ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের এক সপ্তাহের পর যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৬৮০ বার পড়া হয়েছে

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিয়ের সপ্তাহ না পেরুতেই কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে এক ভারসাম্যহীন যুবক মছব্বির হোসেন (২২) বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত যুবক উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মছব্বির হোসেন ছোট বেলা থেকেই কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। বড় হওয়ার সাথে সাথে তার পাগলামি স্বভাবটি বৃদ্ধি পায়। তবে দু’বছর থেকে সে সুস্থ্য হয়ে কাজ করে সংসার চালাতো। গত বছর মছব্বিরের মা মারা যায়, সংসার না চলায় গত এক সপ্তাহ আগে মছব্বিরকে বিয়ে করায় তার পরিবার। কিন্তু বিয়ের দু’দিন পর থেকে সে আবারো পাগলামী শুরু করে। তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন কবিরাজের কাছে মছব্বিরকে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন সকাল থেকে মছব্বিরের পাগলামী বেড়ে যায়।
আবারো কবিরাজ দেখানোর উদ্দেশ্যে তার ছোট ভাই মোতাচ্ছির বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে মৌলভীবাজার নিয়ে যায়। কবিরাজ নামাজে গেলে কবিরাজের বাড়িতেই এক ফাঁকে সে বিষপান করে। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রæত মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে সিলেট রেফার করেন। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মছব্বিরকে মৃত ঘোষনা করেন। শুক্রবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহত মছব্বিরের ময়নাতদন্ত হয়।

কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বিষপানে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট রয়েছে।

 

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বিয়ের এক সপ্তাহের পর যুবকের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৯:৫৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিয়ের সপ্তাহ না পেরুতেই কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে এক ভারসাম্যহীন যুবক মছব্বির হোসেন (২২) বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত যুবক উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মছব্বির হোসেন ছোট বেলা থেকেই কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। বড় হওয়ার সাথে সাথে তার পাগলামি স্বভাবটি বৃদ্ধি পায়। তবে দু’বছর থেকে সে সুস্থ্য হয়ে কাজ করে সংসার চালাতো। গত বছর মছব্বিরের মা মারা যায়, সংসার না চলায় গত এক সপ্তাহ আগে মছব্বিরকে বিয়ে করায় তার পরিবার। কিন্তু বিয়ের দু’দিন পর থেকে সে আবারো পাগলামী শুরু করে। তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন কবিরাজের কাছে মছব্বিরকে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন সকাল থেকে মছব্বিরের পাগলামী বেড়ে যায়।
আবারো কবিরাজ দেখানোর উদ্দেশ্যে তার ছোট ভাই মোতাচ্ছির বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে মৌলভীবাজার নিয়ে যায়। কবিরাজ নামাজে গেলে কবিরাজের বাড়িতেই এক ফাঁকে সে বিষপান করে। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রæত মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে সিলেট রেফার করেন। সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মছব্বিরকে মৃত ঘোষনা করেন। শুক্রবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহত মছব্বিরের ময়নাতদন্ত হয়।

কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বিষপানে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট রয়েছে।