প্রচন্ড তাপদাহে দিশেহারা কোকিল পাখির করুণ মৃত্যু
- আপডেট সময় ০৪:১৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
- / ৫২৫ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধিঃ বৈশাখের কাঠফাঁটা রোদ আর তীব্র গরমে মানুষ যখন দিশেহারা। তেমনই তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে প্রাণীকুল। প্রচন্ড তাপদাহে থেকে গেছে একটি কোকিল পাখি কুহু কুহু কন্ঠ। পাখিটি দিশেহারা হয়ে উড়তে উড়তে অটোরিকসার সাথে থাক্কা লেগে করুণ মৃত্যু হয়। তাকে বাচাঁতে পথচারিরা প্রাণপণ চেষ্টা করলেও অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সুরের পাখি কোকিলটি।
রোববার (১৭ এপ্রিল) ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুরের আজমপুর বাজারের কিছু আগে। ওই পথ দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন লালতীর সীড কোম্পানির ডিভিশনাল ম্যানাজার তাপশ চক্রবর্তী। চলার পথে তিনি দেখতে পান একটি পাখি উড়ন্ত অবস্থায় হঠাৎ করে চলাচলরত একটি অটোরিকসার সাথে থাক্কা খেয়ে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে ডানা ঝাপটাচ্ছে। তখন তাপশ চক্রবর্তী মোটরসাইকেলটি থামিয়ে পাখিটির কাছে গিয়ে দেখেন জ্ঞান হারিয়ে পড়ে আছে। এরপর এ পথ দিয়ে চলাচলরত আরো কয়েকজন এগিয়ে আসেন। পরে গুরুতর আহত পাখিটির প্রাণ বাচাঁতে প্রাণপণ চেষ্টা চালান তারা। পাখিটির প্রাণ বাঁচাতে পথচারিদের নিয়ে তাপশ চক্রবর্তী পাশের ডুবা থেকে পানি এনে পাখিটিকে খাওয়ান এবং পাখিটির মাথায় ঢালেন। আবার কেউ কেউ পাখিটিকে বাতাস করেন। এক পর্যায়ে জ্ঞানহীন পাখিটি চোখ মেলে মানুষ গুলোর দিকে তাকায়। পাখিটির জ্ঞান ফিরে আসায় তাপশ চক্রবর্তীসহ অন্যরা সবাই খুশি হয়। পরক্ষনেই পাখিটি আবার জ্ঞান হারিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে। এরপর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সুরের পাখি কোকিলটির এমন নির্মম মৃত্যু দেখে সবাই নির্বাক হয়ে পড়েন। এ ঘটনাটি সন্ধ্যার সময় তাপশ চক্রবর্তী তার ফেজবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে প্রকাশ করেন। পাখিটির ছবি দিয়ে তিনি লিখেন, কোকিলটির এমন মৃত্যু দেখে মুহূর্তের মধ্যেই সবার চোখ ঝাপসা হয়ে আশে। এটাই বুঝি প্রকৃতির আর প্রাণির প্রতি মানুষের ভালোবাসার নিদর্শন বা বহিঃপ্রকাশ। তাপশ চক্রবর্তী আরো লিখেন, ভালোবাসা মানবতা, মানবিকতা এখনো বেঁচে আছে, বিস্তৃতিটা সংকীর্ণ হলেও লড়াই করছে প্রাণপণ।