ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
বিশ্ব ডিম দিবস দুর্গাপুরে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা ব্রিস্টল বাংলাদেশি ক্রিকেট ক্লাবের ঐতিহাসিক অর্জন ও ২০ বছরের গৌরবময় যাত্রা টাইফয়েড টিকা নিরাপদ ও হালাল: গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান কোটচাঁদপুরে বাওড়ে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃ/ত্যু,চিকিৎসাধীন দুই শিশু রেলওয়ে সেকশনের উপসহকারী প্রকৌশলী সড়ক দুর্ঘটনায় নি/হ/ত প্রবাসীদের কোটি টাকা আত্বসাতের অভিযোগে পালকপুত্র গ্রে/ফ/তা র কোটচাঁদপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালন সিলেট রেলপথে অব্যবস্থা ও বৈষম্য: সংস্কার এখন সময়ের দাবি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয় ও সমর্থন নিশ্চিত করল ডিনেট

বড়লেখায় যুবক খুন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২
  • / ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রুবেল আহমদ (২৮) নামে এক  যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংরা তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহত রুবেলের ভাই সুমন আহমদ (১৭) আহত হয়েছেন। নিহত রুবেল সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামের মৃত সইফ উদ্দিনের ছেলে। রুবেল পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন ।

নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই এমরান আহমদ শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার (৮ এপ্রিল) জুমার নামাজের সময় আমাদের এলাকার (কেছরিগুল) মসজিদে প্রতিবেশী জনৈক জামাল আহমদের সঙ্গে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় এলাকার লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন। আসরের (শুক্রবার) নামাজের সময় জামাল আহমদের ছেলে ও ভাতিজাদের সঙ্গে সদর ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদের ভাই নবাব আহমদ গংদের ছেলে ও ভাতিজাদের ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় আমার চাচাতো ভাই রুবেল আহমদ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় তাকে (রুবেলকে) জনৈক জামাল আহমদের পক্ষের লোকজন ভেবে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংরা। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। রুবেলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই সুমন আহমদও আহত হন। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাবুল আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। যার কারণে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। সাবুল মেম্বার ও তার ভাই-ভাতিজা মিলে একজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

বড়লেখায় যুবক খুন

আপডেট সময় ০৩:৩৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

মৌলভীবাজার২৪ ডেস্ক:  মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রুবেল আহমদ (২৮) নামে এক  যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংরা তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহত রুবেলের ভাই সুমন আহমদ (১৭) আহত হয়েছেন। নিহত রুবেল সদর ইউপির কেছরিগুল গ্রামের মৃত সইফ উদ্দিনের ছেলে। রুবেল পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন ।

নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই এমরান আহমদ শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার (৮ এপ্রিল) জুমার নামাজের সময় আমাদের এলাকার (কেছরিগুল) মসজিদে প্রতিবেশী জনৈক জামাল আহমদের সঙ্গে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় এলাকার লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন। আসরের (শুক্রবার) নামাজের সময় জামাল আহমদের ছেলে ও ভাতিজাদের সঙ্গে সদর ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদের ভাই নবাব আহমদ গংদের ছেলে ও ভাতিজাদের ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় আমার চাচাতো ভাই রুবেল আহমদ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় তাকে (রুবেলকে) জনৈক জামাল আহমদের পক্ষের লোকজন ভেবে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদ ও তার ভাই নবাব আহমদ গংরা। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। রুবেলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই সুমন আহমদও আহত হন। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাবুল আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। যার কারণে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। সাবুল মেম্বার ও তার ভাই-ভাতিজা মিলে একজন পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে।’