ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড়লেখায় ৭ প্রতারক গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • / ৬২৫ বার পড়া হয়েছে

বড়লেখা প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম বাজারে ঋণ দেওয়ার নামে সঞ্চয় আদায় করে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাধবপুর এলাকা থেকে ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা ঋণ বিতরণের জন্য ‘সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি ভুয়া এনজিও অফিস খুলেছিল উপজেলার চান্দগ্রাম বাজারে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে মাধবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে বড়লেখা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে-গোপালগঞ্জ জেলার ঝাকোর উত্তর পাড়া শেখ বাড়ির মৃত মোসলেম উদ্দিন শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান, আক্তারুজ্জামানের ছেলে আবুল হোসেন, মৃত ইছহাক শেখের ছেলে মুরাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর খানের ছেলে মতিন খান, সাহেদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, আব্দুর রবের ছেলে মো. হাছান ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার উত্তর পাড়া মিয়া বাড়ির মৃত রূপচান মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্র বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম বাজারে একটি রুম ভাড়া নিয়ে ‘সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি এনজিও’র অফিস খুলে। এই অফিসের অধীনে আরো দুইটি কেন্দ্র খুলে স্বল্প সুদে বিভিন্ন অঙ্কের ঋণ প্রদানের প্রচারণা চালায়। তাদের প্রলোভনে পড়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ি এবং মধ্যবিত্তরা যোগাযোগ করলে প্রতারকরা এক লাখ টাকা ঋণ নিতে সঞ্চয় হিসেবে ১০ হাজার ২০০ টাকা, দুই লাখ টাকার জন্য ২০ হাজার ২০০ টাকা তাদের এনজিওতে একাউন্ট খুলে জমা দিতে পরামর্শ দেয়। কর্মকর্তারা সঞ্চয়ের নির্ধারিত টাকা জমা দেওয়ার সাথেই ঋণ প্রদান করবে বলে আগ্রহীদের আশ্বস্ত করে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতারকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের নিকট থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা সঞ্চয় সংগ্রহ করে বিকেল সাড়ে তিনটার সময় অফিস থেকে ঋণের টাকা উত্তোলন করতে বলে আসে। এরপর এনজিও’র কথিত কর্মকর্তারা অফিস তালাবদ্ধ করে গা ঢাকা দেয়।

সঞ্চয়ের টাকা পরিশোধের পর অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের না পেয়ে ও অফিস তালাবদ্ধ দেখে প্রতারণার শিকার সুহেল আহমদ আরো কয়েকজন ভুক্তভোগীকে নিয়ে তাদের খোঁজতে থাকেন। বড়লেখা শহরে এসে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন প্রতারকরা দুপুরের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে গেছে। তখন তারা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। পাশাপাশি বড়লেখা থানা পুলিশকে ঘটনা জানান। বৃহস্পতিবার রাতে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় বড়লেখা থানা পুলিশ মাধবপুর এলাকা থেকে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করেছে।

বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াদৌস হাসান জানান, মাধবপুর থেকে আটক ৭ প্রতারককে বৃহস্পতিবার রাতেই বড়লেখা থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রতারণার শিকার সুহেল আহমদ থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বড়লেখায় ৭ প্রতারক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৩:২৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

বড়লেখা প্রতিনিধি:  মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম বাজারে ঋণ দেওয়ার নামে সঞ্চয় আদায় করে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাধবপুর এলাকা থেকে ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা ঋণ বিতরণের জন্য ‘সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি ভুয়া এনজিও অফিস খুলেছিল উপজেলার চান্দগ্রাম বাজারে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে মাধবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে বড়লেখা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে-গোপালগঞ্জ জেলার ঝাকোর উত্তর পাড়া শেখ বাড়ির মৃত মোসলেম উদ্দিন শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান, আক্তারুজ্জামানের ছেলে আবুল হোসেন, মৃত ইছহাক শেখের ছেলে মুরাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর খানের ছেলে মতিন খান, সাহেদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, আব্দুর রবের ছেলে মো. হাছান ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার উত্তর পাড়া মিয়া বাড়ির মৃত রূপচান মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্র বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম বাজারে একটি রুম ভাড়া নিয়ে ‘সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি এনজিও’র অফিস খুলে। এই অফিসের অধীনে আরো দুইটি কেন্দ্র খুলে স্বল্প সুদে বিভিন্ন অঙ্কের ঋণ প্রদানের প্রচারণা চালায়। তাদের প্রলোভনে পড়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ি এবং মধ্যবিত্তরা যোগাযোগ করলে প্রতারকরা এক লাখ টাকা ঋণ নিতে সঞ্চয় হিসেবে ১০ হাজার ২০০ টাকা, দুই লাখ টাকার জন্য ২০ হাজার ২০০ টাকা তাদের এনজিওতে একাউন্ট খুলে জমা দিতে পরামর্শ দেয়। কর্মকর্তারা সঞ্চয়ের নির্ধারিত টাকা জমা দেওয়ার সাথেই ঋণ প্রদান করবে বলে আগ্রহীদের আশ্বস্ত করে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতারকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন গ্রাহকের নিকট থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা সঞ্চয় সংগ্রহ করে বিকেল সাড়ে তিনটার সময় অফিস থেকে ঋণের টাকা উত্তোলন করতে বলে আসে। এরপর এনজিও’র কথিত কর্মকর্তারা অফিস তালাবদ্ধ করে গা ঢাকা দেয়।

সঞ্চয়ের টাকা পরিশোধের পর অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের না পেয়ে ও অফিস তালাবদ্ধ দেখে প্রতারণার শিকার সুহেল আহমদ আরো কয়েকজন ভুক্তভোগীকে নিয়ে তাদের খোঁজতে থাকেন। বড়লেখা শহরে এসে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারেন প্রতারকরা দুপুরের শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে গেছে। তখন তারা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। পাশাপাশি বড়লেখা থানা পুলিশকে ঘটনা জানান। বৃহস্পতিবার রাতে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগিতায় বড়লেখা থানা পুলিশ মাধবপুর এলাকা থেকে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করেছে।

বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াদৌস হাসান জানান, মাধবপুর থেকে আটক ৭ প্রতারককে বৃহস্পতিবার রাতেই বড়লেখা থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রতারণার শিকার সুহেল আহমদ থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।