পিতা হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে ছেলের সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় ০৪:২২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
- / ১২৬ বার পড়া হয়েছে

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
পিতার হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে ছেলে রিফাত হোসেনকে এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৃতের ভাই কামাল হোসেন ও তাঁর পরিবার। রবিবার সকালে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিবারটি।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,মৃতের বড় ভাই কাজী কামাল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,মৃতের মা মমতাজ বেগম,বোন কাজী খাদিজা পারভিন,কাজী হেলেনা পারভিন,,কাজী সুলতানা আনোয়ার সাথী,ভাই কাজাী আমির মোঃ পিন্টু।
তিনি বলেন,আমরা ১২ ভাই বোনের মধ্যে কাজী আমির মোঃ রিন্টু ওরফে দোদুল তিন নাম্বার। আমি তাকে ইটালিতে নিয়ে যায়। এরপর ওখানে সে ২০ বছর কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তিনি যা আয়-রোজগার করতেন, তাঁর বেশির ভাগ শ্বশুরের কাছে পাঠাতেন। শ্বশুর সে টাকা দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা করতেন। এ ছাড়া শ্যালক রাসেল হোসেনও বিভিন্ন বাহানা করে হাতিয়ে নেন কোটি টাকা।
এর কিছু দিন পর দেশে এসে ওই সব টাকার হিসাব চান শ্বশুর ও শ্যালকের কাছে রিন্টু। এতে বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া জানতে পারেন স্ত্রী আইরিন পারভীন রত্নার গোপন পরকীয়ার ঘটনা। সে থেকে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝামেলা লেগেই থাকতো। রিন্টু সেই ঝামেলা এড়াতে চুয়াডাঙ্গার পলাশ পাড়ার বাসা ছেড়ে স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে চলে যান কুষ্টিয়ায়।
ওখানে দেড় বছর থাকার পর হত্যার ৬ মাস আগে বাড়িতে ফেরেন স্ত্রী কথা মত। আসার পর আবারও শুরু হয় ঝামেলা। জানাজানি হয়ে পড়ে স্ত্রীর কু-কৃত্রি। সে থেকে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের ছক কষতে থাকেন শ্বশুর অনিকুল ইসলাম,শ্যালক রাসেল হোসেন ও স্ত্রী আইরিন পারভীন রত্না।
যার বহির প্রকাশ ঘটে গেল ২২ মার্চ রাতে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রিন্টুকে তারা কুপিয়ে জখম করে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
তিনি বলেন,তারা শুধু আমার ভাইকে হত্যা করে ক্ষান্ত হননি। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছেন মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র নাবালক কেএম রিফাত হোসেনকে। তাদের জাল থেকে রক্ষা পাননি রিন্টুর মেযে জারিন ইয়াসমিন রিতুও। তাকে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলার বাদী করা হয়েছে। বর্তমানে রিফাত যশোর শিশু সংশোধনাগার কারাগারে আছেন।
এদিকে শ্বশুর ও শ্যালকের কাছে পাঠানো টাকার হিসাব চাওয়া আর স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে বাধায় রিন্টুর জীবনে কাল হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁর ভাই কামাল হোসেন।
আপনাদের বাসা চুয়াডাঙ্গায়,আর হত্যা কান্ডটিও চুয়াডাঙ্গায় ঘটেছে। তাহলে কোটচাঁদপুরে সংবাদ সম্মেলন করছেন কেন, এমন প্রশ্ন তিনি বলেন,ভাই হত্যার পর থেকে আমরাও জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। কারন তারা আমার ভাইয়ের সব ব্যবসা ও অর্থ সম্পদ ইতোমধ্যে দখলে নিয়েছেন। দখলে রেখেছেন ভাইয়ের বাড়িটিও। এ সব কিছুতে আমরা বাধা দেয়ায়,তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত। তাই বাধ্য হয়ে চুয়াডাঙ্গার পরিবর্তে এখানে সংবাদ সম্মেলন করা।
তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সাথে সাথে ভাইপো রিফাত হোসেনের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মৃত রিন্টুর স্ত্রী আইরিন পারভীন রত্না বলেন,হত্যা সম্পর্কে আপনারা তো বিস্তারিত জানেন। আমার কাছে জিজ্ঞেস করার কি দরকার। এরপর তিনি বলেন, আমি বাইরে আছি। আর মোবাইলে এ সম্পর্ক আমি কিছু বলতে চাই না।
