ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পারিবারিক দন্ধে স্ত্রী মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ স্বামীর সঙ্গে  দ্বন্দে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেল স্ত্রী পারভিনা আক্তার সাথী (২৫)। মৃত  স্ত্রীকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালালেন স্বামী। শনিবার সন্ধ্যা রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামে। মৃতের সহকর্মী রুশিয়া খাতুন বলেন,অনেক দিন আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তারা বেনেপাড়ার লুৎফর মাস্টার বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। পারভিনার আগের সংসারে দুইটি সন্তান থাকলেও এ সংসারে কোন সন্তান নাই।

রুশি বলেন, প্রায় সময় তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। গলায় দড়ি দেয়ার পর তাঁর স্বামী আশরাফুল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর সে মারা যাবার খবর পেয়ে সে পালিয়ে গেছেন। আশরাফুল ইসলাম কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। সে একাধিক বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে এলাকাবাসী সুত্রে।

অন্যদিকে আশরাফুল ইসলাম ছিলেন পারভিনার দ্বিতীয় স্বামী। এ সংসারে কোন সন্তান না হলেও আগের দুইটি সন্তান আসে তাঁর কাছে।

পারভিনা কোটচাঁদপুর নাসিং হোমে আয়ার চাকুরী করতেন। সে চুয়াডাঙ্গা জেলার পঞ্চ বট তলার গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবযানী বিশ্বাস বলেন,ভ্যানে করে কয়েক জন তাকে নিয়ে আসেন। এরপর মৃতের খবর শুনে সবাই পালিয়েছে। আমরা  তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে আত্মাহত্যা করেছেন।পারিবারিক কলহে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

মৃত দেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে মৃতের প্রকৃত কারন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পারিবারিক দন্ধে স্ত্রী মৃত্যু

আপডেট সময় ১২:২৬:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধিঃ স্বামীর সঙ্গে  দ্বন্দে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেল স্ত্রী পারভিনা আক্তার সাথী (২৫)। মৃত  স্ত্রীকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালালেন স্বামী। শনিবার সন্ধ্যা রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামে। মৃতের সহকর্মী রুশিয়া খাতুন বলেন,অনেক দিন আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তারা বেনেপাড়ার লুৎফর মাস্টার বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। পারভিনার আগের সংসারে দুইটি সন্তান থাকলেও এ সংসারে কোন সন্তান নাই।

রুশি বলেন, প্রায় সময় তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। গলায় দড়ি দেয়ার পর তাঁর স্বামী আশরাফুল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর সে মারা যাবার খবর পেয়ে সে পালিয়ে গেছেন। আশরাফুল ইসলাম কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। সে একাধিক বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে এলাকাবাসী সুত্রে।

অন্যদিকে আশরাফুল ইসলাম ছিলেন পারভিনার দ্বিতীয় স্বামী। এ সংসারে কোন সন্তান না হলেও আগের দুইটি সন্তান আসে তাঁর কাছে।

পারভিনা কোটচাঁদপুর নাসিং হোমে আয়ার চাকুরী করতেন। সে চুয়াডাঙ্গা জেলার পঞ্চ বট তলার গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবযানী বিশ্বাস বলেন,ভ্যানে করে কয়েক জন তাকে নিয়ে আসেন। এরপর মৃতের খবর শুনে সবাই পালিয়েছে। আমরা  তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে আত্মাহত্যা করেছেন।পারিবারিক কলহে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

মৃত দেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে মৃতের প্রকৃত কারন।