ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
কমলগঞ্জে পবিত্র আশুরা অনুষ্ঠান পালিত উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আলোচনা,মিলাদ ও দোয়া মাহফিল চুরি হওয়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার,চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার জালালাবাদ প্রদেশ বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির ঈদ পূনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের ৫তলা ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন সোমবার আসছেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হাওর রক্ষা আন্দোলনের মানববন্ধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি নেতা আসাহিদ আহমদ’কে পৌর ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সংবর্ধনা মৌলভীবাজারে ডিবির বিশেষ অভিযান বিদেশী মদসহ যুবক আ/ট/ক কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসরদের কোনোভাবে স্থান দেয়ার সুযোগ নেই’ বিএনপির কর্মী সমাবেশে… ময়ূন

বিদ্যুৎহীন ৪৫ হাজার গ্রাহক,বন্যায় ডুবেছে সিলেটের সাবস্টেশন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
  • / ৭২৭ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  বন্যায় সিলেট নগরেই বিদ্যুৎহীন ৪৫ হাজার গ্রাহক সিলেটের বরইকান্দি সাবস্টেশনে উঠেছে বন্যার পানি

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের বিদ্যুৎব্যবস্থা। এরইমধ্যে জেলার কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। জানা গেছে, কেবল সিলেট নগরেই ৪৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন ভুতুড়ে অবস্থায় রয়েছেন। এসব এলাকায় মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির।

তিনি বলেন, বরইকান্দি সাবস্টেশন ও শাহজালাল উপশহরে একটি ফিডার পানির নিচে চলে যাওয়ায় এগুলো বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বরইকান্দি সাবস্টেশনের অধীনে ৪০ হাজার গ্রাহক ও শাহজালাল উপশহরের একটি ফিডারের অধীনে ৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।

বরইকান্দি সাবস্টেশনে মেশিন রক্ষায় পাম্প দিয়ে পানি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন এই মেশিনটাই রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী জানান, বাড়িঘরে পানি ওঠায় কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, কিছু জায়গায় সাবস্টেশনের যন্ত্রপাতি পানিতে তলিয়ে গেছে। আবার অনেক জায়গার বাসাবাড়ির মিটার পর্যন্ত ডুবে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। পানি না কমলে এটি স্বাভাবিক হবে না।

ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। নগরের দক্ষিণ সুরমার উপজেলার তেললী গ্রামের বাসিন্দা শাহিন বলেন, ঘরে পানিতে আটকে আছি। তার ওপর বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল ফোনও চার্জ দিতে পারছি না। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎহীন এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবাও ব্যাহত হয়েছে। সবমিলিয়ে বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

নিয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা ও পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. রকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, দুদিন ধরে বাসায় বিদ্যুৎ নেই। এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও চলে গেছে। পুরো এলাকার বাসিন্দারা খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছেন।

তিনি বলেন, বোতলজাত পানির মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির সংকট কাটলেও বিদ্যুৎ না থাকায় লোকজন মোবাইলে চার্জ দিতে পারছেন না। সিলেট নগরের মখন দোকান এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান বলেন, তিনদিন ধরে ঘরে পানি। পানির কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, খাবারের কোনো সংকট না থাকলেও সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে বাথরুম ব্যবহারে। বিশেষত নারী ও শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন।

এদিকে, সিলেট সদর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদ্যুৎহীন ৪৫ হাজার গ্রাহক,বন্যায় ডুবেছে সিলেটের সাবস্টেশন

আপডেট সময় ০৪:২৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  বন্যায় সিলেট নগরেই বিদ্যুৎহীন ৪৫ হাজার গ্রাহক সিলেটের বরইকান্দি সাবস্টেশনে উঠেছে বন্যার পানি

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেটের বিদ্যুৎব্যবস্থা। এরইমধ্যে জেলার কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। জানা গেছে, কেবল সিলেট নগরেই ৪৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন ভুতুড়ে অবস্থায় রয়েছেন। এসব এলাকায় মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির।

তিনি বলেন, বরইকান্দি সাবস্টেশন ও শাহজালাল উপশহরে একটি ফিডার পানির নিচে চলে যাওয়ায় এগুলো বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বরইকান্দি সাবস্টেশনের অধীনে ৪০ হাজার গ্রাহক ও শাহজালাল উপশহরের একটি ফিডারের অধীনে ৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।

বরইকান্দি সাবস্টেশনে মেশিন রক্ষায় পাম্প দিয়ে পানি দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন এই মেশিনটাই রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী জানান, বাড়িঘরে পানি ওঠায় কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, কিছু জায়গায় সাবস্টেশনের যন্ত্রপাতি পানিতে তলিয়ে গেছে। আবার অনেক জায়গার বাসাবাড়ির মিটার পর্যন্ত ডুবে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। পানি না কমলে এটি স্বাভাবিক হবে না।

ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। নগরের দক্ষিণ সুরমার উপজেলার তেললী গ্রামের বাসিন্দা শাহিন বলেন, ঘরে পানিতে আটকে আছি। তার ওপর বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল ফোনও চার্জ দিতে পারছি না। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

বিদ্যুৎহীন এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবাও ব্যাহত হয়েছে। সবমিলিয়ে বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

নিয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা ও পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. রকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, দুদিন ধরে বাসায় বিদ্যুৎ নেই। এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও চলে গেছে। পুরো এলাকার বাসিন্দারা খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছেন।

তিনি বলেন, বোতলজাত পানির মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির সংকট কাটলেও বিদ্যুৎ না থাকায় লোকজন মোবাইলে চার্জ দিতে পারছেন না। সিলেট নগরের মখন দোকান এলাকার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান বলেন, তিনদিন ধরে ঘরে পানি। পানির কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, খাবারের কোনো সংকট না থাকলেও সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে বাথরুম ব্যবহারে। বিশেষত নারী ও শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছেন।

এদিকে, সিলেট সদর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।