ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
জুড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ইমামের মৃ/ত্যু সড়ক দু/র্ঘ/ট/নায় ১ জন নি/হ/ত, গুরুতর আ/হ/ত -২ ১২ অক্টোবর থেকে মৌলভীবাজারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু মৌলভীবাজারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন এম. নাসের রহমান মৌলভীবাজার পূজা মন্ডপে মিষ্টি উপহার পাঠালেন পৌর বিএনপির সভাপতি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির মৌলভীবাজারের পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মৌলভীবাজার জেলায় কমিটি গঠন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা গেজেটভুক্ত আহত জুলাই যোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় দখলে বিলিন হচ্ছে খেলার মাঠ; প্রশাসন নিরবতা পালন করছে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের উদ্যাগে বৃক্ষ রোপন ও সংবাদকর্মীদের মাঝে চারা বিতরণ

ব্যবসায়ী সোহাগ হ/ত্যার প্রতি/বাদে মৌলভীবাজারে সাধারণ ছাত্র-জনতার বি/ক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / ১১৯ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা, দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন মৌলভীবাজারের সাধারণ ছাত্র-জনতা।

শনিবার ১২ জুলাই দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনা এলাকায় গিয়ে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে ‘২৪ এ গেছে কোটা, ২৫ এ যাবে চাঁদা, আমার ভাই মরলো কেন চাঁদাবাজ জবাব দে’ ‘হাসিনা গেছে যেই পথে, তোরা যাবি সেই পথে’ ‘আমার সোনার বাংলায় চাঁদাবাজদের ঠাই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে একদল চাঁদাবাজি, বালু টেন্ডারসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র তাঁদের দলীয় কোন্দলে বিগত নয় মাসে একশোর ওপরে একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে। এ বাংলায় এমন পৈশাচিক কান্ড ঘটাচ্ছেন যা এর আগে ছিলো না। আমারা দেখেছি পনেরো’শ বছর আগে পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করা হতো। এই আধুনিক যুগে পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয় তা স্বপ্নে অকল্পনীয়।’

আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, একদল ভারতে গিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন আপনারা কোথায় যাবেন। এই বাংলাদেশ ন্যাক্কারজনক ঘটনা দিনের পর দিন চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদ, দখলদারিত্বে রাজনীতি করছেন এরজন্য আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করিনি। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে, সুন্দরভাবে সমাজের মানুষ বসবাস করবে। কেউ চাঁদা দিতে পারবেনা বলে প্রতিবাদ করে এভাবে জীবন এটা কামনা করি না। আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্মম ও নৃশংস যে হত্যাযজ্ঞ দেখেছি, আমাদের বিবেক জাগ্রত হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাধারণ ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে বাংলাদেশে দ্বিতীয়বার কোন চাঁদাবাজকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এক চাঁদাবাজদের বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়েছি দ্বিতীয় চাঁদাবাজদের আশ্রয় দেওয়া জন্য নয়। এক দখলদারদের তাড়িয়েছি দ্বিতীয় দখলদারদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য নয়। এক স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি দ্বিতীয় স্বৈরাচারদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়। এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেলে ছাত্রজনতা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যবসায়ী সোহাগ হ/ত্যার প্রতি/বাদে মৌলভীবাজারে সাধারণ ছাত্র-জনতার বি/ক্ষোভ

আপডেট সময় ১২:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা, দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন মৌলভীবাজারের সাধারণ ছাত্র-জনতা।

শনিবার ১২ জুলাই দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমুহনা এলাকায় গিয়ে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে ‘২৪ এ গেছে কোটা, ২৫ এ যাবে চাঁদা, আমার ভাই মরলো কেন চাঁদাবাজ জবাব দে’ ‘হাসিনা গেছে যেই পথে, তোরা যাবি সেই পথে’ ‘আমার সোনার বাংলায় চাঁদাবাজদের ঠাই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সারাদেশে একদল চাঁদাবাজি, বালু টেন্ডারসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র তাঁদের দলীয় কোন্দলে বিগত নয় মাসে একশোর ওপরে একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে। এ বাংলায় এমন পৈশাচিক কান্ড ঘটাচ্ছেন যা এর আগে ছিলো না। আমারা দেখেছি পনেরো’শ বছর আগে পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করা হতো। এই আধুনিক যুগে পাথর দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয় তা স্বপ্নে অকল্পনীয়।’

আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, একদল ভারতে গিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন আপনারা কোথায় যাবেন। এই বাংলাদেশ ন্যাক্কারজনক ঘটনা দিনের পর দিন চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদ, দখলদারিত্বে রাজনীতি করছেন এরজন্য আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন করিনি। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে, সুন্দরভাবে সমাজের মানুষ বসবাস করবে। কেউ চাঁদা দিতে পারবেনা বলে প্রতিবাদ করে এভাবে জীবন এটা কামনা করি না। আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্মম ও নৃশংস যে হত্যাযজ্ঞ দেখেছি, আমাদের বিবেক জাগ্রত হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাধারণ ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে বাংলাদেশে দ্বিতীয়বার কোন চাঁদাবাজকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এক চাঁদাবাজদের বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়েছি দ্বিতীয় চাঁদাবাজদের আশ্রয় দেওয়া জন্য নয়। এক দখলদারদের তাড়িয়েছি দ্বিতীয় দখলদারদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য নয়। এক স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি দ্বিতীয় স্বৈরাচারদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নয়। এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেলে ছাত্রজনতা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রস্তুত