ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বড়লেখার রুহান পর্তুগাল থেকে কফিনবন্দি হয়ে ফিরল

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • / ৬৬১ বার পড়া হয়েছে

বড়লেখা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার গাজিটেকা এলাকার বাসিন্দা পর্তুগাল প্রবাসী শাহীন আহমদের ছেলে শাহরিয়ার শাহীন (১৮) পর্তুগাল থেকে কপিনবন্দি হয়ে দেশে ফিরলেন ।

মৃত্যুর সাতদিন পর গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইটে রুহানের লাশ দেশে পৌঁছায়। সেখান থেকে স্বজনরা শনিবার রাত সাড়ে তিনটায় রুহানের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। লাশ পৌঁছার পর বাড়িতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এসময় বাবা-মা আর স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

শনিবার সকাল এগারোটায় গাজিটেকা ঈদগাহ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে রুহানের লাশ দাফন করা হয়েছে।

শাহরিয়ার শাহীন রুহান। বয়স মাত্র ১৮ বছর। বাবা-মায়ের বড় আদরের ছেলে ছিল সে। তাকে ঘিরে বাবা-মায়ের কতশত আশা-স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তাদের সেই আশা আর স্বপ্ন নিভে গেছে। কারণ মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার তাদের আদরের ছেলে রুহানের জীবনপ্রদীপ চিরতরে নিভিয়ে দিয়েছে। গত ২৭ মে পর্তুগালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহান মারা যান।

জানা গেছে, শাহরিয়ার শাহীন রুহান চার ভাইয়ের সবার বড়। কয়েকমাস আগে রুহানের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের পরামর্শে স্বজনরা তাকে ভারতে নিয়ে যান। সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এতে রুহানের শারিরীক অবস্থার উন্নতি ঘটে। কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তার বাবা পর্তুগাল প্রবাসী শাহীন আহমদ তাকে পর্তুগালে নিয়ে যান। সেখানেও একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসা পেয়ে রুহান ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে হঠাৎ রুহান অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর গত ২৭ মে পর্তুগালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহান মারা যায়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বড়লেখার রুহান পর্তুগাল থেকে কফিনবন্দি হয়ে ফিরল

আপডেট সময় ০২:৩০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

বড়লেখা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভার গাজিটেকা এলাকার বাসিন্দা পর্তুগাল প্রবাসী শাহীন আহমদের ছেলে শাহরিয়ার শাহীন (১৮) পর্তুগাল থেকে কপিনবন্দি হয়ে দেশে ফিরলেন ।

মৃত্যুর সাতদিন পর গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইটে রুহানের লাশ দেশে পৌঁছায়। সেখান থেকে স্বজনরা শনিবার রাত সাড়ে তিনটায় রুহানের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন। লাশ পৌঁছার পর বাড়িতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এসময় বাবা-মা আর স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

শনিবার সকাল এগারোটায় গাজিটেকা ঈদগাহ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে রুহানের লাশ দাফন করা হয়েছে।

শাহরিয়ার শাহীন রুহান। বয়স মাত্র ১৮ বছর। বাবা-মায়ের বড় আদরের ছেলে ছিল সে। তাকে ঘিরে বাবা-মায়ের কতশত আশা-স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তাদের সেই আশা আর স্বপ্ন নিভে গেছে। কারণ মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার তাদের আদরের ছেলে রুহানের জীবনপ্রদীপ চিরতরে নিভিয়ে দিয়েছে। গত ২৭ মে পর্তুগালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহান মারা যান।

জানা গেছে, শাহরিয়ার শাহীন রুহান চার ভাইয়ের সবার বড়। কয়েকমাস আগে রুহানের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের পরামর্শে স্বজনরা তাকে ভারতে নিয়ে যান। সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এতে রুহানের শারিরীক অবস্থার উন্নতি ঘটে। কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তার বাবা পর্তুগাল প্রবাসী শাহীন আহমদ তাকে পর্তুগালে নিয়ে যান। সেখানেও একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসা পেয়ে রুহান ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে হঠাৎ রুহান অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর গত ২৭ মে পর্তুগালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুহান মারা যায়।