জানা যায়,সম্প্রতি কোটচাঁদপুর বাজেবামনদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজনীন সুলতানা বিদ্যালয়ের কাউকে না ডেকে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন এমন অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের। তবে তিনি সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক নজরুল ইসলাম (তৌছিম), সাইফুল ইসলাম, জাহান্দার হোসেন, সোহেন আলী বলেন,বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি হচ্ছে,তা আমরা জানতাম না।
এ ছাড়া আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকেও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কিছুই বলেননি। তারা তাদের নিজেরদের মত করে কমিটি সাজিয়েছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নিকট সুষ্ট তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের আরেক অভিভাবক ও গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লা বাশার বলেন,ওইদিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমিটি গঠন করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে ছিল কমিটি জমা দিতে। এ সময় ওখানে আমি ছিলাম। বাধা দেওয়ায় কমিটি জমা না দিয়ে ফেরত চলে যান। এখন জানতে পারছি কমিটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাজেবামনদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক নাজনীন সুলতানা বলেন,কমিটি করা হয়নি। খসড়া করে অফিসে দেখাতে গিয়ে ছিলাম। বর্তমানে কমিটি স্থগিত করে রাখা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ডাকা হবে সবাইকে। কমিটি গঠনে কোন চাপ আছে কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না কোন চাপ নাই।
তাহলে কাউকে না ডেকে কমিটি করলেন,প্রশ্নে তিনি বলেন, ওইদিন কয়েক জনকে ডেকে খসড়া করা হয়েছিল। ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সবার সম্মতিতে কমিটির খসড়া করা হয়েছিল।
কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কমল কুমার ভট্টাচার্য বলেন,আমি শুনেছি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি জমা দিতে এসেছিল। তবে আমি দেখিনি। তবে তিনি যেভাবে কমিটি করেছেন,সেটা তিনি করতে পারেন না। অবশ্যই নীতিমালা অনুযায়ী কমিটি করতে হবে। এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে,ব্যবস্থা নেয়া হবে।