ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জুড়ীতে বন্যার পানিতে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃ ত্যু এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচন -প্রধান উপদেষ্টা স্বস্তির ঈদ যাত্রায় সন্তুষ্ট সিলেটবাসি পানি বন্দি মানুয়ের মাঝে চাউল বিতরণ জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ঈদ উদযাপন করবেন কুলাউড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় মৌলভীবাজারে মৌলভীবাজারে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের কোরবানির হাট হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ:) পৌর ঈদগাহে ৩ টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে তারেক জিয়া পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মান্না, সদস্য সচিব শাকিব নির্বাচিত হাসিনার দু:শাসনে সরকারের সব প্রতিষ্ঠান সর্বনাশ করে দিয়ে গেছে – সাবেক এমপি এম নাসের রহমান

বড়লেখা সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের বড়লেখা সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদপ্রত্যাশী মো. এমরুল হোসেন এই অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে তিনি গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ০১ সেপ্টেম্বর বড়লেখা সরকারি কলেজের ফেসবুক পেজে কলেজে ইংরেজিসহ আরও কয়েকটি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মো. এমরুল হোসেন যথারীতি ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এমরুল হোসেন উত্তীর্ণ হন।

নিয়োগ বোর্ডের প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খদন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী তার কক্ষে এমরুলকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এসময় তাকে বড়লেখা সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু পরে তাকে জানানো হয়, তার ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দী অপর প্রার্থীর মধ্যে প্রদর্শনীমূলক ক্লাস নেওয়া হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় গড়িয়ে যাওয়ার পরও তাকে ডেকে নেওয়া হয়নি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারেন বড়লেখা সরকারি কলেজে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীকে (যিনি পরীক্ষায় প্রায় ২০ % নম্বর কম পেয়েছেন) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ০১ অক্টোবর তাকে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

 

 

অভিযোগকারী মো. এমরুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি। আমাকে কলেজে যোগদানের জন্যও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্টরা আমাকে বাদ দিয়ে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি আমার চেয়ে পরীক্ষায় প্রায় ২০ % নম্বর কম পেয়েছেন। আমি ন্যায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম বলেন, বড়লেখা সরকারি কলেজে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউএনও স্যার সহকারি কমিশনার (ভূমি)-কে নিদের্শ দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ্র বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বড়লেখা সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের বড়লেখা সরকারি কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদপ্রত্যাশী মো. এমরুল হোসেন এই অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে তিনি গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ০১ সেপ্টেম্বর বড়লেখা সরকারি কলেজের ফেসবুক পেজে কলেজে ইংরেজিসহ আরও কয়েকটি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মো. এমরুল হোসেন যথারীতি ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এমরুল হোসেন উত্তীর্ণ হন।

নিয়োগ বোর্ডের প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খদন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী তার কক্ষে এমরুলকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এসময় তাকে বড়লেখা সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগদানের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু পরে তাকে জানানো হয়, তার ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দী অপর প্রার্থীর মধ্যে প্রদর্শনীমূলক ক্লাস নেওয়া হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় গড়িয়ে যাওয়ার পরও তাকে ডেকে নেওয়া হয়নি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারেন বড়লেখা সরকারি কলেজে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীকে (যিনি পরীক্ষায় প্রায় ২০ % নম্বর কম পেয়েছেন) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ০১ অক্টোবর তাকে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

 

 

অভিযোগকারী মো. এমরুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি। আমাকে কলেজে যোগদানের জন্যও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু পরে রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্টরা আমাকে বাদ দিয়ে আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি আমার চেয়ে পরীক্ষায় প্রায় ২০ % নম্বর কম পেয়েছেন। আমি ন্যায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম বলেন, বড়লেখা সরকারি কলেজে ইংরেজি বিষয়ের খণ্ডকালীন প্রভাষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়ে একজন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউএনও স্যার সহকারি কমিশনার (ভূমি)-কে নিদের্শ দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ্র বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।