ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
হাকালুকি যুব সাহিত্য পরিষদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান বাজার সিন্ডিকেট করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে প্রতিহত করা হবে’ – বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মৌলভীবাজারে আসছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা গায়ের জোরে এ দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না বিএনপির কর্মী সমাবেশে আমিরুজ্জামান খান শিমুল মৌলভীবাজারে আস্থা যুব উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারের শিক্ষামূলক সংগঠন থার্স্ট ফর নলেজের মেধা যাচাই পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ মৌলভীবাজারে অনূর্ধ্ব-১৮ যুব কাবাডি টুর্নামেন্ট শুরু শনিবার যেসব এলাকা বন্ধ থাকবে পল্লী বিদ্যুৎ পরিবারের জিম্মায় শাওন ও সাবাকে ছেড়ে দিলো ডিবি সোহানা সাবা আটক

বাবার ফাঁসি চাইলো সন্তানরা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:১০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৫৪১ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  মৌলভীবাজার রাজনগরের কামারচাক ইউনিয়নে মৌলভীচক গ্রামের গৃহবধূ মিনা বেগমকে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এসময় নিহতের সন্তানরাও হত্যাকারী বাবাসহ সকল জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি করেন।

শুক্রবার (৯আগষ্ট) দুপুর ২ টায় হত্যাকাণ্ডের  জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও সেচছ সাজা মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মৌলভীচক এলাকাবাসীর আয়োজনে মৌলভীচক পয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সমাজকর্মী আব্দুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মাহবুব রহমান, মখলিছুর রহমান, কামারচাক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলীম আল মুনিম, নিহত মিনা বেগমের বড় ভাই আব্দুল মান্নান, স্থানীয় সমাজকর্মী কনা মিয়া, আলিক চৌধুরী, শায়েস্তা মিয়া, সাংবাদিক মাইদুল ইসলাম, জাকির হোসেন মিনার, নিহত মিনা বেগমের বড় ছেলে কাওসার আহমেদ প্রমুখ।

এসময় নিহত মিনা বেগমকে তার স্বামী সহ যারা হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার করে সেচছ শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

নিহত মিনা বেগমের বড় ছেলে  কাওসার আহমেদ (১৫) ও মেয়ে বুশরা আক্তার (৩) কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবার নির্মমতার কারণে আমরা আজ মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের মাকে পরিকল্পিতভাবে বাবাসহ যারা মিলে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

উল্লেখ্য যে, গত ৩ আগস্ট রাতে মৌলভীচক গ্রামের গৃহবধূ মিনা বেগমকে হত্যা করে তার স্বামী লেচু মিয়া সহ কয়েকজন মিলে লাশ গুম করতে পায়ে কলসি ও ড্রাম বেধে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে লাশ ভেসে উঠলে খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ও স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ কয়েকজনকে আসামী করে রাজনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ঘাতক স্বামী লেচু মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাবার ফাঁসি চাইলো সন্তানরা

আপডেট সময় ০৩:১০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  মৌলভীবাজার রাজনগরের কামারচাক ইউনিয়নে মৌলভীচক গ্রামের গৃহবধূ মিনা বেগমকে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এসময় নিহতের সন্তানরাও হত্যাকারী বাবাসহ সকল জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি করেন।

শুক্রবার (৯আগষ্ট) দুপুর ২ টায় হত্যাকাণ্ডের  জড়িত আসামীদের গ্রেফতার ও সেচছ সাজা মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মৌলভীচক এলাকাবাসীর আয়োজনে মৌলভীচক পয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় সমাজকর্মী আব্দুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মাহবুব রহমান, মখলিছুর রহমান, কামারচাক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলীম আল মুনিম, নিহত মিনা বেগমের বড় ভাই আব্দুল মান্নান, স্থানীয় সমাজকর্মী কনা মিয়া, আলিক চৌধুরী, শায়েস্তা মিয়া, সাংবাদিক মাইদুল ইসলাম, জাকির হোসেন মিনার, নিহত মিনা বেগমের বড় ছেলে কাওসার আহমেদ প্রমুখ।

এসময় নিহত মিনা বেগমকে তার স্বামী সহ যারা হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার করে সেচছ শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।

নিহত মিনা বেগমের বড় ছেলে  কাওসার আহমেদ (১৫) ও মেয়ে বুশরা আক্তার (৩) কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবার নির্মমতার কারণে আমরা আজ মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমাদের মাকে পরিকল্পিতভাবে বাবাসহ যারা মিলে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

উল্লেখ্য যে, গত ৩ আগস্ট রাতে মৌলভীচক গ্রামের গৃহবধূ মিনা বেগমকে হত্যা করে তার স্বামী লেচু মিয়া সহ কয়েকজন মিলে লাশ গুম করতে পায়ে কলসি ও ড্রাম বেধে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে লাশ ভেসে উঠলে খবর পেয়ে রাজনগর থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ও স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীসহ কয়েকজনকে আসামী করে রাজনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ঘাতক স্বামী লেচু মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।