ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
রাজনগরের মুন্সিবাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি: ৩ দোকানে জরিমানা সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবন ও হলরুমের উদ্বোধন এক ভবনে থাকছেন না শাশুড়ি ও ছেলের বউ বড়লেখায় চোরাই সিএনজি উদ্ধার ও চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রে-ফ-তা-র আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রাজু গ্রে-ফ-তার মৌলভীবাজাররে বিএনপি নেতার হুঁ শি য়া রী তে সরে গেল ফুচকার দোকান মৌলভীবাজার বিচার বিভাগের কর্মচারীদের কর্মবিরতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা সবুজ চা বাগানে বাড়তি সুন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল খেলাফত মজলিসে সাক্বাফাতুল ইসলামী কাতার শাখা পুনর্গঠন সম্পন্ন

প্রধানমন্ত্রী দিকে তাকিয়ে আছে চা শ্রমিকরা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা –শ্রমিকদের ধর্মঘট ১৮তম দিনের মতো চলছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা –বাগানের কাজ বন্ধ থাকলেও শুক্রবার শ্রমিকদের সভা– সমাবেশ বা বিক্ষোভের মতো কোনো কর্মসূচিতে পালন করতে দেখা যায়নি।

বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে বসার ঘোষণার পর একধরনের নীরব ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা।

শুক্রবার শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা–বাগান ঘুরে শ্রমিকদের তেমন একটা দেখা মেলেনি। বেশির ভাগ শ্রমিকই বাড়িতে রয়েছেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের একত্রিত হয়ে সমাবেশ করার কথা রয়েছে। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছেন চা শ্রমিকরা।

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ চা –শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছেন না সাধারণ শ্রমিকেরা।

আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে তাঁদের। দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তাল ছিল চা– বাগানগুলো। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চা– বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন। শনিবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হবে বলে।

এদিকে চলমান সংকট নিরসনে শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলামের আহŸানে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন বেশ কয়েকজন বাগান পঞ্চায়েত নেতারা। সেখানে জেলা, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়।

বাংলাদেশ চা– শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সাধারণ চা– শ্রমিকেরা সেটাই মেনে নেবেন।

এ জন্য অবশ্যই সবকিছু বিবেচনা করে একটি মানসম্মত মজুরি নির্ধারণ করবেন। আমাদের শেষ ভরসাস্থল থেকে এই আশাটুকু আমরা সবাই করছি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রধানমন্ত্রী দিকে তাকিয়ে আছে চা শ্রমিকরা

আপডেট সময় ০১:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা –শ্রমিকদের ধর্মঘট ১৮তম দিনের মতো চলছে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা –বাগানের কাজ বন্ধ থাকলেও শুক্রবার শ্রমিকদের সভা– সমাবেশ বা বিক্ষোভের মতো কোনো কর্মসূচিতে পালন করতে দেখা যায়নি।

বাগান মালিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে বসার ঘোষণার পর একধরনের নীরব ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকেরা।

শুক্রবার শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা–বাগান ঘুরে শ্রমিকদের তেমন একটা দেখা মেলেনি। বেশির ভাগ শ্রমিকই বাড়িতে রয়েছেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের একত্রিত হয়ে সমাবেশ করার কথা রয়েছে। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছেন চা শ্রমিকরা।

প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ চা –শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছেন না সাধারণ শ্রমিকেরা।

আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে তাঁদের। দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তাল ছিল চা– বাগানগুলো। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার চা– বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন। শনিবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হবে বলে।

এদিকে চলমান সংকট নিরসনে শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাহিদুল ইসলামের আহŸানে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন বেশ কয়েকজন বাগান পঞ্চায়েত নেতারা। সেখানে জেলা, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়।

বাংলাদেশ চা– শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সাধারণ চা– শ্রমিকেরা সেটাই মেনে নেবেন।

এ জন্য অবশ্যই সবকিছু বিবেচনা করে একটি মানসম্মত মজুরি নির্ধারণ করবেন। আমাদের শেষ ভরসাস্থল থেকে এই আশাটুকু আমরা সবাই করছি।