ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ আব্দুর রকিব চৌধুরীর স্মরণে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকর্মীকে গ্রে প্তা র মৌলভীবাজারে ‘স্কলার্স’ ফাউন্ডেশনের জেলাব্যাপী মেধা যাচাই পরীক্ষা’২৫ অনুষ্ঠিত ভূমি দস্যু কলেজ শিক্ষকের প্রতারণার স্বীকার নারীর সংবাদ সম্মেলন লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত বিদায় আর রাষ্ট্রীয় সম্মানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হাদি জুলাই যুদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ শহীদ শরিফ ওসমান হাদির শেখানো মন্ত্রে উজ্জীবিত হবে..অন্তর্বর্তী সরকারের শহীদ শরীফ ওসমান হাদির জন্য দোয়া মাহফিল মৌলভীবাজার বারকে ফেয়ার প্লেয়ার্স এওয়ার্ডে ভূষিত দেশকে অস্থিতিশীল করার এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে… বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির

পুলিশের গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৫৯ বার পড়া হয়েছে

প্রবাস ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে উইন রোজারিও (২০) নামের এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে নিউইয়র্কের ওজোন পার্কের ১০১ অ্যাভিনিউয়ে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ৯১১ নম্বরে ফোন করেন রোজারিও। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশ কর্মকর্তা জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ওই তরুণের ব্যাপারে ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে দুই পুলিশ সদস্য ওই বাসায় যান। সেখানে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খলা ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। পুলিশের ধারণা, রোজারিও নিজেই ওই নম্বরে কল করেছিলেন।

জন চেল বলেন, বাসায় গিয়ে পুলিশ সদস্যরা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি একটি ড্রয়ার থেকে জোড়া কাঁচি বের করে পুলিশের দিকে আসেন। তখন দুই পুলিশ সদস্যই গুলি ছুড়ে তাকে বশে আনেন। এর আগে তার মা তাকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছিলেন।

ওই মুহূর্তে আত্মরক্ষার্থে পুলিশের গুলি ছোড়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তা চেল। তবে রোজারিওকে কতটি গুলি করা হয়, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। পরিবার বলেছে, তাকে ছয়টি গুলি করা হয়। পুরো ঘটনার দৃশ্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে বলে জানান জন চেল। তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

ওই ঘটনা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রোজারিওর ছোট ভাই উশতো রোজারিও (১৭) পুলিশি ভাষ্যের ভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়েছে। সে বলেছে, গুলি ছোড়ার আগে পুরোটা সময় তার মা ভাইকে জাপটে ধরে রেখেছিলেন। এমনকি ভাইকে ধরা রাখা অবস্থায়ই গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই গুলি ছোড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

উশতো রোজারিও আরও জানান, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন এবং সম্প্রতি বিষণ্ণতার মধ্যে ছিলেন।

নিহত উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল উইনের।

বাবার প্রশ্ন, তার ছেলে নিজেই যেহেতু বলেছে, সে মানসিক ভারসাম্যহীন। তাহলে তাকে কেন গুলি করে মারতে হলো? এ সময় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন তিনি।

এ নিয়ে গত দুই মাসে নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হলেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

পুলিশের গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু

আপডেট সময় ০২:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

প্রবাস ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে উইন রোজারিও (২০) নামের এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে নিউইয়র্কের ওজোন পার্কের ১০১ অ্যাভিনিউয়ে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ৯১১ নম্বরে ফোন করেন রোজারিও। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

পুলিশ কর্মকর্তা জন চেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মানসিক যন্ত্রণায় থাকা ওই তরুণের ব্যাপারে ৯১১ নম্বরে ফোনকল পেয়ে দুই পুলিশ সদস্য ওই বাসায় যান। সেখানে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, বিশৃঙ্খলা ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। পুলিশের ধারণা, রোজারিও নিজেই ওই নম্বরে কল করেছিলেন।

জন চেল বলেন, বাসায় গিয়ে পুলিশ সদস্যরা রোজারিওকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি একটি ড্রয়ার থেকে জোড়া কাঁচি বের করে পুলিশের দিকে আসেন। তখন দুই পুলিশ সদস্যই গুলি ছুড়ে তাকে বশে আনেন। এর আগে তার মা তাকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছিলেন।

ওই মুহূর্তে আত্মরক্ষার্থে পুলিশের গুলি ছোড়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না বলে দাবি করেন পুলিশ কর্মকর্তা চেল। তবে রোজারিওকে কতটি গুলি করা হয়, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। পরিবার বলেছে, তাকে ছয়টি গুলি করা হয়। পুরো ঘটনার দৃশ্য পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে বলে জানান জন চেল। তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

ওই ঘটনা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রোজারিওর ছোট ভাই উশতো রোজারিও (১৭) পুলিশি ভাষ্যের ভিন্ন ধরনের বক্তব্য দিয়েছে। সে বলেছে, গুলি ছোড়ার আগে পুরোটা সময় তার মা ভাইকে জাপটে ধরে রেখেছিলেন। এমনকি ভাইকে ধরা রাখা অবস্থায়ই গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই গুলি ছোড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

উশতো রোজারিও আরও জানান, তার ভাই দুই বছর আগে ওজোন পার্কের জন অ্যাডামস হাই স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন এবং সম্প্রতি বিষণ্ণতার মধ্যে ছিলেন।

নিহত উইন রোজারিওর বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছিল উইনের।

বাবার প্রশ্ন, তার ছেলে নিজেই যেহেতু বলেছে, সে মানসিক ভারসাম্যহীন। তাহলে তাকে কেন গুলি করে মারতে হলো? এ সময় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন তিনি।

এ নিয়ে গত দুই মাসে নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হলেন।