প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছেন,আমরা খুশি হয়ে কাজে যোগ দিয়েছি
- আপডেট সময় ১০:৪০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
- / ২৯৫ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর সাথে মালিক পক্ষের বৈঠকের পর ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অধিকাংশই বাগানের চা শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেক বাগানের শ্রমিকরা কাজ যাননি।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া, ভুরভুরিয়া, খাইছড়া চা বাগান ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকেরা উচ্ছসিত হয়ে কাজ করছেন।
চা শ্রমিকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছেন,আমরা খুশি হয়ে কাজে যোগ দিয়েছি। তিনি ১৭০ টাকা মজুরি নিধারণ করায় মনোযোগ দিয়ে পাতি তুলছি।
ভাড়াউড়া চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মজুরি নিধারণ করায় চা শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাগানে পাঠিয়েছি। তাঁরা বাগানে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিক বাঁচাও,মালিক বাঁচাও এবং বাগান বাঁচাও সর্বদিক বিচার বিশ্লেষণ করে যে মজুরি ১৭০ নিধারণ করেছেন সেটাতে আমরা খুশি। আমরা ফিনলে বাগানের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চা বাগানে শ্রমিক ময়না হাজরা বলেন,অনেক আনন্দ আজকে লাগছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী হাজিরা ১৭০টাকা করেছে। এতদিন ঘরে বসে ছিলাম। এক বেলা খাইছি,আরেক বেলা খাইতে পারছি না। এখন তিন বেলা খাইতে পারব। একই কথা জানালেন,মঞ্জু হাজরা,বিদ্যাবতী হাজরা।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন তাঁরা। এত দিন ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করেছিলেন তাঁরা। আজ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘মালিকপক্ষের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আড়াই থেকে তিনঘন্টা আলোচনা করেছেন। তিনি চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নিধারণ করেছেন। আমরা ১৭০ টাকা মেনে নিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। প্রত্যেক বাগানের স¦স্ব শ্রমিকেরা কাজে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সবাই কাজে যাচ্ছেন। আজ রোববার বাগানগুলো সাপ্তাহিক ছুটি থাকে বিধায় কিছু বাগানের শ্রমিকেরা কাজে নাও যেতে পারেন। আগামীকাল থেকে হানড্রেড পার্সেন্ট শ্রমিকরা কাজে যাবেন।’