ফেসবুকে পরিচয়, প্রেম ও বিয়ের পর তরুণীকে ভারত পাচার,মূলহোতা মৌলভীবাজারে গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় ১১:৫৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
- / ১৯৬৪ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। পরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই প্রেমের সুবাদে প্রলোভন দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে তাকে দিয়ে করানো হয় দেহ ব্যবসা। কিছুদিন পর দেশে ফিরে বিয়ে করে দুজন।
পরে আবারও তরুনীকে কৌশলে ভারত পাচার করে দেয়া হয়।সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে কিছুদিন পর কৌশলে দেশে পালিয়ে এসে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করে তরুণী। মামলা দায়েরের পর পুলিশ লালমনিরহাট থেকে তিনজনকে এবং র্যাব হবিগঞ্জ থেকে প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামীকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা।
গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া (২৫) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার ছেলে। দুপুরে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে ব্রিফ করে র্যাব-৯।র্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. নাহিদ হাসান জানান, সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তার সাথে পরিচয় হয় পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার ডেমরা গ্রামের রুকশিপাড়া এলাকার এক তরুণীর (২২)। পরিচয়ের সুবাদে ভালোবাসার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে।প্রেমিক সোহেল ভালোবাসার দুর্বলতার সুযোগে গত বছরের মার্চ মাসে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায় ওই তরুণীকে।
এ সময় সেখানে তাঁকে ভারতে আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে সোহেল।চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে সোহেল ও ওই তরুণীকে বিয়ে করে।
পরে আবারও তরুনীকে কৌশলে আবারও ভারত পাচার করে দেয় সোহেল। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৫ মে কৌশলে দেশে পালিয়ে আসে তরুণী। পরে গত ২১ মে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করে সে। মামলার প্রধান আসামী সোহেলকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর আগে তিন আসামীকে পাটগ্রাম থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।