বাগানের ফসল লুটপাট, গাছ কেটে ক্ষতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় ০৬:৫০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
- / ৩১৬ বার পড়া হয়েছে
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল শাহীবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মরহুম দিলবর মিয়ার ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন এর মালিকানাধিন ৩নং সদর ইউনিয়নের দিলবরনগর গ্রামে লেবু. আনারস বাগানে জোরপূর্বক প্রবেশ করে বাগানে বসবাসরতদের হাত-পা বেধেঁ ফসল লুটপাট ও সুপারী গাছসহ বিভিন্ন ফলের গাছ কেটে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধনের অভিযোগে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাগান মালিক মো. আনোয়ার হোসেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাগান মালিক মো, আনোয়ার হোসেন জানান, গত ১১ মার্চ সোমবার রাত ২ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টাব্যাপী তান্ডপ চালিয়ে বাগানের প্রায় ৫০টি সুপারী গাছ, লেবু ও আনারসসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বৃক্ষ কর্তন করে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে। এছাড়াও বাগানের লেবু, আনারস সুপারীসহ বিভিন্ন ফল- লুটে নিয়ে আরো প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত করেছে। এ ঘটনায় দিলবরনগর গ্রামের মৃত লক্ষীরাম দেববর্মা এর ছেলে নরেশ দেববর্মা (৬২) এর নেতৃত্বে তার ছেলে সুমন দেব বর্মা (৪০) ও শিমুল দেব বর্মা (৩৮),হরিমন এর ছেলে রাজেশ দেব বর্মাসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৩০/৩৫ জনকে দায়ি করে শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত আনোয়ার হোসেন।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, নরেশ দেববর্মাসহ একদল সন্ত্রাসী রাতের আধারে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাগানে প্রবেশ করে বাগানের পাহারাদারদের হাত-পা বেঁধে ফেলে,তাদের নিকট থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে লুটপাট ও বৃক্ষ কতৃন করে বাগানের এমন ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন, নরেশ দেব বর্মা গং তার নিজস্ব রাস্তা ও বাগানের জমি দখলে লিপ্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন জানান, নরেশ দেব বর্মা গং তাকে ও তার পাহারাদারকে প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে তিনি বাগানে যেতে পারছেন না। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ আসামিদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নরেশ দেবমর্বা ঘটনার সাথে নিজে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হওয়ার পর দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।