ব্রেকিং নিউজ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজারে পর্যটকদের ঢল

নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ১০:০০:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
- / ২১৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: চা- বাগান, লাউয়াছড়া বন, বধ্যভূমি একাত্তর, বিটিআরআই, মাধবপুর লেইক, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত সবখানে হাজারো ভ্রমণ পিপাসু মানুষের মুখর পদচারণা। নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশে দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়িয়েছেন বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে। এবারের ঈদে ছুটি মিলিয়ে পাওয়া গেছে লম্বা বন্ধ। এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে হাজারো পর্যটকের সামাবেশে মুখর হয়ে ওঠে মৌলভীবাজারে সব পর্যটন কেন্দ্রে।
ঢাকা থেকে আসা রাজু মিয়া বলেন, তিনি রাজধানীর উত্তরা থাকেন সব সময় জ্যাম,আর গাড়ির শব্দে যে অস্বস্তিকর পরিবেশে তাদের বসবাস, শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশে এসে নিমেষেই যেন সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।

তিনি জানান,বালিশিরার প্রাকৃতিক পরিবেশও তাকে দারুণ আকৃষ্ট করেছে। ঢাকায় ফিরে স্বস্তি খোঁজার জন্য যতটা পারেন চোখ দিয়ে মনের ভিতরে এই প্রকৃতির ছবি তুলে নিয়ে যাবেন।
দর্শনার্থী রিনা বেগম বলেন, বোন ও ভগ্নিপতির সঙ্গে শ্রীমঙ্গল বেড়াতে এসেছি। এখানে এসে চা বাগান দেখেছেন, লাউয়াছড়া বন দেখেছেন; দুটাই সবুজ। তার কাছে মনে হচ্ছে যেন তিনি ‘সবুজ সাগরে সাঁতার কাটছেন।

শ্রীমঙ্গলের উঁচু-নিচু পাহাড়, চা বাগান, পান বাগান ঘুরে দেখছেন রাজশাহী থেকে আসা আজাদুর রহমান ঈদের আনন্দের সঙ্গে বারতি কিছু যোগ করতে তিনি স্ত্রী সন্তানসহ বেড়াতে এসেছেন। ঘুরে দেখেছেন শ্রীমঙ্গল বিটিআরআই ও খাসিয়া পুঞ্জিসহ বেশ কিছু এলাকা।
মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন। চা বাগানে হেঁটেছেন।
শ্রীমঙ্গল সিতেশ বাবুর বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে ঈদের সকাল ও বিকাল প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় ।

এদিকে ঈদের দিন বড়লেখা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত স্থানীয়দের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ায় হাজার হাজার লোকসমাগম ঘটে পাথারিয়া পাহাড় ও তার পাদদেশে। এবারের ঈদের আনন্দটা ছিল একটু অন্যরকম। ঈদের আনন্দ ভাগাবাগি করতে ছুঠে যান মাধবকুণ্ড জলপ্রাপাতে।উঁচু টাওয়ারে। দিনভর মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতসহ পুরো পাথারিয়া পাহাড়ি এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য। আর এই পর্যটকদের নিরাপত্তায় কড়া পাহারায় রয়েছে জেলায় নিয়জিত পর্যটন পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল পর্যটন পুলিশ জানান, পুরো জেলাব্যাপী তাদের পর্যটন পুলিশের টিম কাজ করছে। এছাড়া তাদের সহায়তার রয়েছে জেলা পুলিশের সদস্যরাও।

ট্যাগস :