন মিয়া মধুর মতবিনিময় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক মাধ্যমিক ও কেজি স্কুলের মেধা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ৮ নভেম্বর বিল্পব সংহতি দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সমাবেশ মাওলানা আব্দুল হান্নান আ র নে ই শ্রীমঙ্গলে ছদ্মবেশে স্বামী-স্ত্রী সেজে পলাতক মাদক কারবারি গ্রে ফ তা র আমেরিকার আটলান্টিক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে কুলাউড়ার সোহেলের জয়

পাখি শিকারিদের বিষটোপে প্রাণ গেল ১৫০টি হাঁসের

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

বড়লেখা প্রতিনিধি: পাখি শিকারের জন্য শিকারিরা ধানের সঙ্গে মিশিয়ে রেখেছিল বিষ। আর তা খেয়েই প্রাণ গেছে এক খামার মালিকের দেড়শ’হাঁসের। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরের গুটাউরা হাওরখাল বিলের পাশে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

 

এই ঘটনায় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক মইনুল ইসলাম বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আকুলনগর গ্রামের মাওলানা আজমল হোসেনের ছেলে খামারি মইনুল ইসলাম ধার-দেনা করে হাকালুকি হাওরের গুটাউরা হাওরখাল বিলের পাশে একটি ঘর তৈরি করে হাঁসের খামার গড়ে তুলেন। খামারে তাঁর ৮৫০টি হাঁস আছে। প্রতিদিনের মতো বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় তার খামারের হাঁসগুলো গুটাউরা হাওরখাল বিলের উত্তর পাশে যায়। দুপুর একটার দিকে তিনি দেখতে পান তার খামারের কিছু হাঁস ঝিমাচ্ছে এবং কিছু হাঁস মারা যাচ্ছে। তখন তিনি বুঝতে পারেন পাখি শিকারের জন্য শিকারের দেওয়া বিষ মিশানো ধান খেয়ে তার হাঁস মারা যাচ্ছে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক মইনুল ইসলাম বুধবার রাতে জানান, প্রায় সময় পাখি শিকারিরা ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার করে। এতে তিনি তাদের বাধা-নিষেধ দেন। কিন্তু শিকারিরা শুনেনা।

 

তিনি অভিযোগ করেন, পাখি শিকারিদের দেওয়া বিষ মিশানো ধান খেয়ে তার খামারের ১৫০টি হাঁস মারা গেছে। এতে তাঁর প্রায় ৮২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। খামারের আরও কিছু হাঁস অসুস্থ রয়েছে। এগুলোও যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। এই ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী বুধবার রাতে বলেন, বিষটোপ খেয়ে এক খামার মালিকের ১৫০টি হাঁস মারা গেছে বলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পাখি শিকারিদের বিষটোপে প্রাণ গেল ১৫০টি হাঁসের

আপডেট সময় ০২:১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বড়লেখা প্রতিনিধি: পাখি শিকারের জন্য শিকারিরা ধানের সঙ্গে মিশিয়ে রেখেছিল বিষ। আর তা খেয়েই প্রাণ গেছে এক খামার মালিকের দেড়শ’হাঁসের। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরের গুটাউরা হাওরখাল বিলের পাশে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

 

এই ঘটনায় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক মইনুল ইসলাম বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আকুলনগর গ্রামের মাওলানা আজমল হোসেনের ছেলে খামারি মইনুল ইসলাম ধার-দেনা করে হাকালুকি হাওরের গুটাউরা হাওরখাল বিলের পাশে একটি ঘর তৈরি করে হাঁসের খামার গড়ে তুলেন। খামারে তাঁর ৮৫০টি হাঁস আছে। প্রতিদিনের মতো বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় তার খামারের হাঁসগুলো গুটাউরা হাওরখাল বিলের উত্তর পাশে যায়। দুপুর একটার দিকে তিনি দেখতে পান তার খামারের কিছু হাঁস ঝিমাচ্ছে এবং কিছু হাঁস মারা যাচ্ছে। তখন তিনি বুঝতে পারেন পাখি শিকারের জন্য শিকারের দেওয়া বিষ মিশানো ধান খেয়ে তার হাঁস মারা যাচ্ছে।

 

ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক মইনুল ইসলাম বুধবার রাতে জানান, প্রায় সময় পাখি শিকারিরা ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার করে। এতে তিনি তাদের বাধা-নিষেধ দেন। কিন্তু শিকারিরা শুনেনা।

 

তিনি অভিযোগ করেন, পাখি শিকারিদের দেওয়া বিষ মিশানো ধান খেয়ে তার খামারের ১৫০টি হাঁস মারা গেছে। এতে তাঁর প্রায় ৮২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। খামারের আরও কিছু হাঁস অসুস্থ রয়েছে। এগুলোও যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। এই ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী বুধবার রাতে বলেন, বিষটোপ খেয়ে এক খামার মালিকের ১৫০টি হাঁস মারা গেছে বলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।