ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
ইসলামী আইনে ধর্ষণের শাস্তি দাঁড়িপাল্লার পক্ষে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মৌলভীবাজারের ৪টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ উলুয়াইল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত এম সাইফুর রহমানের সহধর্মিণীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আপনার এসপি সেবা’  চালু বিএনপি সময়ের হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ” – নাসের রহমান মৌলভীবাজারে বাজারে বাজারে জনসংযোগে নাসের রহমান বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিলি, জনতার ঢল মৌলভীবাজারে হেক্সাস এবং বিট্রিশ কাউন্সিলের যৌথ উদ্দোগে চালু হয়েছে কম্পিউটার বেইজ আইএলটিএস এক্সাম সেন্টার

বিয়ের আলোকসজ্জার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বরের মৃত্যু 

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ৫৬১ বার পড়া হয়েছে

রাজনগর প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার  বিয়ের আলোকসজ্জার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আব্দুর রহিম (২৫) নামক বরের মৃত্যু  হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘড়গাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বর আব্দুর রহিম ওই গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। রোববার তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা সিয়েছে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের নয়াটিলা গ্রামের মৃত রইছ আলীর মেয়ে ঝর্ণা আক্তারের (১৮) সঙ্গে আব্দুর রহিমের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন পরিবারের সদস্যরা। রোববার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো । গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের জন্য আলোকসজ্জার বাতি টানানো হয়। শনিবার দুপুর ২টার দিকে আলোকসজ্জার এক টুকরো তার ঝুলতে দেখে বৃষ্টিতে ভিজে খালি পায়ে সরাতে যান রহিম। এক পর্যায়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, উৎসবের আমেজে থাকা বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজনরা বিলাপ করছেন। বিয়ের জন্য সাজানো আলোকসজ্জার বাতি ও গেইট খুলেছেন ডেকরেটর কর্মীরা।

নিহতের খালাতো ভাই দিপু মিয়া বলেন, রহিম ভাইকে পড়ে যেতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। স্পর্শ করতেই আমিও ঝাঁকুনি খেয়ে নিচে পড়ে যাই। পরে আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে স্বজনরা জানিয়েছেন তিনি মারা গেছেন।

রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) বিনয় ভূষণ রায় মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, একজন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। পরিবারের কেউ কোনো  অভিযোগ করেননি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিয়ের আলোকসজ্জার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বরের মৃত্যু 

আপডেট সময় ১১:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

রাজনগর প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার  বিয়ের আলোকসজ্জার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আব্দুর রহিম (২৫) নামক বরের মৃত্যু  হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘড়গাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বর আব্দুর রহিম ওই গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন। রোববার তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা সিয়েছে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের নয়াটিলা গ্রামের মৃত রইছ আলীর মেয়ে ঝর্ণা আক্তারের (১৮) সঙ্গে আব্দুর রহিমের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন পরিবারের সদস্যরা। রোববার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো । গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের জন্য আলোকসজ্জার বাতি টানানো হয়। শনিবার দুপুর ২টার দিকে আলোকসজ্জার এক টুকরো তার ঝুলতে দেখে বৃষ্টিতে ভিজে খালি পায়ে সরাতে যান রহিম। এক পর্যায়ে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, উৎসবের আমেজে থাকা বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজনরা বিলাপ করছেন। বিয়ের জন্য সাজানো আলোকসজ্জার বাতি ও গেইট খুলেছেন ডেকরেটর কর্মীরা।

নিহতের খালাতো ভাই দিপু মিয়া বলেন, রহিম ভাইকে পড়ে যেতে দেখে আমি এগিয়ে যাই। স্পর্শ করতেই আমিও ঝাঁকুনি খেয়ে নিচে পড়ে যাই। পরে আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে স্বজনরা জানিয়েছেন তিনি মারা গেছেন।

রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) বিনয় ভূষণ রায় মৌলভীবাজার২৪ ডট কমকে বলেন, একজন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। পরিবারের কেউ কোনো  অভিযোগ করেননি।