বেনজীর মনে করিয়ে দিলেন, ‘কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়’
- আপডেট সময় ১২:২৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
- / ২৪৫ বার পড়া হয়েছে
আলোচিত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তা নিয়ে যারা লেখালেখি করছেন, তাদেরকে ধৈর্য ধরার ‘অনুরোধ’ জানিয়েছেন অবসরে যাওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, দু একজন অনেক ক্ষিপ্ত, খুব ই উত্তেজিত হয়ে এক্ষুনি সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লিখে ফেলছেন। দয়া করে সামান্য ধৈর্য্য ধরুন। ঘোষণাই তো আছে ”কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়।”
এ সপ্তাহের শুরু থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপালগঞ্জে প্রায় ১৪০০ বিঘা জমিতে একটি ইকো রিসোর্ট গড়ে তুলেছেন বেনজীর পরিবার। এছাড়া ঢাকা ও পূর্বাচলে সাবেক এ আইজিপির একাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি আছে।
বনের জমি দখল করে গাজীপুরে রিসোর্ট বানানোর অভিযোগও আনা হয়েছে দৈনিকটির প্রতিবেদনে। ওই রিসোর্টের এক-চতুর্থাংশের মালিকানা বেনজীর পরিবারের বলে পত্রিকাটির দাবি।
‘নানাভাবে চেষ্টা করেও’ এসব অভিযোগের বিষয়ে বেনজীর আহমেদের বক্তব্য জানতে না পারার কথা কালের কণ্ঠ তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে।
একদিনের ব্যবধানে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সাবেক আইজিপি বেনজীর তার ফেসবুক পোস্টে বলেছেন ‘কুৎসা’ রটানোর কথা। একইসঙ্গে সেসব সংবাদের ওপর নির্ভর করে সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় না লিখতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা পেশাগত জীবনে পুলিশ-র্যাবের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান ৭ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর। ওই তালিকায় র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল।
১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়া বেনজীর সন্ত্রাস দমন বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য হিসেবে বসনিয়া ও কসোভোতে কাজ করেছেন তিনি।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে বেনজীর আহমেদ ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। প্রায় সাড়ে চার বছর এলিট ফোর্স র্যাবের নেতৃত্ব দেওয়ার পর ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল পুলিশের মহাপরিদর্শকের দায়িত্বে আসনে বেনজীর আহমেদ। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী তিনি অবসরে যান।
বেনজীর আহমেদ স্নাতকোত্তর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে। একই শিক্ষায়তনের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে পিএইচডি ডিগ্রিও আছে তার।