পেরুর রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহিত
- আপডেট সময় ০১:০১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৩১০ বার পড়া হয়েছে
প্রবাস ডেস্ক : দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরু প্রজাতন্ত্রের রাজধানী লিমায় ও পেরুর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়-“গভর্মেন্ট প্যালেস”-এ ৮ ফেব্রুয়ারি পেরুর রাষ্ট্রপতি Dina Boluarte’র কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন।
পরিচয়পত্র পেশ করার সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবু্দ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পেরুর রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ এবং পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব”।
বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন যে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য এটি উপযুক্ত মূহুর্ত।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে।
এছাড়া জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা, শান্তি বিনির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পেরুর রাষ্ট্রপতি Dina Boluarte রাষ্ট্রদূত মুহিতের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন এবং তার মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরিচয়পত্র উপস্থাপনের পর, রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রী Javier González-Olaechea Franco জাভিয়ের গঞ্জালেজ-ওলেচিয়া ফ্রাঙ্কো, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রী Juan Carlos Matthews এবং সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডের প্রধান জেনারেল David Guillermo Ojeda Parra’র সাথে সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত এশিয়া ও ওশেনিয়া্ দপ্তরের মহাপরিচালক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উভয় পক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
বিশেষ করে শান্তিরক্ষা এবং শান্তি বিনির্মাণে যেখানে বাংলাদেশ পেরুর সাথে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি শেয়ার করতে পারে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি পেরুর সশস্ত্র বাহিনীকে একটি Remotely Operated Vehicle (ROV) প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যা MINUSCA-তে পেরুর শান্তিরক্ষীরা ব্যবহার করতে পারবে। আগামি এপ্রিলের কোনো এক সময় ঢাকায় এ হস্তান্তর অনুষ্ঠান হবে বলে আশা করা যায়।