ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
আমাদের লড়াই ছিলো ফ‍্যাসিস্ট রাষ্ট্র ফ‍্যাসিস্ট বাহিনীর বিরোধী মৌলভীবাজারে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দুই নম্বরি,বাটপারি করার চিন্তা থাকলে আগেই দল থেকে বের হয়ে যান,ধরা পড়লে কিন্তু খবর আছে- এম নাসের রহমান মৌলভীবাজারে এসএসসি/দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের ছা*ত্রশিবিরের সংবর্ধনা এনসিপির নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশের ক্ষমতা জনগনের হাতে ফিরিয়ে দিবো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনে যে সকল ছাত্র জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন তাঁদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা মিথ্যা জবানবন্দির বিরুদ্ধে রাতগাঁও গ্রামে মানববন্ধন মৌলভীবাজার পাহাড়ী টিলা কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা লন্ডনে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এইচ এস সি ১৪ ব্যাচের মিলনমেলা জুড়ীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ

বন্ধুর ছুরিকাঘাতে পাঠাও কর্মী খুন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • / ১০৭৯ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ সিলেট নগরের হযরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থানে এক তরুণকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আবুল হাসান সাবিল (২২) নামে ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাবিল কুরিয়ার সার্ভিস পাঠাও’তে পণ্য ডেলিভারির কাজ করতেন।

এ ঘটনায় সাবিলের বন্ধু শাহিন আহম্মদ (১৯) কে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করেছে পুলিশ। শাহিন স্থানীয়দের কাছে সাবিলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।

নিহত সাবিল সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হান্নান শিমুলের ছেলে। তিনি মহানগরের সাপ্লাই এলাকায় বসবাস করতেন। আর  শাহিনের বাসা কাজীটুলা এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হযরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থানের এক তরুণের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহত যুবকের মরদেহের পাশে পাঠাও কুরিয়ারের কিছু সামগ্রী পাওয়া গেছে।  কুরিয়ার কাজে ব্যবহার করা সাইকেল ও তার মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধার করা হয়।

সাবিলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে সাবিলকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় শাহিন। সাবিলের মরদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়রা ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় তাকে পুলিশের ভয় দেখানো হয়। একপর্যায়ে সাবিলকে হত্যার কথা স্বীকার করে শাহিন।

শাহিনের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, সকালে বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার পর সাবিলের কাছে পাঠাওয়ে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার আবদার করে শাহিন। এসময় সাবিল তাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেয়। এরপর সাবিলকে মানিকপীর কবরস্থানের টিলায় নিয়ে যায় শাহিন।  এসময় সাবিলের কাছে থাকা পাঠাওয়ের পণ্য ও নগদ অর্থ নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে ছুরিকাঘাত করে শাহিন। একপর্যায়ে শাহিন সব টাকা দিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিলেও মন গলেনি শাহিনের। ছুরিকাঘাতে সাবিলের মৃত্যু নিশ্চিত করে সে পালিয়ে যায়।

এরপর স্থানীয়রা শাহিনকে পুলিশেরকোছে হস্তান্তর করেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, পাঠাও কুরিয়ারে কাজ করা আবুল হাসান সাবিলের সাথে মাঝে মধ্যে ডেলিভারিতে সাহায্য করতো শাহিন। বৃহস্পতিবার সাবিলের কাছে টাকা চাইলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাবিলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় শাহিন।

তিনি বলেন, শাহিনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আর সাবিলের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বন্ধুর ছুরিকাঘাতে পাঠাও কর্মী খুন

আপডেট সময় ০৯:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্কঃ সিলেট নগরের হযরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থানে এক তরুণকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আবুল হাসান সাবিল (২২) নামে ওই তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাবিল কুরিয়ার সার্ভিস পাঠাও’তে পণ্য ডেলিভারির কাজ করতেন।

এ ঘটনায় সাবিলের বন্ধু শাহিন আহম্মদ (১৯) কে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করেছে পুলিশ। শাহিন স্থানীয়দের কাছে সাবিলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।

নিহত সাবিল সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হান্নান শিমুলের ছেলে। তিনি মহানগরের সাপ্লাই এলাকায় বসবাস করতেন। আর  শাহিনের বাসা কাজীটুলা এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হযরত মানিকপীর (রহ.) কবরস্থানের এক তরুণের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহত যুবকের মরদেহের পাশে পাঠাও কুরিয়ারের কিছু সামগ্রী পাওয়া গেছে।  কুরিয়ার কাজে ব্যবহার করা সাইকেল ও তার মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ছুরি উদ্ধার করা হয়।

সাবিলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকালে সাবিলকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায় শাহিন। সাবিলের মরদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়রা ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় তাকে পুলিশের ভয় দেখানো হয়। একপর্যায়ে সাবিলকে হত্যার কথা স্বীকার করে শাহিন।

শাহিনের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, সকালে বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার পর সাবিলের কাছে পাঠাওয়ে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার আবদার করে শাহিন। এসময় সাবিল তাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেয়। এরপর সাবিলকে মানিকপীর কবরস্থানের টিলায় নিয়ে যায় শাহিন।  এসময় সাবিলের কাছে থাকা পাঠাওয়ের পণ্য ও নগদ অর্থ নিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে ছুরিকাঘাত করে শাহিন। একপর্যায়ে শাহিন সব টাকা দিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিলেও মন গলেনি শাহিনের। ছুরিকাঘাতে সাবিলের মৃত্যু নিশ্চিত করে সে পালিয়ে যায়।

এরপর স্থানীয়রা শাহিনকে পুলিশেরকোছে হস্তান্তর করেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, পাঠাও কুরিয়ারে কাজ করা আবুল হাসান সাবিলের সাথে মাঝে মধ্যে ডেলিভারিতে সাহায্য করতো শাহিন। বৃহস্পতিবার সাবিলের কাছে টাকা চাইলে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাবিলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সেখান থেকে পালিয়ে যায় শাহিন।

তিনি বলেন, শাহিনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আর সাবিলের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।